ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলায় শিক্ষকদের ভুলে প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৪ শিক্ষার্থী। গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার মুখী পল্লি সেবক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে শিক্ষকেরা ভুল স্বীকার করে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ১৪ শিক্ষার্থীরও ফরম পূরণ করা হয়। পরে বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা জানতে পারে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি।
এরপর পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপে প্রবেশপত্র আসবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে। তবে শেষ পর্যন্ত ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রবেশপত্র পেয়ে পরীক্ষা অংশ নিয়েছেন। বাকি ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে ওই ১৪ জন পরীক্ষার্থী বুধবার গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র না পাওয়া ১৪ শিক্ষার্থী যথাসময়ে তাদের রেজিস্ট্রেশন ফি ও পরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণের টাকা পরিশোধ করে। সে সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ফরম ফিলাপ হয়েছে বলে তাদের অবগত করে। কিন্তু বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে তাদের রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। ফলে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি।
যেখানে রেজিস্ট্রেশন হয়নি সেখানে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য কর্তৃপক্ষ কীভাবে টাকা নিলে—এমন প্রশ্ন এখন সবার মনে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছি তাহলে কেনো আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। আর রেজিস্ট্রেশন না হলে আমাদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ কেনো ফরম ফিলাপের টাকা নিলেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী জিহাদ আল আবিদের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান আপনার ছেলের ফরম ফিলাপ হয়নি। কারণ হিসেবে আমাকে বলা হয় তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি, যে কারণে তার ফরম ফিলাপ হয়নি।
শিক্ষার্থী মেঘলা পারভীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের জন্য ফি নিয়েছেন। এখন বলা হচ্ছে আমাদের রেজিস্ট্রেশনেই হয়নি। তাহলে প্রবেশপত্র আসবে কোথা থেকে। তাদের প্রতারণার কারণে আমাদের জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবে তা মেনে নিতে পারছি না।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, ‘১৪ শিক্ষার্থীয় অংশ না নেওয়ার মূল কারণ আমাদের ভুল। আমাদের ভুলের কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেক অভিভাবক আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। যেহেতু ভুল করেছি, যে কোনো শাস্তি মেনে নেব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক মো. রেজাউল খুবই দক্ষ। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এমন ভুল কিভাবে করলেন বুঝতে পারছি না। ওই ১৪ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় তারা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। বাকি ৮ জনের ছবি ও গ্রুপের ভুল ছিল তা সমাধান হয়ে গেছে। তারা প্রবেশপত্র পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।’
১৪ পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার পরেও ফরম ফিলাপের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়েছে— এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে ২২ পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র পায়নি বলে জেনেছি। সর্বশেষ জানতে পেরেছি ১৪ জন প্রবেশপত্র পায়নি। তাদের কারোর রেজিস্ট্রেশন ছিল না বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ ফরম ফিলাপের জন্য কেনো টাকা নিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার একদিন আগে বোর্ডে এসে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন না থাকায় প্রবেশপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলায় শিক্ষকদের ভুলে প্রবেশপত্র না পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি ১৪ শিক্ষার্থী। গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানা এলাকার মুখী পল্লি সেবক বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে শিক্ষকেরা ভুল স্বীকার করে যে কোনো শাস্তি মাথা পেতে নিতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিতে অন্য শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ওই ১৪ শিক্ষার্থীরও ফরম পূরণ করা হয়। পরে বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই শিক্ষার্থীরা জানতে পারে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি।
এরপর পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চাপে প্রবেশপত্র আসবে বলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করে। তবে শেষ পর্যন্ত ২২ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৮ জন প্রবেশপত্র পেয়ে পরীক্ষা অংশ নিয়েছেন। বাকি ১৪ জন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি।
এমন পরিস্থিতিতে ওই ১৪ জন পরীক্ষার্থী বুধবার গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রবেশপত্র না পাওয়া ১৪ শিক্ষার্থী যথাসময়ে তাদের রেজিস্ট্রেশন ফি ও পরে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে ফরম পূরণের টাকা পরিশোধ করে। সে সময় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের ফরম ফিলাপ হয়েছে বলে তাদের অবগত করে। কিন্তু বুধবার বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জানতে পারে তাদের রেজিস্ট্রেশনই হয়নি। ফলে তাদের প্রবেশপত্র আসেনি।
যেখানে রেজিস্ট্রেশন হয়নি সেখানে এসএসসি পরীক্ষার ফরম ফিলাপের জন্য কর্তৃপক্ষ কীভাবে টাকা নিলে—এমন প্রশ্ন এখন সবার মনে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, রেজিস্ট্রেশন ফি দিয়েছি তাহলে কেনো আমাদের রেজিস্ট্রেশন হয়নি। আর রেজিস্ট্রেশন না হলে আমাদের কাছ থেকে কর্তৃপক্ষ কেনো ফরম ফিলাপের টাকা নিলেন।
এ বিষয়ে পরীক্ষার্থী জিহাদ আল আবিদের বাবা আব্দুল জলিল বলেন, গত মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানান আপনার ছেলের ফরম ফিলাপ হয়নি। কারণ হিসেবে আমাকে বলা হয় তার রেজিস্ট্রেশন হয়নি, যে কারণে তার ফরম ফিলাপ হয়নি।
শিক্ষার্থী মেঘলা পারভীন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমাদের প্রধান শিক্ষকসহ অন্যরা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করছেন। রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের জন্য ফি নিয়েছেন। এখন বলা হচ্ছে আমাদের রেজিস্ট্রেশনেই হয়নি। তাহলে প্রবেশপত্র আসবে কোথা থেকে। তাদের প্রতারণার কারণে আমাদের জীবন থেকে একটি বছর হারিয়ে যাবে তা মেনে নিতে পারছি না।’
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক রেজাউল হক বলেন, ‘১৪ শিক্ষার্থীয় অংশ না নেওয়ার মূল কারণ আমাদের ভুল। আমাদের ভুলের কারণে তারা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেনি। আমরা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি। অনেক অভিভাবক আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছেন। যেহেতু ভুল করেছি, যে কোনো শাস্তি মেনে নেব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল হান্নান নিজেদের ভুল স্বীকার করে বলেন, ‘বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক মো. রেজাউল খুবই দক্ষ। কিন্তু রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে এমন ভুল কিভাবে করলেন বুঝতে পারছি না। ওই ১৪ শিক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় তারা আর পরীক্ষা দিতে পারবে না। বাকি ৮ জনের ছবি ও গ্রুপের ভুল ছিল তা সমাধান হয়ে গেছে। তারা প্রবেশপত্র পেয়ে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।’
১৪ পরীক্ষার্থীর রেজিস্ট্রেশন না হওয়ার পরেও ফরম ফিলাপের জন্য কোনো টাকা নেওয়া হয়েছে— এমন প্রশ্নে প্রধান শিক্ষক কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘প্রথমে ২২ পরীক্ষার্থী প্রবেশপত্র পায়নি বলে জেনেছি। সর্বশেষ জানতে পেরেছি ১৪ জন প্রবেশপত্র পায়নি। তাদের কারোর রেজিস্ট্রেশন ছিল না বলে আমাকে জানানো হয়েছে। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ ফরম ফিলাপের জন্য কেনো টাকা নিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হয়েছে।
ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু তাহের বলেন, প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার একদিন আগে বোর্ডে এসে যোগাযোগ করেছিল। কিন্তু শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন না থাকায় প্রবেশপত্র দেওয়া সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার সম্পূর্ণ দায় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) সদ্য সাবেক নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শফিকুল ইসলামকে তাঁর দপ্তর থেকে বের করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে সংস্থাটিতে। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে শফিকুলের মামলা, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো...
৩ ঘণ্টা আগেঝিনাইদহে দখলদারদের কবলে চলে গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) জিকে সেচ প্রকল্পের খাল। কেউ খালে খনন করে বানিয়েছেন পুকুর, কেউ আবার ভরাট করে করছেন চাষাবাদ। এতে করে খালটির অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে।
৪ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তুরাগের গ্যাস সিলিন্ডারের চুলার আগুন থেকে একটি বস্তিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় চার ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। তবে এতে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
৬ ঘণ্টা আগেসামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে টাকা আয়ের জন্য নিজের শিশুসন্তানের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণের অভিযোগে করা মামলায় ভাইরাল ‘ক্রিম আপা’ ওরফে শারমীন শিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সাভার পৌর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল
৮ ঘণ্টা আগে