Ajker Patrika

জনপ্রিয় হচ্ছে শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা সহিষ্ণু শুকনো বীজতলা

ঝিকরগাছা (যশোর) প্রতিনিধি
জনপ্রিয় হচ্ছে শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশা সহিষ্ণু শুকনো বীজতলা

চারপাশে বেগুন, বাঁধাকপি, ফুলকপি আর পটলের খেত। মাঝখানে একটি বোরো ধানের বীজতলা। পলিথিন দিয়ে ঢাকা বীজতলাসহ জমিগুলো অপেক্ষাকৃত উঁচু হওয়ায় খেতগুলো শুকনো। বীজতলাটিও শুকনো। তবে বোরোধানের বীজতলা শুকনো অনেকটা অবাক করার মতো ব্যাপার। অবাক হলেও বিষয়টি বাস্তব। এমনটি দেখা গেছে যশোরের ঝিকরগাছার বোধখানা গ্রামের মাঠে। এটা হলো শুকনো ও আদর্শ বীজতলা। 

এ অঞ্চলে দিন দিন শুকনো ও আদর্শ বীজতলা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কয়েক বছরে শুকনো ও আদর্শ বীজতলার সংখ্যা বেড়েছে বহুগুণ। লাভবান হওয়ায় আগামীতে এই পদ্ধতিতে উপজেলার সকল কৃষক বীজতলা করবেন বলে আশা করছে কৃষি কার্যালয়। 

বোরো-ইরি চাষের জন্য চলতি মৌসুমে শুকনো ও আদর্শ বীজতলা করেছেন উপজেলার বোধখানা ব্লকের বোধখানা ও বারবাকপুর গ্রামের অন্তত ১০ জন কৃষক। 

কয়েক বছর আগে কয়েকজন কৃষক এই পদ্ধতিতে বীজতলা করে লাভবান হওয়ায় তা দিনদিন বাড়ছে। বোধখানা গ্রামের বেলেমাঠপাড়ার কৃষক মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব হোসেনের পরামর্শে শুকনো ও আদর্শ বীজতলা করেছি। ডাঙ্গা জমিতে এ শুকনো বীজতলা করেছি। খরচ কম, অপেক্ষাকৃত রোগব্যাধিও কম হয়। কুয়াশা ও শৈত্য প্রবাহে বীজতলার ক্ষতি হয় না। ২০ দিন বয়স হলে পাতা (চারা) লাগানো যায়।’ 

একই গ্রামের ওসমান গণী, শাহজান কবীর, শফিকুল ইসলাম (দক্ষিণপাড়া) শুকনো বীজতলা করেছেন। ওসমান গণী বলেন, এক মিটার চওড়া ১০ মিটার লম্বা (সুবিধা মতো) বেড করে চারপাশে চলাফেরা ও আলো-বাতাস প্রবাহের জায়গাসহ পানি দেওয়ার জন্য নালা রাখতে হয় আদর্শ বীজতলায়। এক শতক জমিতে আদর্শ বীজতলা করতে ৩-৪ কেজি বীজ লাগে। প্রচলিত পদ্ধতিতে বীজতলা করতে তার চেয়ে বেশি বীজ লাগে। 

কৃষি কার্যালয় জানায়, শুকনো বীজতলা তৈরির জন্য শুকনো বেডে (হালকা রস বা জো ওয়ালা) কলানো বীজ ধান ছিটিয়ে জৈব সার দিয়ে সাদা পলিথিনে ঢেকে দিতে হবে। মাঝে মধ্যে পলিথিন উঠিয়ে বেড যদি বেশি শুকনো লাগে, তাহলে ঝাঝরি দিয়ে অল্প পরিমাণে পানি দিতে হবে। তবে পলিথিন ঘেমে প্রয়োজনীয় পানি বেডে পড়বে। এর ফলে অতিরিক্ত পানি দেওয়া লাগে না। পলিথিনে ঢাকা থাকায় শুকনো বীজতলায় রোগব্যাধি, পোকামাকড়ের আক্রমণ, শৈত্য প্রবাহ ও কুয়াশায় ক্ষতি হয় না। 

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, শুকনো ও আদর্শ বীজতলার খরচ এবং ঝুঁকি কম। শুকনো বীজতলা পলিথিনে ঢাকা থাকায় তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ফলে সঠিক সময়ে সুস্থ সবল চারা পাওয়া সম্ভব। কৃষক এতে লাভবান হওয়ায় দিনদিন এসব বীজতলার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত