যশোর প্রতিনিধি
যশোর শহর যানজটমুক্ত করতে অবৈধ ফুটপাত দখল উচ্ছেদ ও অবৈধ ইজিবাইক, রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করেছে পৌরসভা। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পৌরসভার এই অভিযানে ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ইজিবাইক, অটোরিকশার চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রভাবশালীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এতে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফুটপাত দখলকারী বহুতল ভবন মালিক ও অবৈধ ইজিবাইক-রিকশার গ্যারেজের মালিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
যশোর জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরে যানজটে নিরসনে অবৈধ ফুটপাত দখলদার, অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে পৌরসভা। পৌরবাসীর যানজট থেকে স্বস্তি দিতে পুরো রমজান মাস জুড়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গতকাল ও আজ সকালে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদের নেতৃত্বে পৌরসভার কর্মী ও ট্রাফিক পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। শহরের দড়াটানা, জজকোর্ট মোড়, হাসপাতাল মোড়, চিত্রার মোড়, থানার মোড় এলাকা থেকে শতাধিক ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে ফুটপাতে দখলকারী দুই শতাধিক অস্থায়ী দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
হরিদাস নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘অটোরিকশা নিয়ে শহরে এসেছিলাম। অভিযানে আমরা রিকশা আটক করেছে। আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কবে রিকশা হাতে পাব জানি না, অপেক্ষায় আছি। সুদ করে টাকা জোগাড় করে রিকশা ছাড়াতে এসেছি।’
আরেক রিকশাচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলাম। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়ি আটক করেছে। এখন ছাড়াতে না পারলে
পরিবার লোকজনের খাবার জোগাড় করতে পারব না। আমরা আছি বিপদে। গ্যারেজ মালিক শুধু ভাড়া নেয়, কোনো দায়-দায়িত্ব নেয় না।’
আব্দুল মাজেদ নামের এক অটোরিকশার চালক বলেন, ‘আমরার মতো অনেকেই গ্যারেজের রিকশা ভাড়ায় চালায়। এই অভিযানে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে বেশি। পৌরসভা গ্যারেজ মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সাধারণ দিনমজুর চালকেরা কষ্টে আছে। আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদ বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কোনো অনুমতি নেই। রমজান মাসে শহরে যানজট কমাতে এবং জনজীবনে চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছি। অভিযান পরিচালনা করার আগে সতর্ক করতে দুই দিন আগে মাইকিং করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে।’
গ্যারেজ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে বি এম কামাল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করব। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবৈধ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য কমবে বলে আশাবাদী।’
যশোরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগের যৌথ অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশার চালকদের জরিমানা করে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে, পৌরসভার এ অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা শাখা।
সংগঠনের সম্পাদক তসলিম-উর-রহমানের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যশোর পৌরসভা কর্তৃক ফুটপাতে কাজ করে খাওয়া দরিদ্র মানুষকে পুনর্বাসন বাদে উচ্ছেদের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। রোজার আগে দরিদ্র মানুষদের পুনর্বাসন বাদে উচ্ছেদ করে হাজার হাজার মানুষকে পথে বসাল পৌরসভা। এই মানুষেরা কাজ হারাল, পরিবার-পরিজনের মুখে অন্ন কীভাবে দেবে পৌরসভা ভাবল না। যা অমানবিক ও মানুষের মৌলিক (খাদ্যের) অধিকারের ওপর আঘাত।’
যশোর শহর যানজটমুক্ত করতে অবৈধ ফুটপাত দখল উচ্ছেদ ও অবৈধ ইজিবাইক, রিকশা চলাচল বন্ধে অভিযান শুরু করেছে পৌরসভা। গতকাল রোববার ও আজ সোমবার শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
পৌরসভার এই অভিযানে ফুটপাতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও ইজিবাইক, অটোরিকশার চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রভাবশালীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এতে দরিদ্র শ্রেণির মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফুটপাত দখলকারী বহুতল ভবন মালিক ও অবৈধ ইজিবাইক-রিকশার গ্যারেজের মালিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি উঠেছে।
যশোর জেলা প্রশাসনের আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরে যানজটে নিরসনে অবৈধ ফুটপাত দখলদার, অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশা বন্ধে অভিযান শুরু করেছে পৌরসভা। পৌরবাসীর যানজট থেকে স্বস্তি দিতে পুরো রমজান মাস জুড়ে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।
গতকাল ও আজ সকালে পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদের নেতৃত্বে পৌরসভার কর্মী ও ট্রাফিক পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। শহরের দড়াটানা, জজকোর্ট মোড়, হাসপাতাল মোড়, চিত্রার মোড়, থানার মোড় এলাকা থেকে শতাধিক ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা জব্দ করা হয়। একই সঙ্গে ফুটপাতে দখলকারী দুই শতাধিক অস্থায়ী দোকানপাট উচ্ছেদ করা হয়েছে।
হরিদাস নামে এক রিকশাচালক বলেন, ‘অটোরিকশা নিয়ে শহরে এসেছিলাম। অভিযানে আমরা রিকশা আটক করেছে। আড়াই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। কবে রিকশা হাতে পাব জানি না, অপেক্ষায় আছি। সুদ করে টাকা জোগাড় করে রিকশা ছাড়াতে এসেছি।’
আরেক রিকশাচালক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘অটোরিকশায় যাত্রী নিয়ে যাচ্ছিলাম। যাত্রী নামিয়ে দিয়ে গাড়ি আটক করেছে। এখন ছাড়াতে না পারলে
পরিবার লোকজনের খাবার জোগাড় করতে পারব না। আমরা আছি বিপদে। গ্যারেজ মালিক শুধু ভাড়া নেয়, কোনো দায়-দায়িত্ব নেয় না।’
আব্দুল মাজেদ নামের এক অটোরিকশার চালক বলেন, ‘আমরার মতো অনেকেই গ্যারেজের রিকশা ভাড়ায় চালায়। এই অভিযানে তাদেরই ক্ষতি হচ্ছে বেশি। পৌরসভা গ্যারেজ মালিকদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। সাধারণ দিনমজুর চালকেরা কষ্টে আছে। আর্থিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে।’
এ বিষয়ে যশোর পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী বি এম কামাল আহমেদ বলেন, ‘ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার কোনো অনুমতি নেই। রমজান মাসে শহরে যানজট কমাতে এবং জনজীবনে চলাচলে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছি। অভিযান পরিচালনা করার আগে সতর্ক করতে দুই দিন আগে মাইকিং করা হয়েছে। জনস্বার্থে এমন অভিযান চলমান থাকবে।’
গ্যারেজ মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ প্রসঙ্গে বি এম কামাল আহমেদ বলেন, ‘বিষয়টি জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবহিত করব। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অবৈধ অটোরিকশা ও ইজিবাইকের দৌরাত্ম্য কমবে বলে আশাবাদী।’
যশোরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান বলেন, পৌরসভা ও ট্রাফিক বিভাগের যৌথ অভিযানে জব্দকৃত অবৈধ ইজিবাইক ও অটোরিকশার চালকদের জরিমানা করে মুচলেকায় ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে হচ্ছে। একই সঙ্গে তাঁদের সতর্ক করা হচ্ছে।
এদিকে, পৌরসভার এ অভিযানের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে বাংলাদেশের বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগ যশোর জেলা শাখা।
সংগঠনের সম্পাদক তসলিম-উর-রহমানের পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যশোর পৌরসভা কর্তৃক ফুটপাতে কাজ করে খাওয়া দরিদ্র মানুষকে পুনর্বাসন বাদে উচ্ছেদের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। রোজার আগে দরিদ্র মানুষদের পুনর্বাসন বাদে উচ্ছেদ করে হাজার হাজার মানুষকে পথে বসাল পৌরসভা। এই মানুষেরা কাজ হারাল, পরিবার-পরিজনের মুখে অন্ন কীভাবে দেবে পৌরসভা ভাবল না। যা অমানবিক ও মানুষের মৌলিক (খাদ্যের) অধিকারের ওপর আঘাত।’
খাদিজা বেগম আরও বলেন, ‘চাঁদাবাজি করার জন্যই আমাকে না জানিয়ে কৌশলে আক্তার হোসেন মামলার বাদী হয়েছেন। রিপন হত্যার সঙ্গে বকশীগঞ্জের কোনো মানুষ জড়িত না। কারণ আমার স্বামী মারা গেছেন ঢাকার উত্তরায়। মামলা করার আগেই আক্তার হোসেন মামলার ভয় দেখিয়ে দুই শতাধিক নিরীহ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকার বাণিজ্য করেছেন।
২২ মিনিট আগেপ্রথমবারের মতো রাজশাহী এসেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ট্রফি। আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজশাহী নগরের আলুপট্টি মোড়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়নস ট্রফি প্রদর্শনীর জন্য উন্মোচন করা হয়।
৩২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের বাঁশখালীতে আগুনে ৯ দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। গতকাল শনিবার রাত দেড়টার দিকে খানখানাবাদ ইউনিয়নের ছৈয়দ আহমেদ টেক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেতিনি নিজেকে সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ এবং প্রধান উপদেষ্টার এক সময়ের সহকর্মী বলে পরিচয় দেন। তিনি ট্রাফিক পরিদর্শক জি এম মুসার সঙ্গে দেখা করতে চান। তাঁকে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা করে দিতে হবে বলে দাবি করেন। অন্যথায় তাঁর বিরুদ্ধে আইজিপির কাছে বিভিন্ন অনিয়ম উল্লেখ করে অভিযোগ দেবেন...
১ ঘণ্টা আগে