ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে জাতীয় পর্যায়ে খেলা এক কিশোরী (১৭) ফুটবলার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সালের বিরুদ্ধে। এদিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলা নিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
জানা যায়, গত শুক্রবার উপবৃত্তির ফাইলে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরী ফুটবলারকে কলেজে ডেকে নেন ফয়সাল। পরে তাকে প্রশাসনিক ভবনের পেছনে নিয়ে মুখ চেপে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ ও ভিডিও করেন ফয়সাল। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেন আলামিন (৩৪) ও অজ্ঞাত আরও এক সহযোগী। ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় কিশোরীকে। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলে, ‘কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ফয়সালের সঙ্গে পরিচয়। তবে কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই। কলেজে যাওয়া-আসার সময় খোঁজখবর নিত। সে বিবাহিত তার একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে।’
ভুক্তভোগী বলে, ‘বাবা মুদির দোকান করে। পরিবারের সাত সদস্যের সংসার। ফয়সাল ওই দিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কল করে বলে উপবৃত্তির জন্য স্বাক্ষর লাগবে। স্বাক্ষর না দিলে উপবৃত্তি আর পাব না। তাই কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মাকে বলে কলেজে আসি। কলেজে ঢুকে ফয়সালকে কল দিই পরে সে প্রশাসনিক ভবনের পেছনে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে বলি- ‘‘লোক কোথায়? ফয়সাল বলে খেতে গেছে।’’ সেই কথা বলেই মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে জাপটে ধরে। আমি চিৎকার করা শুরু করলে ফয়সাল আমাকে চাকু মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং ধর্ষণ করে।’
কিশোরী আরও বলে, ‘মাটিতে ফেলে দেওয়ার সময় আলামিন আমার পা ধরে রাখে। ভিডিও করে অজ্ঞাত আরেক ছেলে। প্রতি সপ্তাহে ফয়সাল তার সঙ্গে সময় কাটাতে বলে। অন্যথায় ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি কলেজের পিয়ন আব্দুর রহিম দেখলেও সহযোগিতা করেনি।’
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলে, ‘এরপর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সবাইকে বলি। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। পুলিশ আমাদের সঙ্গে অবিচার করেছে। তারা ধর্ষণচেষ্টার মামলা নিয়েছে। ওসি স্যারকে সমস্ত কিছু খুলে বলার পরও কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না।’
কিশোরী আরও বলে, ‘তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এখন জাতীয় নারী ফুটবল টিমের একজন সদস্য। দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলে মেডেল ও সনদ অর্জন করি। আমাদের টিম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছে।’
ভুক্তভোগীর বাবা-মা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমাদের মেয়ে খুব মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সে খুব ভালো। কিন্তু ফয়সাল আমাদের সর্বনাশ করে দিছে। এখন লজ্জায় বাইরে যেতে পারি না। কয়েক দিন ধরে দোকানও বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পরদিন শনিবার নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ আসামি ধরছে না। আমাদের মামলাও নিচ্ছে না। যার কারণে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’
এ নিয়ে কলেজের পিয়ন আব্দুর রহিম বলেন, ‘মেয়েটা কলেজে ঢোকার পর ফয়সাল তাকে জড়িয়ে ধরলে আমি কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ফয়সাল আমাকে চাকু দেখালে আমি বাইরে বের হয়ে মোবাইলে টাকা ভরে অধ্যক্ষ স্যারকে কল দিই। পরে অধ্যক্ষ স্যার তাদের বাইরে বের করে দিতে বলে।’
এদিকে ওই দিন নিরাপত্তাকর্মীর কাছে বিষয়টি শুনে ছেলেমেয়েকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তী সময়ে কোনো খোঁজখবর নেননি কলেজের অধ্যক্ষ বাদল কুমার দত্ত। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফয়সাল মাঝেমধ্যে কলেজে আসত কোনো কাজ থাকলে। তার সঙ্গে কলেজের তেমন কারও সখ্য নেই। সে এমন কাজ করে থাকলে তার বিচার হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই কিশোরী অভিযোগ দিলে শনিবার ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়া হয়। এতে ফয়সালসহ অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনেই ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, নিয়ম হচ্ছে ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা নেওয়া। সে ক্ষেত্রে যদি পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে জাতীয় পর্যায়ে খেলা এক কিশোরী (১৭) ফুটবলার ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুল আলম ফকির ফয়সালের বিরুদ্ধে। এদিকে ধর্ষণচেষ্টা মামলা নিয়েছে পুলিশ। এ নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগীর পরিবার।
জানা যায়, গত শুক্রবার উপবৃত্তির ফাইলে স্বাক্ষর দেওয়ার কথা বলে ওই কিশোরী ফুটবলারকে কলেজে ডেকে নেন ফয়সাল। পরে তাকে প্রশাসনিক ভবনের পেছনে নিয়ে মুখ চেপে গলায় চাকু ধরে ধর্ষণ ও ভিডিও করেন ফয়সাল। এতে তাঁকে সহযোগিতা করেন আলামিন (৩৪) ও অজ্ঞাত আরও এক সহযোগী। ঘটনা কাউকে বললে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়াসহ প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয় কিশোরীকে। ঘটনার পর থেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ভুক্তভোগী পরিবারটি।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলে, ‘কলেজে ভর্তি হওয়ার পর ফয়সালের সঙ্গে পরিচয়। তবে কোনো ঘনিষ্ঠতা নেই। কলেজে যাওয়া-আসার সময় খোঁজখবর নিত। সে বিবাহিত তার একটি ছেলেসন্তানও রয়েছে।’
ভুক্তভোগী বলে, ‘বাবা মুদির দোকান করে। পরিবারের সাত সদস্যের সংসার। ফয়সাল ওই দিন শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কল করে বলে উপবৃত্তির জন্য স্বাক্ষর লাগবে। স্বাক্ষর না দিলে উপবৃত্তি আর পাব না। তাই কল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাবা-মাকে বলে কলেজে আসি। কলেজে ঢুকে ফয়সালকে কল দিই পরে সে প্রশাসনিক ভবনের পেছনে যেতে বলে। সেখানে গিয়ে বলি- ‘‘লোক কোথায়? ফয়সাল বলে খেতে গেছে।’’ সেই কথা বলেই মুখ চেপে ধরে মাটিতে ফেলে দিয়ে জাপটে ধরে। আমি চিৎকার করা শুরু করলে ফয়সাল আমাকে চাকু মেরে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং ধর্ষণ করে।’
কিশোরী আরও বলে, ‘মাটিতে ফেলে দেওয়ার সময় আলামিন আমার পা ধরে রাখে। ভিডিও করে অজ্ঞাত আরেক ছেলে। প্রতি সপ্তাহে ফয়সাল তার সঙ্গে সময় কাটাতে বলে। অন্যথায় ভিডিও ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি হত্যার হুমকি দেয়। বিষয়টি কলেজের পিয়ন আব্দুর রহিম দেখলেও সহযোগিতা করেনি।’
ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলে, ‘এরপর বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি সবাইকে বলি। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। পুলিশ আমাদের সঙ্গে অবিচার করেছে। তারা ধর্ষণচেষ্টার মামলা নিয়েছে। ওসি স্যারকে সমস্ত কিছু খুলে বলার পরও কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না।’
কিশোরী আরও বলে, ‘তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করার সময় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এখন জাতীয় নারী ফুটবল টিমের একজন সদস্য। দেশের বিভিন্ন জায়গায় খেলে মেডেল ও সনদ অর্জন করি। আমাদের টিম প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেছে।’
ভুক্তভোগীর বাবা-মা বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই আমাদের মেয়ে খুব মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায়ও সে খুব ভালো। কিন্তু ফয়সাল আমাদের সর্বনাশ করে দিছে। এখন লজ্জায় বাইরে যেতে পারি না। কয়েক দিন ধরে দোকানও বন্ধ রয়েছে। ঘটনার পরদিন শনিবার নান্দাইল মডেল থানায় একটি অভিযোগ দিলেও পুলিশ আসামি ধরছে না। আমাদের মামলাও নিচ্ছে না। যার কারণে আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি।’
এ নিয়ে কলেজের পিয়ন আব্দুর রহিম বলেন, ‘মেয়েটা কলেজে ঢোকার পর ফয়সাল তাকে জড়িয়ে ধরলে আমি কাছে যাওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ফয়সাল আমাকে চাকু দেখালে আমি বাইরে বের হয়ে মোবাইলে টাকা ভরে অধ্যক্ষ স্যারকে কল দিই। পরে অধ্যক্ষ স্যার তাদের বাইরে বের করে দিতে বলে।’
এদিকে ওই দিন নিরাপত্তাকর্মীর কাছে বিষয়টি শুনে ছেলেমেয়েকে কলেজ থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা বললেও পরবর্তী সময়ে কোনো খোঁজখবর নেননি কলেজের অধ্যক্ষ বাদল কুমার দত্ত। এ বিষয়ে অধ্যক্ষ বলেন, ‘ঘটনাটি অনাকাঙ্ক্ষিত। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ফয়সাল মাঝেমধ্যে কলেজে আসত কোনো কাজ থাকলে। তার সঙ্গে কলেজের তেমন কারও সখ্য নেই। সে এমন কাজ করে থাকলে তার বিচার হওয়া উচিত।’
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান আকন্দ বলেন, ওই কিশোরী অভিযোগ দিলে শনিবার ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়া হয়। এতে ফয়সালসহ অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করা হয়। আজ বুধবার দুপুরে ফয়সালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ওসি আরও বলেন, ভুক্তভোগীর বক্তব্য শুনেই ধর্ষণচেষ্টার মামলা নেওয়া হয়েছে।
এ নিয়ে জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান বলেন, নিয়ম হচ্ছে ভুক্তভোগীর বক্তব্য অনুযায়ী মামলা নেওয়া। সে ক্ষেত্রে যদি পুলিশের কোনো গাফিলতি থাকে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন থাকলেও তার প্রভাব কম। শিশুদের জন্য যে পারিবারিক, সামাজিক এবং শিক্ষার পরিবেশ দরকার, তা এখনো পরিপূর্ণভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বাংলাদেশ জেন্ডার সমতায়নেও অনেক পিছিয়ে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা না থাকা এবং ধর্মীয় কারণে সমাজে বাল্যবিয়ে এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আগের তুলনায়
১ few সেকেন্ড আগেকুষ্টিয়ার কুমারখালীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ডাকা সালিসে দুই ব্যক্তিকে কুপিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। আহতদের মধ্যে একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী।
১০ মিনিট আগেঝিনাইদহের সাবেক দুই সংসদ সদস্যকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ রোববার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।
৩৮ মিনিট আগেমিসরের ইজিপ্ট এয়ারের দুটি উড়োজাহাজ ভাড়ায় অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পাঁচ কর্মকর্তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন বিমানের এই কর্মকর্তাদের কারাগারে
১ ঘণ্টা আগে