বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
নব নিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি, কিছুই অসম্ভব নয়। বার্ন ইউনিট ৫ থেকে ৫০০ শয্যায় আনতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গিয়েছি। প্রথম প্রথম আমাকে অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন, ফাইল ছুড়ে মেরেছেন, এ রকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে সবার সহযোগিতা নিয়েই এ জায়গায় এসেছি।’
আজ রোববার মন্ত্রণালয়ে তার প্রথম কার্যদিবসে সাংবাদিকদের মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি হাসপাতালে সেবা বৃদ্ধি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন দেশের হাসপাতালগুলো নিজে পরিদর্শন করে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নিই। আমি খুব দ্রুতই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব। আমার বিশেষ লক্ষ্য থাকবে গ্রামের হাসপাতালগুলোর প্রতি। গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা নিতে যেন ঢাকায় আসতে না হয়, গ্রাম থেকেই যেন ভালো চিকিৎসা পায়, সেটি নিয়ে কাজ করব।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাইরে আছেন, আপনারা যেকোনো সময় আমার অফিসে চলে আসবেন। আপনাদের জন্য আমার দরজায় কোনো প্রটোকল থাকবে না। আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্দ্বিধায় কাজ করতে পারব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ খুললেই হবে না। সেখানে চিকিৎসকসহ অনেক কিছু লাগবে। আমি সবগুলো বিষয় দেখব। গ্রামে ডাক্তাররা কেন থাকেন না, তার কারণ বের করতে হবে; তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। নিজে কখনো দুর্নীতিতে জড়াননি। তাই এই বিষয়ে ছাড়ও দেবেন না।
এর আগে সকালে সচিবালয় আসার পর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ নানা স্তরের কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি বুধবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম প্রকাশ হয়। ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর ভিড়ে চমক ছিলেন সামন্ত লাল সেন। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে প্রশিক্ষণ রয়েছে তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন ইউনিট চালু হলে ডা. সামন্ত লাল সেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে ডা. সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।
নব নিযুক্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ‘আমরা যদি সবাই সিনসিয়ারলি কাজ করি, কিছুই অসম্ভব নয়। বার্ন ইউনিট ৫ থেকে ৫০০ শয্যায় আনতে অনেক কষ্ট হয়েছে। আমি অনেকের কাছে গিয়েছি। প্রথম প্রথম আমাকে অনেকেই ফিরিয়ে দিয়েছেন, ফাইল ছুড়ে মেরেছেন, এ রকম ঘটনাও আছে। কিন্তু আমি ধৈর্য ধরে সবার সহযোগিতা নিয়েই এ জায়গায় এসেছি।’
আজ রোববার মন্ত্রণালয়ে তার প্রথম কার্যদিবসে সাংবাদিকদের মতবিনিময় কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারি হাসপাতালে সেবা বৃদ্ধি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন দেশের হাসপাতালগুলো নিজে পরিদর্শন করে যেন কার্যকর ব্যবস্থা নিই। আমি খুব দ্রুতই দেশের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তের হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেব। আমার বিশেষ লক্ষ্য থাকবে গ্রামের হাসপাতালগুলোর প্রতি। গ্রামের মানুষকে চিকিৎসা সেবা নিতে যেন ঢাকায় আসতে না হয়, গ্রাম থেকেই যেন ভালো চিকিৎসা পায়, সেটি নিয়ে কাজ করব।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের সবার কাছে অনুরোধ, এ মন্ত্রণালয়ে যারা কর্মকর্তা আছেন এবং যারা বাইরে আছেন, আপনারা যেকোনো সময় আমার অফিসে চলে আসবেন। আপনাদের জন্য আমার দরজায় কোনো প্রটোকল থাকবে না। আমি আগের মতোই থাকব, আমাকে একটু উপদেশ দেবেন। আপনাদের উপদেশ পেলে আমরা নির্দ্বিধায় কাজ করতে পারব।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটি মেডিকেল কলেজ খুললেই হবে না। সেখানে চিকিৎসকসহ অনেক কিছু লাগবে। আমি সবগুলো বিষয় দেখব। গ্রামে ডাক্তাররা কেন থাকেন না, তার কারণ বের করতে হবে; তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। সব দেখে আমি ব্যবস্থা নেব।
দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্নীতির বিষয়ে আমার জিরো টলারেন্স থাকবে। নিজে কখনো দুর্নীতিতে জড়াননি। তাই এই বিষয়ে ছাড়ও দেবেন না।
এর আগে সকালে সচিবালয় আসার পর মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয়ের সচিবগণ, বিভিন্ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালকগণ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালকসহ নানা স্তরের কর্মকর্তারা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।
মতবিনিময়কালে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, চিকিৎসা শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম, বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি বুধবার নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম প্রকাশ হয়। ২৫ জন মন্ত্রী ও ১১ জন প্রতিমন্ত্রীর ভিড়ে চমক ছিলেন সামন্ত লাল সেন। তিনি শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কের দায়িত্বে ছিলেন। সামন্ত লাল সেন ১৯৪৯ সালের ২৪ নভেম্বর হবিগঞ্জের নাগুরা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
১৯৭৩ সালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে সার্জারিতে প্রশিক্ষণ রয়েছে তার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশের প্রথম বার্ন ইউনিট চালু হলে ডা. সামন্ত লাল সেন এতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ প্লাস্টিক সার্জন সোসাইটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। চিকিৎসাসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৮ সালে ডা. সামন্ত লালকে সম্মানসূচক ফেলোশিপ দেয় বাংলা একাডেমি।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পুলিশ তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ওসমান গনি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৭ মিনিট আগেবাসার সামনে খাটিয়া। তাতে রাখা নিজ সন্তানের লাশ। নির্বাক তাকিয়ে মা নাইমুন নাহার। হয়তো তখনো কল্পনা করতে পারেনি তার ছেলে নিথর। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ স্বজনেরা।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক উজ্জলকে নির্যাতনের ঘটনায় রিজভী আহমেদ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে
২ ঘণ্টা আগেতাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামীণ হাট থেকে জেলা বা বিভাগীয় শহরের প্রতিটি বাজারে বাজারদর বোর্ডে তুলে ধরতে হবে। যা নির্ধারণ করা হবে উৎপাদক বা কৃষক পর্যায়ের দামের ওপর। কোনো বিক্রেতা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগে