বাগেরহাট প্রতিনিধি
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ইলিশের দাম। সরবরাহ কম থাকায় দাম অনেক বেশি, আকার ভেদে প্রতি কেজি ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পাঁচ দিন পরেও দাম বেশি থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন সাগরে ও নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় দাম বেশি।
আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার,৩-৪ টিতে কেজির ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা এবং ৫-৬ টিতে কেজির এই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
ইলিশের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে থাকা বিভিন্ন মাছের ওপরও। অন্য মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও, দাম কমেনি। বরং ভেটকি, রুই, কাতলা, চিংড়ি ও ট্যাংরা মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ভেটকি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে, রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাসকার্পসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা। তবে পাঙাশ ও তেলাপিয়া আগের দাম অর্থাৎ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের মতো মাছের দাম নাগালের বাইরে থাকায় টুকরো করে মাছ বিক্রির দাবি জানান সচেতন ভোক্তারা।
নুরুন নাহার নামের এক চাকরিজীবী বলেন, এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ ভালো বেতনে চাকরি করি। তারপরও অনেক হিসাব করে বাজার করতে হয়। পছন্দের মাছ কেনার আগে অনেক চিন্তা করতে হয়। তাই স্বল্প আয়ের মানুষেরা ইলিশ কেনার কথা চিন্তাও করেন না। এ জন্য ইলিশসহ বেশি দামের বড় মাছ যদি কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হয়, তাহলে হয়তো অনেকেই এই মাছের স্বাদ নিতে পারতেন।
রফিক হালদার নামের এক ক্রেতা বলেন, অবরোধ শেষে ইলিশ কিনতে আসছিলাম। কিন্তু দাম অনেক, তাই রুই মাছ কিনলাম। আর কিছু ছোট ইলিশ কিনেছি। যে অবস্থা বেশির ভাগ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না।
বাগেরহাট মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল সালাম বলেন, ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেশি। ২২ দিনের অবরোধ শেষ হলেও জেলেরা সাগরের মাছ পাচ্ছেন না। সাগরে ডাকাতের প্রভাবও বেড়েছে। এখন বাজারে যে ইলিশ দেখছেন এগুলো সব পাশের জেলা বরিশালের বেকুটিয়াসহ বিভিন্ন নদীর মাছ। তাই দাম একটু বেশি। সাগরের মাছ আসা শুরু করলে দাম কমবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে অবরোধের পাঁচ দিন পরেও শুক্রবার ভোরে বাগেরহাটের প্রধান সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে কোনো ট্রলার আসেনি। যার কারণে কেবি বাজারে হিমায়িত সাগরের মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কেবি বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী। তিনি বলেন, সাগরে এবার মাছের পরিমাণ কম। তাই এখনো কোনো নৌকা আসেনি। তাই ইলিশ মাছের বেচাকেনা নেই, আমরা শুধু হিমায়িত মাছ বিক্রি করছি। এর কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি।
গত ১২ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগরে-নদীতে ইলিশ আহরণ, কেনা-বেচা, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে সরকার।
মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে ইলিশের দাম। সরবরাহ কম থাকায় দাম অনেক বেশি, আকার ভেদে প্রতি কেজি ইলিশের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পাঁচ দিন পরেও দাম বেশি থাকায় ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন সাগরে ও নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় দাম বেশি।
আজ শুক্রবার সকালে বাগেরহাট শহরের প্রধান বাজার ঘুরে জানা গেছে, এক কেজি ওজনের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। ৭০০-৮০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার,৩-৪ টিতে কেজির ইলিশ ৭০০-৮০০ টাকা এবং ৫-৬ টিতে কেজির এই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকায়।
ইলিশের দাম বৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে বাজারে থাকা বিভিন্ন মাছের ওপরও। অন্য মাছের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও, দাম কমেনি। বরং ভেটকি, রুই, কাতলা, চিংড়ি ও ট্যাংরা মাছের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত। ভেটকি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে, রুই, কাতলা, মৃগেল, গ্রাসকার্পসহ বিভিন্ন কার্প জাতীয় মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা পর্যন্ত। চিংড়ি বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা। তবে পাঙাশ ও তেলাপিয়া আগের দাম অর্থাৎ ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন পণ্যের মতো মাছের দাম নাগালের বাইরে থাকায় টুকরো করে মাছ বিক্রির দাবি জানান সচেতন ভোক্তারা।
নুরুন নাহার নামের এক চাকরিজীবী বলেন, এক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেশ ভালো বেতনে চাকরি করি। তারপরও অনেক হিসাব করে বাজার করতে হয়। পছন্দের মাছ কেনার আগে অনেক চিন্তা করতে হয়। তাই স্বল্প আয়ের মানুষেরা ইলিশ কেনার কথা চিন্তাও করেন না। এ জন্য ইলিশসহ বেশি দামের বড় মাছ যদি কেটে টুকরো টুকরো করে বিক্রি করা হয়, তাহলে হয়তো অনেকেই এই মাছের স্বাদ নিতে পারতেন।
রফিক হালদার নামের এক ক্রেতা বলেন, অবরোধ শেষে ইলিশ কিনতে আসছিলাম। কিন্তু দাম অনেক, তাই রুই মাছ কিনলাম। আর কিছু ছোট ইলিশ কিনেছি। যে অবস্থা বেশির ভাগ মানুষ ইলিশ খেতে পারবে না।
বাগেরহাট মাছ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল সালাম বলেন, ইলিশের দাম আগের তুলনায় বেশি। ২২ দিনের অবরোধ শেষ হলেও জেলেরা সাগরের মাছ পাচ্ছেন না। সাগরে ডাকাতের প্রভাবও বেড়েছে। এখন বাজারে যে ইলিশ দেখছেন এগুলো সব পাশের জেলা বরিশালের বেকুটিয়াসহ বিভিন্ন নদীর মাছ। তাই দাম একটু বেশি। সাগরের মাছ আসা শুরু করলে দাম কমবে বলে দাবি করেন তিনি।
এদিকে অবরোধের পাঁচ দিন পরেও শুক্রবার ভোরে বাগেরহাটের প্রধান সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র কেবি বাজারে কোনো ট্রলার আসেনি। যার কারণে কেবি বাজারে হিমায়িত সাগরের মাছ বিক্রি হচ্ছে বলে জানান কেবি বাজার মাছ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শেখ আবেদ আলী। তিনি বলেন, সাগরে এবার মাছের পরিমাণ কম। তাই এখনো কোনো নৌকা আসেনি। তাই ইলিশ মাছের বেচাকেনা নেই, আমরা শুধু হিমায়িত মাছ বিক্রি করছি। এর কারণে বাজারে ইলিশের দাম বেশি।
গত ১২ অক্টোবর রাত ১২টার পর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সাগরে-নদীতে ইলিশ আহরণ, কেনা-বেচা, মজুত ও পরিবহন নিষিদ্ধ করে সরকার।
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাটে ২০১৩ সালে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত শিবিরকর্মী মতিউর রহমান সজিবের মরদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে পৌরসভা
২ মিনিট আগেআট দিন বন্ধ থাকার পর ময়মনসিংহ থেকে বিভিন্ন রুটে লোকাল ট্রেন চলাচল শুরু করেছে। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়মনসিংহ থেকে গৌরীপুর হয়ে নেত্রকোনার জারিয়া, মোহনগঞ্জ ও জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জ রেলপথে ট্রেন চলাচল শুরু হয়।
১৭ মিনিট আগেযশোরের শার্শা উপজেলার বেনাপোল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর ছিদ্দিকীর বাড়িতে বোমা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার ভোরে আলমগীর ছিদ্দিকীর গাতিপাড়ার বসতবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বোমা হামলার ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
২০ মিনিট আগেচট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলায় চার আসামিকে চার ও পাঁচদিন করে রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁদের মধ্যে এক আসামিকে পুনরায় রিমান্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট
৩৪ মিনিট আগে