যশোর প্রতিনিধি
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা অন্তত ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আনিছুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরানকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. মেহেদী হাসান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হক।
সম্প্রতি লিফট অপারেটরের ১২টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩৮ প্রার্থীকে পরীক্ষার জন্য গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ডাকা হয়।
অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পরীক্ষা দিতে গেলে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাঁদের নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখেন এবং লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে প্রার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত ১৫ জনকে ক্যাম্পাসের ছাত্র হলে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিকেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করতে গেলে সেটিও ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ঘটনার পর রাতে আরাফাত হোসেন নামে ভুক্তভোগী এক চাকরিপ্রার্থী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলের নিবাসী বেলাল হোসেন, রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান রাফি, রায়হান রাব্বি, শোয়েব ও শাহিনুরসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনকে।
মামলার পরে ঘটনার দিন গভীর রাত ২টার দিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন।
মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কাউকে আটকে রাখেনি। যেসব কক্ষের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার প্রতিপক্ষের এক নেতার অনুসারীরা থাকে।’ এ ঘটনায় এখনো পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের অপহরণের ঘটনা আজ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় আমি বিষয়টি অবহিত করি। রিজেন্ট বোর্ড অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। তাদের সিন্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। এ ছাড়া চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণ ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবে বলে জানান তিনি।’
যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) লিফট অপারেটরের নিয়োগ পরীক্ষা দিতে আসা অন্তত ১৫ চাকরিপ্রার্থীকে আটকে রেখে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার রিজেন্ট বোর্ডের সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আনিছুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যসচিব করা হয়েছে প্রক্টর ড. হাসান মোহাম্মদ আল ইমরানকে। অন্যান্য সদস্যরা হলেন ডিনস কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মো. মেহেদী হাসান ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আমিনুল হক।
সম্প্রতি লিফট অপারেটরের ১২টি পদে জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই শেষে ৩৮ প্রার্থীকে পরীক্ষার জন্য গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে ডাকা হয়।
অভিযোগকারী চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, পরীক্ষা দিতে গেলে যবিপ্রবি ছাত্রলীগের কিছু নেতা-কর্মী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে তাঁদের নিয়ে ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে ছয় ঘণ্টা আটকে রাখেন এবং লোহার রড, এসএস পাইপ, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটা দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে খবর আসে প্রার্থীদের মধ্যে অত্যন্ত ১৫ জনকে ক্যাম্পাসের ছাত্র হলে নিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ক্যাম্পাসে পৌঁছালে বিকেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পরিবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি তদন্তের স্বার্থে সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক সংগ্রহ করতে গেলে সেটিও ছিনিয়ে নেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।
ঘটনার পর রাতে আরাফাত হোসেন নামে ভুক্তভোগী এক চাকরিপ্রার্থী বাদী হয়ে থানায় মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলের নিবাসী বেলাল হোসেন, রাফি হাসান, রেদোয়ান হাসান রাফি, রায়হান রাব্বি, শোয়েব ও শাহিনুরসহ অজ্ঞাত আরও পাঁচ-ছয় জনকে।
মামলার পরে ঘটনার দিন গভীর রাত ২টার দিকে পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মসিয়ূর রহমান ছাত্র হলে অভিযান চালাতে যায়। কিন্তু হলের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে ভেতরে সমবেত হয়ে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিতে থাকেন।
মারধর ও আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল রানা বলেন, ‘আমি বিষয়টি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনেছি। আমার কোনো লোকজন কাউকে আটকে রাখেনি। যেসব কক্ষের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে আমার প্রতিপক্ষের এক নেতার অনুসারীরা থাকে।’ এ ঘটনায় এখনো পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবারের অপহরণের ঘটনা আজ রিজেন্ট বোর্ডের সভায় আমি বিষয়টি অবহিত করি। রিজেন্ট বোর্ড অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছে। তাদের সিন্ধান্ত অনুযায়ী একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর রিজেন্ট বোর্ডের সভায় তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করবে। এ ছাড়া চাকরিপ্রার্থীদের অপহরণ ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় কাল রোববার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মামলা করবে বলে জানান তিনি।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১৯ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৪৩ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে