কামরুল হাসান, ধোবাউড়া (ময়মনসিংহ)
'আয়া' ছাড়া কেউ দায়িত্বে নেই একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আসেন না কোনো ডাক্তার। ডাক্তার না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় পাঁচটি গ্রামের মানুষ। ওষুধ নিতে এসে রোগীদের প্রতিনিয়ত খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নেই প্রসূতিসেবা। এমন বেহাল দশায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চারপাশে পানি আর আবর্জনার স্তূপ। জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গেট নিয়মিত খোলা হলেও কেউ কোনো সেবা নিতে পারে না। 'আয়া' ছাড়া কোনো পদে নেই পোস্টিং। তাই এই আয়াই নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গেট খোলেন।
ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মিয়া (৫৫) বলেন, 'হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক আসতে দেখি না। নিয়মিত খোলা হলেও আমরা কোনো সেবা নিতে পারি না। জ্বর ও ঠান্ডায় উপজেলা সদরে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। নিজের এলাকায় হাসপাতাল থাকার পরেও কোনো কাজে আসছে না।'
একই গ্রামের একলাস উদ্দিন বলেন, 'এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক যুগের অধিক সময় ধরে থেকে মা ও শিশুসেবা বন্ধ থাকলেও কাউকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।'
ঘোষগাঁও ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের আকিকুল ইসলাম বলেন, 'ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি গ্রামের সাধারণ মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে; সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। করোনার মাঝেও ঠান্ডা-জ্বরের কোনো ওষুধ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।'
স্থানীয় সজীব মিয়া (২২) বলেন, 'কোনো দিন ডাক্তার আসতে দেখিনি। একজন মহিলা নিয়মিত গেট খোলে। শুনেছি উনি এখানের আয়া। এ ছাড়া আর কাউকে দেখা যায় না।'
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কর্মরত আয়া জাহানারা বেগমের সঙ্গে (৪৫) কথা বলে জানা যায়, এখানে তিনিসহ একজন ডাক্তার, একজন ভিজিটর, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন পিয়ন থাকার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে তিনি একাই পোস্টিং রয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গেট খোলা রাখি। আমি তো স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারি না, তাই এখানে কেউ সেবা পায় না।'
ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে মোট পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। জনবলের সংকটসহ নানা সমস্যায় ভেঙে পড়েছে এসব কেন্দ্রের সেবা। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক সেবা ও জনবলের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পারভেজ উদ্দিন বলেন, 'জনবলের সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এর সমাধান করা হবে।'
'আয়া' ছাড়া কেউ দায়িত্বে নেই একটি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আসেন না কোনো ডাক্তার। ডাক্তার না থাকায় স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় পাঁচটি গ্রামের মানুষ। ওষুধ নিতে এসে রোগীদের প্রতিনিয়ত খালি হাতে ফিরে যেতে হচ্ছে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে নেই প্রসূতিসেবা। এমন বেহাল দশায় ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির চারপাশে পানি আর আবর্জনার স্তূপ। জানা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গেট নিয়মিত খোলা হলেও কেউ কোনো সেবা নিতে পারে না। 'আয়া' ছাড়া কোনো পদে নেই পোস্টিং। তাই এই আয়াই নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গেট খোলেন।
ইউনিয়নের ঘোষগাঁও গ্রামের বাসিন্দা হোসেন মিয়া (৫৫) বলেন, 'হাসপাতালে কোনো চিকিৎসক আসতে দেখি না। নিয়মিত খোলা হলেও আমরা কোনো সেবা নিতে পারি না। জ্বর ও ঠান্ডায় উপজেলা সদরে চিকিৎসার জন্য যেতে হয়। নিজের এলাকায় হাসপাতাল থাকার পরেও কোনো কাজে আসছে না।'
একই গ্রামের একলাস উদ্দিন বলেন, 'এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এক যুগের অধিক সময় ধরে থেকে মা ও শিশুসেবা বন্ধ থাকলেও কাউকে কোনো পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।'
ঘোষগাঁও ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের আকিকুল ইসলাম বলেন, 'ইউনিয়নের প্রায় পাঁচটি গ্রামের সাধারণ মানুষ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসে; সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয়। করোনার মাঝেও ঠান্ডা-জ্বরের কোনো ওষুধ পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।'
স্থানীয় সজীব মিয়া (২২) বলেন, 'কোনো দিন ডাক্তার আসতে দেখিনি। একজন মহিলা নিয়মিত গেট খোলে। শুনেছি উনি এখানের আয়া। এ ছাড়া আর কাউকে দেখা যায় না।'
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে কর্মরত আয়া জাহানারা বেগমের সঙ্গে (৪৫) কথা বলে জানা যায়, এখানে তিনিসহ একজন ডাক্তার, একজন ভিজিটর, একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন পিয়ন থাকার কথা। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে তিনি একাই পোস্টিং রয়েছেন। তিনি বলেন, 'আমি নিয়মিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির গেট খোলা রাখি। আমি তো স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারি না, তাই এখানে কেউ সেবা পায় না।'
ধোবাউড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে মোট পাঁচটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। জনবলের সংকটসহ নানা সমস্যায় ভেঙে পড়েছে এসব কেন্দ্রের সেবা। এমন পরিস্থিতিতে সঠিক সেবা ও জনবলের সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পারভেজ উদ্দিন বলেন, 'জনবলের সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় সেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বিষয়গুলো কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত এর সমাধান করা হবে।'
রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের শমরিতা ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা এলাকার বিটাক মোড়ে বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির (বুটেক্স) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। রোববার (২৪ নভেম্বর) রাত ১০টা থেকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে দুই পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। রাত ১২টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘট
৩ ঘণ্টা আগেব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে যাওয়ার সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে আটক করেছে বিজিবি। আজ রোববার বিকেলে আখাউড়া স্থলবন্দর বিজিবি চেকপোস্ট থেকে তাঁকে আটক করে বিজিবি আইসিপি ক্যাম্পের টহলরত জওয়ানরা।
৩ ঘণ্টা আগেপুরান ঢাকায় সেন্ট গ্রেগরি স্কুল অ্যান্ড কলেজে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছেন সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার রাজধানীর ৩৫ এর অধিক কলেজের শিক্ষার্থীরা সোহরাওয়ার্দী কলেজে ভাঙচুর ও লুটপাট করার পর ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা ৫টার দিকে এ হামলা চালায়।
৪ ঘণ্টা আগে