Ajker Patrika

খালে পোলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব

নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি 
খালে পোলো দিয়ে মাছ ধরার উৎসব

নওগাঁর নিয়ামতপুরে খাল-বিল, নদীসহ জলাশয়ে কমতে শুরু করেছে পানি। স্বল্প পানিতে শিশু, কিশোর, বৃদ্ধসহ নানা বয়সীরা মেতেছে মাছ ধরার উৎসবে। ঝাঁকি জাল, ঠেলা জাল, পোলোসহ বিভিন্ন উপকরণে ধরছে মাছ। অনেকেই আবার খালি হাতে নেমে পড়ছেন মাছ ধরতে। দুপুর পর্যন্ত চলে মাছ ধরা। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত মাছ হাট-বাজারে বিক্রি করেন অনেকে। 

শীত মৌসুমের শেষ দিকে সাধারণত গ্রামগঞ্জে মাছ ধরার এই চিত্র চোখে পড়ে। কই, শিং, মাগুর, ট্যাংরা, পুঁটি, খইলসা, শোল, টাকি, বোয়াল, বাইন, কাতলা মাছেই বেশি ধরা পড়ে। মিলছে সিলভার কার্প, গ্রাস কার্পসহ পুকুরে চাষ করা বিভিন্ন মাছও। বর্ষাকালে বিভিন্ন জলমহালের মাছ ভেসে গিয়ে ডোবা-পুকুর, খাল-বিল এবং নিচু জমিতে আশ্রয় নেয়। এখন ধরা পড়ছে এসব মাছ। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের কুমরইল-বেলডাঙ্গা খালে চাম্পাইডাঙ্গা, আশেকপুর, কুমরইল, বেলডাঙ্গা ও আশনদী গ্রামের ২১ জন শৌখিন শিকারিরা মিলে সকাল থেকে মাছ ধরতে ব্যস্ত সময় পার করেন। পোলো দিয়ে লাইন ধরে সকলে মিলে মাছ ধরার এমন দৃশ্য নজর কাড়ে। 

নিয়ামতপুরে খালে পোলো দিয়ে মাছ ধারছেন গ্রামবাসীশৌখিন মাছ শিকারি হামিদ খান বলেন, ‘খালের পানি কমে আসায় ৫ গ্রামের ২১ জন মিলে একসঙ্গে মাছ ধরছি। এখন পর্যন্ত ১০টি বোয়াল মাছ পেয়েছি। এর মধ্যে একটির ওজন দুই কেজি। সবকটি মিলে ১৫ কেজির মতো হবে। মাছগুলো কেটে ভাগ করা হয়েছে রান্নার জন্য।’ 

মাছ-৩যতীন দাস বলেন, ‘শুধু আমাদের এখানেই নয় অন্য সব খাল-বিলেই এ সময় মাছ ধরা উৎসব চলে। অবসর সময় দেখে সকলে এক সঙ্গে মিলিত হয়ে মাছ ধরতে এসেছি। আসলে মিলিত হয়ে মাছ ধরার মজাই অন্যরকম।’ 

মাছ ধরার পর দাঁড়িপাল্লায় ভাগ করা হচ্ছেউপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমতিয়াজ মোরশেদ বলেন, ‘আমাদের চমৎকার একটি গ্রামীণ ঐতিহ্য হলো দল বেধে মাছ ধরা উৎসব। দল বেধে মাছ ধরাটা গ্রাম বাংলার সহজাত সম্প্রতিকে ধারণ করে। এ উৎসব অটুট থাকুক যুগ যুগ ধরে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত