নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন থাকলেও তার প্রভাব কম। শিশুদের জন্য যে পারিবারিক, সামাজিক এবং শিক্ষার পরিবেশ দরকার, তা এখনো পরিপূর্ণভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বাংলাদেশ জেন্ডার সমতায়নেও অনেক পিছিয়ে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা না থাকা এবং ধর্মীয় কারণে সমাজে বাল্যবিয়ে এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আগের তুলনায় বাল্যবিয়ে কমলেও তা যথেষ্ট নয়। বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করতে প্রয়োজন মেয়েদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা। নকল জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে এবং বিয়ে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে অনলাইনে বিয়ে নিবন্ধন প্রয়োজন।
আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ডভিশন কার্যালয়ে ‘বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা: প্রেক্ষিত ও করণীয়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং দৈনিক সমকাল এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘সন্তান জন্ম দিয়ে আমরা বাবা-মা হই, কিন্তু যোগ্য অভিভাবক হতে পারি না। সন্তানদের জন্য যোগ্য শিক্ষক প্রয়োজন। ছেলে বা মেয়ে নয়, সন্তানকে সন্তান হিসেবেই দেখতে হবে, সেভাবেই বড় করতে হবে। ছেলে এবং মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে সম্মান বিনিয়োগ প্রয়োজন। পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইনটা নিয়েও ভাবা প্রয়োজন। ঘরের কাজটা সব সময় নারীর জন্যই বরাদ্দ থাকে, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিলভী পিংকি। তিনি জানান, বিশ্বে বাল্যবিয়ে প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামের মতো জেলাগুলোতে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। এই তিন জেলায় ইউনিসেফের অর্থায়নে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ (এসএসবিসি) প্রকল্প পরিচালনা করে ওয়ার্ল্ডভিশন। এই প্রকল্প পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা যায়, মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সম্ভব।
আলোচনায় অংশ নেন—ইউনিসেফের ইউনিসেফের সোশ্যাল চেঞ্জ বিহেভিয়র অফিসার সেতারায়ে জান্নাত, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশনস) চন্দন জেড গমেজ, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার প্রতিনিধি স্টিফেনি সেন্ট–লরেন্ট ব্রাসার্ড, ইউএসএআইডির ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. ইশরাত নায়ার, ইউনিসেফের প্রতিনিধি জেসমিন হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবী, বাংলাদেশ ইমাম পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ওসমান গণি প্রমুখ।
আলোচকেরা বলেন, বাল্যবিয়ের অন্যতম একটি কারণ অনিরাপত্তা। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ৮৯ শতাংশ বাড়িতেই সহিংসতার শিকার হয়। বাল্যবিয়ে রোধে মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত করতে হবে। এটা এনজিও বা কয়েকটি সংগঠন মিলে করা সম্ভব নয়। সরকারি বেসরকারি সব পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে হবে।
বাংলাদেশ ইমাম পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ওসমান গণি বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রোধে আমাদের সামাজিক পরিবর্তন প্রয়োজন। আর্থিক অনটনের কারণে অনেকে তার সন্তানের ফরম ফিল আপের টাকা দিতে পারে না। মেয়েকে পড়াতে পারেন না। তারা বাধ্য হয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। আবার দেখা যায়, এসএসসিতে ফেল করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এসব মেয়েদের জন্য যদি ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’
বক্তারা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ, রাজনৈতিক, ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
দেশে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন থাকলেও তার প্রভাব কম। শিশুদের জন্য যে পারিবারিক, সামাজিক এবং শিক্ষার পরিবেশ দরকার, তা এখনো পরিপূর্ণভাবে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বাংলাদেশ জেন্ডার সমতায়নেও অনেক পিছিয়ে। সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তা না থাকা এবং ধর্মীয় কারণে সমাজে বাল্যবিয়ে এখনো বিদ্যমান রয়েছে। আগের তুলনায় বাল্যবিয়ে কমলেও তা যথেষ্ট নয়। বাল্যবিয়ের মতো সামাজিক ব্যাধি নির্মূল করতে প্রয়োজন মেয়েদের আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তা। নকল জন্ম নিবন্ধন দেখিয়ে এবং বিয়ে নিবন্ধনের ক্ষেত্রে ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়ে ছেলে-মেয়েদের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এমন অবস্থায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে অনলাইনে বিয়ে নিবন্ধন প্রয়োজন।
আজ রোববার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ওয়ার্ল্ডভিশন কার্যালয়ে ‘বাল্যবিয়ে ও শিশুর প্রতি সহিংসতা: প্রেক্ষিত ও করণীয়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা এ সব কথা বলেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং দৈনিক সমকাল এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘সন্তান জন্ম দিয়ে আমরা বাবা-মা হই, কিন্তু যোগ্য অভিভাবক হতে পারি না। সন্তানদের জন্য যোগ্য শিক্ষক প্রয়োজন। ছেলে বা মেয়ে নয়, সন্তানকে সন্তান হিসেবেই দেখতে হবে, সেভাবেই বড় করতে হবে। ছেলে এবং মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে সম্মান বিনিয়োগ প্রয়োজন। পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইনটা নিয়েও ভাবা প্রয়োজন। ঘরের কাজটা সব সময় নারীর জন্যই বরাদ্দ থাকে, এই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’
স্বাগত বক্তব্য রাখেন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের ন্যাশনাল ডিরেক্টর সুরেশ বার্টলেট। মূল প্রবন্ধ তুলে ধরেন ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিলভী পিংকি। তিনি জানান, বিশ্বে বাল্যবিয়ে প্রবণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, গাইবান্ধা, কুড়িগ্রামের মতো জেলাগুলোতে বাল্যবিয়ের হার সবচেয়ে বেশি। এই তিন জেলায় ইউনিসেফের অর্থায়নে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে স্ট্রেংদেনিং সোশ্যাল অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল চেঞ্জ (এসএসবিসি) প্রকল্প পরিচালনা করে ওয়ার্ল্ডভিশন। এই প্রকল্প পরিচালনা করতে গিয়ে দেখা যায়, মানসিকতার পরিবর্তনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সম্ভব।
আলোচনায় অংশ নেন—ইউনিসেফের ইউনিসেফের সোশ্যাল চেঞ্জ বিহেভিয়র অফিসার সেতারায়ে জান্নাত, ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সিনিয়র ডিরেক্টর (অপারেশনস) চন্দন জেড গমেজ, গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডার প্রতিনিধি স্টিফেনি সেন্ট–লরেন্ট ব্রাসার্ড, ইউএসএআইডির ফ্যামিলি প্ল্যানিং অ্যান্ড রিপ্রোডাক্টিভ হেলথ স্পেশালিস্ট ডা. ইশরাত নায়ার, ইউনিসেফের প্রতিনিধি জেসমিন হোসেন, দৈনিক ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার রাবেয়া বেবী, বাংলাদেশ ইমাম পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ওসমান গণি প্রমুখ।
আলোচকেরা বলেন, বাল্যবিয়ের অন্যতম একটি কারণ অনিরাপত্তা। ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশুদের ৮৯ শতাংশ বাড়িতেই সহিংসতার শিকার হয়। বাল্যবিয়ে রোধে মানবিক মূল্যবোধ বিকশিত করতে হবে। এটা এনজিও বা কয়েকটি সংগঠন মিলে করা সম্ভব নয়। সরকারি বেসরকারি সব পর্যায়ে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। সামাজিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন করতে হবে।
বাংলাদেশ ইমাম পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক ওসমান গণি বলেন, ‘বাল্যবিয়ে রোধে আমাদের সামাজিক পরিবর্তন প্রয়োজন। আর্থিক অনটনের কারণে অনেকে তার সন্তানের ফরম ফিল আপের টাকা দিতে পারে না। মেয়েকে পড়াতে পারেন না। তারা বাধ্য হয়ে মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেন। আবার দেখা যায়, এসএসসিতে ফেল করলে তাদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়। এসব মেয়েদের জন্য যদি ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।’
বক্তারা বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে আইনের কঠোর প্রয়োগ, রাজনৈতিক, ধর্মীয় নেতা ও প্রতিনিধিদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) সদ্য সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক আদালত প্রাঙ্গণে জনরোষের শিকার হয়েছেন। তাঁকে কিল-ঘুষি ও লাথি মারার ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তিনি সিসিক ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদ্য সাবেক কাউন্সিলর।
২ মিনিট আগেবাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পুলিশ তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ওসমান গনি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১ ঘণ্টা আগেবাসার সামনে খাটিয়া। তাতে রাখা নিজ সন্তানের লাশ। নির্বাক তাকিয়ে মা নাইমুন নাহার। হয়তো তখনো কল্পনা করতে পারেনি তার ছেলে নিথর। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ স্বজনেরা।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক উজ্জলকে নির্যাতনের ঘটনায় রিজভী আহমেদ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে
২ ঘণ্টা আগে