Ajker Patrika

অভয়নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারি, আহত ২

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারির এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আজ সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা
যশোরের অভয়নগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারির এক পর্যায়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। আজ সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের অভয়নগরে ফেসবুকে মন্তব্যকে কেন্দ্র করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের মারামারিতে দুজন আহত হয়েছেন। আজ বুধবার সকালে উপজেলার নওয়াপাড়া সরকারি মহাবিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন নওয়াপাড়া পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের সিরাজ বিশ্বাসের ছেলে ফুয়াদ হোসেন (২০) ও একই এলাকার লিটন মোল্যার ছেলে সিয়াম হোসেন (১৮)।

স্থানীয় ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুটি গ্রুপ ফেসবুকে সক্রিয় হয়। তারা একে অন্যের প্রতি নানা অভিযোগ উত্থাপন করছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক পক্ষের সংগঠক, নওয়াপাড়া গরুহাট এলাকার রাকিব পাটোয়ারীর নামে ফেসবুকে অশালীন মন্তব্য করে ফুয়াদ নামের একজন। রাকিব অশালীন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ফুয়াদ তা অস্বীকার করেন। এরপর কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে রাকিব তাঁকে চড় দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এ সময় ফুয়াদ ও সিয়াম আহত হলে তাঁদের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁরা আবার সংঘবদ্ধ হয়ে রাকিবের ওপর হামলা চালাতে গেলে এলাকাবাসী তাঁদের একটি ঘরে আটকে রাখে। পরে পুলিশ ও স্থানীয়রা উভয়পক্ষকে ডেকে আর কোনো মারামারি না করার শর্তে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মাহফুজুর রহমান সবুজ বলেন, সকালে দুজন ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ফুয়াদের ভাই হৃদয় ফারাজী বলেন, ‘আমার ভাইকে রাকিব পাটোয়ারী মারধর করেছে, কেন মারধর করেছে জানতে চাইলে তাঁরা আমাদের ওপরও চড়াও হন। আমরা এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করব।’

অন্যদিকে রাকিব পাটোয়ারী বলেন, ‘আমার ব্যাপারে তাঁরা ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছেন, আমি এ বিষয়ে শুনলে তাঁরা অস্বীকার করেছেন। তখন স্থানীয় কিছু লোকজন তাঁদের ওপর চড়াও হয়েছেন।’

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলিম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এ ঘটনায় থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত