রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন কাজলা এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। এতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীকে প্রধান আসামি করে মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। নগরের মতিহার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাকারিয়া মাসুদ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে এ মামলা দায়ের করেন। 

আজ বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাকিলুর রহমান সোহাগ (২৮), কর্মী মো. সোহান (৩৫) ও মো. তিমেল (২২), মতিহার থানা ছাত্রদলের সহসভাপতি মো. তরিকুল ইসলাম (৩১) ও আশরাফুল ইসলাম। তবে আশরাফুলের পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি। 

এর আগে ২৬ নভেম্বর দিবাগত রাত ২টার দিকে রাজশাহী নগরের কাজলা এলাকায় পাটখড়িবোঝাই একটি ট্রাকে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রাকে থাকা পাটখড়ি পুড়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ট্রাকের ক্ষতি হলেও কেউ আহত হননি। এ ঘটনার পর রাতেই প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ। 

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এলাকার সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলার চেষ্টা এবং যানবাহনে আগুন দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নসহ সরকারের প্রতি বিরূপ প্রভাব ও জনগণের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি, মানুষের জান-মাল ও সরকারি সম্পত্তির বিরুদ্ধে অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ড করার অপরাধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলা করা হয়েছে। 

ট্রাকে আগুন দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে মামলার প্রধান আসামি সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘গাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের চরিত্র। পুলিশ ও দলীয় নেতা-কর্মী দ্বারা বাসে আগুন দিয়ে গণতন্ত্রকামী মানুষদের নামে মিথ্যা মামলায় দিয়ে জেল খাটাচ্ছে। জনগণ এসব আর বিশ্বাস করে না। আমরা তারেক রহমানের আহ্বানে রাজপথে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে ভোটের অধিকারে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাব। এসব মিথ্যা মামলা-হামলা দিয়ে আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না।’ 

জানতে চাইলে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘ট্রাকে আগুন দেওয়ার ঘটনায় থানা-পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে ৷ এ ঘটনায় তদন্ত চলমান। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি ৷ তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’