মিলেছে আরও একটি চেক জালিয়াতির তথ্য

যশোর প্রতিনিধি
Thumbnail image

যশোর শিক্ষা বোর্ডে আড়াই কোটি টাকার ৯টি চেক জালিয়াতির রেশ কাটতে না কাটতেই আরও একটি চেক জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চেকের বিপরীতে আত্মসাৎ করা হয়েছে ১৫ লাখ ৯৮ হাজার ১০ টাকা। এটিসহ আরও বেশ কয়েকটি চেক জালিয়াতির বিষয়ে চলছে তদন্ত।

যশোর শিক্ষা বোর্ডের হিসাব শাখার উপপরিচালক এমদাদুল হক জানান, হিসাব যাচাই করার সময় একটি চেকের মুড়ি বইয়ে আগের মতোই অসংগতি ধরা পড়ে। গত মঙ্গলবার বিষয়টি বোর্ডের সচিবকে জানানো হয়েছে। ওই চেক জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় ১৬ লাখ টাকা তুলে নিয়েছে একটি চক্র।

জালিয়াতির মাধ্যমে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়ার পর ২০২০-২১ অর্থবছরের সব চেক নতুন করে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে জানিয়ে শিক্ষা বোর্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কোথাও কোনো অসংগতি আছে কি না, এটি বের করতে আমরা চেষ্টা করছি। তারই ধারাবাহিকতায় নতুন এই চেকটির সন্ধান মিলেছে।’

নতুন করে চেক জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন যশোর বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোল্লা আমীর হোসেন এবং সচিব অধ্যাপক এ এম এইচ আলি আর রেজাও। আজকের পত্রিকাকে সচিব আলি আর রেজা বলেন, ‘আরেকটি জালিয়াতির ঘটনা যাচাই-বাছাইয়ের পর নিশ্চিত হওয়া গেছে। ইতিমধ্যেই আমরা চেকটি দুদকে পাঠিয়ে দিয়েছি। কারা জড়িত কিংবা কীভাবে ঘটনাটি ঘটেছে, সেটি তারাই তদন্ত করে দেখবে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যশোর শিক্ষা বোর্ডের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, মঙ্গলবার নতুন চেক জালিয়াতির বিষয়টি ফাঁস হলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হয়। সচিবের কক্ষে হওয়া এ বৈঠকে হিসাব শাখার উপপরিচালক এমদাদুল হক, অডিট অফিসার আব্দুস সালাম আজাদ, সহকারী সচিব (কমন) আশরাফুল ইসলাম যোগ দেন। দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকের পর সাংবাদিকদের কাছে মুখ খোলেননি কর্মকর্তারা।

উল্লেখ্য, যশোর শিক্ষা বোর্ডের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার ৩৬ টাকার ভ্যাট ও আয়করের চেক জালিয়াতি করে ২ কোটি ৫০ লাখ ৪৪ হাজার ১০ টাকা উত্তোলন করে নিয়েছে একটি চক্র। এ টাকা উত্তোলন করা হয় ভেনাস প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং এবং শাহী লাল স্টোরের আয়কর ও ভ্যাটের টাকার চেকের বিপরীতে। গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) এই জালিয়াতির তথ্য জানাজানি হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত