নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহীতে একটি সমবায় সমিতির লাখ লাখ টাকা তছরুপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর এই সমিতি শুধু ভাড়া বাবদই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা আয় করে থাকে। কিন্তু বছরের পর বছর নিরীক্ষার সময় আয়ের হিসাব তুলে ধরা হয় কম। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সমিতির আয়-ব্যয়ের টাকার অঙ্ক সমান। এ নিয়ে সমিতিরই একজন সদস্য আদালতে মামলা করেছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
সমিতিটির নাম রাজশাহী রিফিউজি কো-অপারেটিভ স’মিল লিমিটেড। এই সমিতির বয়স ৭১ বছর। ১৯৫২ সালে সমিতিটি নিবন্ধন পায়। এর নিবন্ধন নম্বর-২২। আইডি নম্বর ৮১২২০০৩৯১। এটি মূলত ভারত থেকে রাজশাহীতে আসা তৎকালীন মুহাজির বা রিফিউজি কাঠ মিল ব্যবসায়ীদের সমিতি। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের জেলা প্রশাসক রাজশাহী নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৪ কাঠা খাস জমি সমিতিটিকে ইজারা দেয়। এখনো ওই ইজারা চলমান। রাজশাহী নিউমার্কেট সংলগ্ন জমিটি প্রধান সড়ক লাগোয়া। এটি এখন শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠেছে।
এই জমিতেই কয়েকটি দোকানপাট ও কার্যালয় নির্মাণ করে রাজশাহী রিফিউজি কো-অপারেটিভ স’মিল লিমিটেড। প্রতি মাসে এসব দোকানপাট ও কার্যালয় থেকে ভাড়া ওঠে। সেই ভাড়ার টাকাই তছরুপ করা হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল সমিতির সহসভাপতি মো. সোবহান বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় সমিতির সভাপতি আবদুল জাব্বার আনসারী, সাধারণ সম্পাদক আসলাম পারভেজ, সদস্য সারফারাজ আব্বাস ও জুলেখা আব্বাসকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে আবদুল জাব্বার আনসারী ও আসলাম পারভেজ সম্পর্কে সহোদর। আর জুলেখা ও সারফারাজ হলেন সভাপতি জাব্বার আনসারীর সন্তান। ছয় সদস্যের কমিটির মধ্যে এই পরিবারটিই চারটি পদ দখল করে আছে। আর তাদের বিরুদ্ধেই সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শুধু ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ দুই অর্থবছরেই মামলার আসামিরা দোকান ভাড়ার ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ও জামানতের ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলা অনুযায়ী, সমিতি জিয়াউল হক নামের এক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে বছরে ৩৬ হাজার, খাজা বাবা নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার, একটি দোকান থেকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার, একটি বিরিয়ানির দোকান থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার ও আরেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে থাকে। প্রতি অর্থবছরে সমিতি ভাড়া থেকেই ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আদায় করে থাকে।
এ টাকা সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য দুই সদস্য ইচ্ছেমতো লুটপাট করা হয়। শুধু তা-ই নয়, সমিতির এই চার সদস্যই অনিয়ম করে সমিতিতে তাদের শেয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে সভাপতি আনসারীর শেয়ারের সংখ্যা ছিল ৫৮০টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬৮০টি করে নেওয়া হয়। একইভাবে ছেলে সারফারাজ ও মেয়ে জুলেখার ১৩০টি করে শেয়ার ছিল। তা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৩০টি করে নেওয়া হয়। জামাতা সাব্বির আহমেদের কোনো শেয়ার ছিল না। হঠাৎ কাগজে-কলমে তাঁর শেয়ার ১ হাজার ২০০টি করা হয়। কীভাবে তাঁদের পরিবারের শেয়ার রাতারাতি বেড়ে গেছে তা সমিতির অন্য সদস্যরা জানেন না। এ ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ সমিতির অন্য সদস্যদের।
সমিতির সদস্য মো. আলমগীর বলেন, এই সমিতিতে মোট সদস্য আছেন ৪৫ জন। সমিতির আয় সদস্যদের কল্যাণে তাঁদের মাঝে বণ্টনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি-সম্পাদক তা করেন না। সমিতির আয়-ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে করার নিয়ম থাকলেও সেটাও করা হয় না। তাঁরা আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাবও কাউকে দেন না। ইচ্ছেমতো ব্যয় দেখিয়ে ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর সমিতির লাখ লাখ টাকা তছরুপ করা হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে সমিতির সভাপতি আবদুল জাব্বার আনসারী বলেন, ‘আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক না। সহসভাপতি মামলা করেছেন তা ঠিক। কিন্তু সবকিছু তো তাঁকে নিয়েই করা হয়েছে।’ পরিবারের সদস্যদের শেয়ার নিয়ম মেনে বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতি অর্থবছরে শুধু ভাড়া থেকেই সংগঠনটি ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আয় করে। কিন্তু সমবায় কর্মকর্তা যে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন, তাতে এই আয় দেখানো হয় না। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ টাকা আয় দেখানো হয়। আর খরচও দেখানো হয় ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ টাকা। সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এই আয়-ব্যয় হিসাব বিবরণী অনুমোদন দেন নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন থানা সমবায় কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা আয় এবং একই পরিমাণ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এই নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর করা হিসাব বিবরণী অনুমোদন দেন নিরীক্ষক ও মেট্রোপলিটন থানা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক বিউটি রানী সাহা।
মামলার বাদী মো. সোবহান বলেন, ‘সমবায় কর্মকর্তাকে “ম্যানেজ” করে বছরের পর বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। এভাবে সমিতির আয়-ব্যয় সমান দেখানো হয়। বাস্তবে ব্যয়ের চেয়ে আয় অনেক বেশি। এই টাকা সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ কয়েকজন আত্মসাৎ করেন।’
জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসলাম পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব হিসাবই তো অডিট রিপোর্টে দেওয়া যায় না। বোঝেনই তো! নিজেদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়।’
বছর বছর আয়-ব্যয় সমান দেখিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুতের ব্যাপারে মেট্রোপলিটন থানা সমবায় কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন বলেন, ‘সভাপতি-সম্পাদক যে হিসাব বিবরণী দেন, যাচাই-বাছাই করেই সেটা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর বেশি কোনো আয় হয় কিনা তা জানি না।’
রাজশাহীতে একটি সমবায় সমিতির লাখ লাখ টাকা তছরুপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতি বছর এই সমিতি শুধু ভাড়া বাবদই প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা আয় করে থাকে। কিন্তু বছরের পর বছর নিরীক্ষার সময় আয়ের হিসাব তুলে ধরা হয় কম। নিরীক্ষা প্রতিবেদনে দেখানো হয়, সমিতির আয়-ব্যয়ের টাকার অঙ্ক সমান। এ নিয়ে সমিতিরই একজন সদস্য আদালতে মামলা করেছেন। বিপুল পরিমাণ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে করা এ মামলায় কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ চার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
সমিতিটির নাম রাজশাহী রিফিউজি কো-অপারেটিভ স’মিল লিমিটেড। এই সমিতির বয়স ৭১ বছর। ১৯৫২ সালে সমিতিটি নিবন্ধন পায়। এর নিবন্ধন নম্বর-২২। আইডি নম্বর ৮১২২০০৩৯১। এটি মূলত ভারত থেকে রাজশাহীতে আসা তৎকালীন মুহাজির বা রিফিউজি কাঠ মিল ব্যবসায়ীদের সমিতি। ১৯৬৬ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান সরকারের জেলা প্রশাসক রাজশাহী নগরীর গোরহাঙ্গা এলাকায় প্রায় সাড়ে ১৪ কাঠা খাস জমি সমিতিটিকে ইজারা দেয়। এখনো ওই ইজারা চলমান। রাজশাহী নিউমার্কেট সংলগ্ন জমিটি প্রধান সড়ক লাগোয়া। এটি এখন শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা হয়ে উঠেছে।
এই জমিতেই কয়েকটি দোকানপাট ও কার্যালয় নির্মাণ করে রাজশাহী রিফিউজি কো-অপারেটিভ স’মিল লিমিটেড। প্রতি মাসে এসব দোকানপাট ও কার্যালয় থেকে ভাড়া ওঠে। সেই ভাড়ার টাকাই তছরুপ করা হয় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে গত ১৫ এপ্রিল সমিতির সহসভাপতি মো. সোবহান বাদী হয়ে রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার আমলি আদালতে মামলাটি করেন।
মামলায় সমিতির সভাপতি আবদুল জাব্বার আনসারী, সাধারণ সম্পাদক আসলাম পারভেজ, সদস্য সারফারাজ আব্বাস ও জুলেখা আব্বাসকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে আবদুল জাব্বার আনসারী ও আসলাম পারভেজ সম্পর্কে সহোদর। আর জুলেখা ও সারফারাজ হলেন সভাপতি জাব্বার আনসারীর সন্তান। ছয় সদস্যের কমিটির মধ্যে এই পরিবারটিই চারটি পদ দখল করে আছে। আর তাদের বিরুদ্ধেই সমিতির বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শুধু ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ দুই অর্থবছরেই মামলার আসামিরা দোকান ভাড়ার ১৪ লাখ ৮৮ হাজার টাকা ও জামানতের ১২ লাখ ৯৪ হাজার ৯০ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। মামলা অনুযায়ী, সমিতি জিয়াউল হক নামের এক ভাড়াটিয়ার কাছ থেকে বছরে ৩৬ হাজার, খাজা বাবা নামের আরেকটি প্রতিষ্ঠান থেকে ১ লাখ ২০ হাজার, একটি দোকান থেকে ৩ লাখ ৩৬ হাজার, একটি বিরিয়ানির দোকান থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার ও আরেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১২ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করে থাকে। প্রতি অর্থবছরে সমিতি ভাড়া থেকেই ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আদায় করে থাকে।
এ টাকা সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ অন্য দুই সদস্য ইচ্ছেমতো লুটপাট করা হয়। শুধু তা-ই নয়, সমিতির এই চার সদস্যই অনিয়ম করে সমিতিতে তাদের শেয়ারের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে সভাপতি আনসারীর শেয়ারের সংখ্যা ছিল ৫৮০টি। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে ৪ হাজার ৬৮০টি করে নেওয়া হয়। একইভাবে ছেলে সারফারাজ ও মেয়ে জুলেখার ১৩০টি করে শেয়ার ছিল। তা বাড়িয়ে ১ হাজার ২৩০টি করে নেওয়া হয়। জামাতা সাব্বির আহমেদের কোনো শেয়ার ছিল না। হঠাৎ কাগজে-কলমে তাঁর শেয়ার ১ হাজার ২০০টি করা হয়। কীভাবে তাঁদের পরিবারের শেয়ার রাতারাতি বেড়ে গেছে তা সমিতির অন্য সদস্যরা জানেন না। এ ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র ও নিয়মনীতির তোয়াক্কা করা হয়নি বলে অভিযোগ সমিতির অন্য সদস্যদের।
সমিতির সদস্য মো. আলমগীর বলেন, এই সমিতিতে মোট সদস্য আছেন ৪৫ জন। সমিতির আয় সদস্যদের কল্যাণে তাঁদের মাঝে বণ্টনের নিয়ম রয়েছে। কিন্তু কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি-সম্পাদক তা করেন না। সমিতির আয়-ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে করার নিয়ম থাকলেও সেটাও করা হয় না। তাঁরা আয়-ব্যয়ের কোনো হিসাবও কাউকে দেন না। ইচ্ছেমতো ব্যয় দেখিয়ে ২০১৪ সাল থেকে প্রতিবছর সমিতির লাখ লাখ টাকা তছরুপ করা হচ্ছে।’
অভিযোগের বিষয়ে সমিতির সভাপতি আবদুল জাব্বার আনসারী বলেন, ‘আত্মসাতের অভিযোগ সঠিক না। সহসভাপতি মামলা করেছেন তা ঠিক। কিন্তু সবকিছু তো তাঁকে নিয়েই করা হয়েছে।’ পরিবারের সদস্যদের শেয়ার নিয়ম মেনে বাড়ানো হয়েছে বলেও দাবি তাঁর।
নথিপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, প্রতি অর্থবছরে শুধু ভাড়া থেকেই সংগঠনটি ৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা আয় করে। কিন্তু সমবায় কর্মকর্তা যে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন, তাতে এই আয় দেখানো হয় না। ২০২২-২৩ অর্থবছরে সব মিলিয়ে ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ টাকা আয় দেখানো হয়। আর খরচও দেখানো হয় ৪ লাখ ১৬ হাজার ৩৪৩ টাকা। সভাপতি-সম্পাদক স্বাক্ষরিত এই আয়-ব্যয় হিসাব বিবরণী অনুমোদন দেন নিরীক্ষা কর্মকর্তা ও রাজশাহী মেট্রোপলিটন থানা সমবায় কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরেও ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৬০৩ টাকা আয় এবং একই পরিমাণ টাকা ব্যয় দেখানো হয়। এই নিরীক্ষা প্রতিবেদনেও সমিতির সভাপতি-সম্পাদকের স্বাক্ষর করা হিসাব বিবরণী অনুমোদন দেন নিরীক্ষক ও মেট্রোপলিটন থানা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক বিউটি রানী সাহা।
মামলার বাদী মো. সোবহান বলেন, ‘সমবায় কর্মকর্তাকে “ম্যানেজ” করে বছরের পর বছর নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুত করা হয়। এভাবে সমিতির আয়-ব্যয় সমান দেখানো হয়। বাস্তবে ব্যয়ের চেয়ে আয় অনেক বেশি। এই টাকা সমিতির সভাপতি-সম্পাদকসহ কয়েকজন আত্মসাৎ করেন।’
জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসলাম পারভেজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সব হিসাবই তো অডিট রিপোর্টে দেওয়া যায় না। বোঝেনই তো! নিজেদের মধ্যে বণ্টন করতে হয়।’
বছর বছর আয়-ব্যয় সমান দেখিয়ে নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রস্তুতের ব্যাপারে মেট্রোপলিটন থানা সমবায় কর্মকর্তা নাছিমা খাতুন বলেন, ‘সভাপতি-সম্পাদক যে হিসাব বিবরণী দেন, যাচাই-বাছাই করেই সেটা অনুমোদন দেওয়া হয়। এর বেশি কোনো আয় হয় কিনা তা জানি না।’
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পুলিশ তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ওসমান গনি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৯ মিনিট আগেবাসার সামনে খাটিয়া। তাতে রাখা নিজ সন্তানের লাশ। নির্বাক তাকিয়ে মা নাইমুন নাহার। হয়তো তখনো কল্পনা করতে পারেনি তার ছেলে নিথর। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ স্বজনেরা।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক উজ্জলকে নির্যাতনের ঘটনায় রিজভী আহমেদ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে
২ ঘণ্টা আগেতাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামীণ হাট থেকে জেলা বা বিভাগীয় শহরের প্রতিটি বাজারে বাজারদর বোর্ডে তুলে ধরতে হবে। যা নির্ধারণ করা হবে উৎপাদক বা কৃষক পর্যায়ের দামের ওপর। কোনো বিক্রেতা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগে