ধোবাউড়ায় কালভার্টে উঠতে লাগে বাঁশের সাঁকো

প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুন ২০২১, ১০: ১১
আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, ১০: ২৮

ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় এডিপি নির্মিত কালভার্টে উঠতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশের সাঁকো। রাস্তা থেকে কালভার্টে উঠতে দুপাশে মাটি না থাকায় বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে পারাপার হচ্ছে পথচারীরা। এর জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই উপজেলার লক্ষাধিক মানুষের।

গত শুক্রবার উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের মেকিয়ার কান্দা বাজারের দক্ষিণ পাশে গিয়ে এমন দৃশ্য দেখা যায়। মেকিয়ারকান্দা বাজার থেকে দক্ষিণ ডোমঘাটা গ্রাম হয়ে পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের গুপিনগর গ্রামে যেতে এ রাস্তাই একমাত্র ভরসা। এই রাস্তায় যাওয়ার সময় দক্ষিণ ডোমগাটা নামক স্থানে রয়েছে একটি ছোট্ট কালভার্ট। দেখা যায়, কালভার্টটির দুপাশে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাটি না থাকায় ব্রিজের দুপাশ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ব্রিজ থাকার পরও তা কোনো কাজে আসছে না পথচারীদের।

এই রাস্তা দিয়ে ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের দক্ষিণ ডোমঘাটা গ্রামের অধিকাংশ মানুষের চলাচল। পার্শ্ববর্তী হালুয়াঘাট উপজেলার নড়াইল ইউনিয়নের গুপিনগর, মৌলভীবাজার, মহাজনীকান্দাসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষের বাজারে আসার জন্য একমাত্র রাস্তা এটি। এ ছাড়া মেকিয়াকান্দা দাখিল মাদ্রাসা, মেকিয়ারকান্দা উচ্চবিদ্যালয় ও মেকিয়াকান্দা বাজার প্রাইমারি স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তার মধ্যে অবস্থিত কালভার্টটি গত অর্থবছরে নির্মাণ করা হয়েছিল। কিন্তু কাজ শেষ হওয়ার আগেই বন্যার পানিতে মাটি সরে গিয়ে কালভার্টের দুপাশের দুটি অ্যাপ্রোচ ভেঙে যায়। এরপর আর এটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। শুকনো মৌসুমে পাশেই রাস্তা তৈরি করে চলাচল করলেও বর্ষা মৌসুমে আর চলাচল করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই বাঁশের সাঁকো তৈরি করে কোনোমতে ব্রিজের ওপর দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। ব্রিজের দুই পাশ ও সংযোগ সড়কে দীর্ঘদিন ধরে মাটি না থাকার পরও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন পথচারী ও স্থানীয়রা।

স্থানীয় মোতালেব হোসেন বলেন, এই ব্রিজ দিয়ে দক্ষিণ ডোমঘাটা, পশ্চিম বিলপাড়, পশ্চিম ডোমঘাটা, মেকিয়ারকান্দাসহ ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়াত ও যানবাহনে পণ্য পরিবহন করত। ব্রিজের সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ার পর থেকে গ্রাম থেকে বাজারে ধান, চাল ও কৃষিপণ্য যানবাহনে পরিবহন করা যাচ্ছে না। অসুস্থ ব্যক্তি ও রোগীদের এই সাঁকো দিয়ে পার হয়ে হাসপাতালে যেতে খুব কষ্ট হয়। 

এ ব্যাপারে বাঘবেড় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফরহাদ রব্বানী সুমন বলেন, `ব্রিজটা ভেঙে যাওয়ার পর আমি গিয়ে দেখে এসেছি। দ্রুত দুপাশে মাটি দিয়ে চলাচলের উপযোগী করা হবে।' 

এ ব্যাপারে ধোবাউড়া উপজেলা প্রকৌশলী শাহিনুর ফেরদৌস বলেন, `এই ব্রিজের বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তবে আমি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব।' 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত