নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ার (২৩) হলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা গেছেন। কিন্তু কেন তিনি বারান্দার রেলিং থেকে পড়ে গেলেন সে প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। পুলিশ বলছে, শাহরিয়ারের ছাদ থেকে পড়ার কারণ খোঁজা হচ্ছে।
গত বুধবার রাত আটটার দিকে হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। এ সময় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাহরিয়ারের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বেতুড়া গ্রামে।
শাহরিয়ারকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের একজন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওপর থেকে কিছু পড়ার শব্দ শুনে রুম থেকে বের হয়ে দেখি, টিউবওয়েলের শানের ওপর শাহরিয়ার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। সেখানে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পরে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
শাহরিয়ারের বন্ধু মেহেদী হাসানের দাবি, এটি আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা নয়। এটি ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হঠাৎই আশ্চর্যজনকভাবে হলের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক মৃত্যুর কাতারে পড়ে না। সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘শাহরিয়ার বারান্দা থেকে পড়ে মারা গেছেন, এটা সত্য। কিন্তু কীভাবে পড়েছেন সেটা প্রশ্ন। নিজে লাফ দিয়েছেন, অসতর্কতায় পড়েছেন নাকি অন্য কেউ ফেলে দিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের অংশ হিসেবে গোপনে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
রামেক হাসপাতালে শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁর চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন রাবির শিক্ষার্থীরা। সে রাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার প্রতিবাদ করায় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাদের মারধর করেছেন। চিকিৎসায় অবহেলা ও মারধরের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে পর রাত ২টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফেরেন। তবে এর আগে রাত সাড়ে ১১টা থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তাদের দাবি, বিক্ষুব্ধ রাবি শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করেছেন। তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। পরে সন্ধ্যা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শিথিল করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আল্টিমেটাম দিয়ে রেখেছেন যে,২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী রাবি শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সমুদ্র দাস বলেন, রাবি শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কাজে ফেরেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আল্টিমেটামের সময় শেষ হচ্ছে। শনিবার তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, অভিযোগটির প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দেওয়ায় রাবি কর্তৃপক্ষও আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ওই রাতে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকজন রাবি শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কারণে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী গোলাম মোস্তফা শাহরিয়ার (২৩) হলের বারান্দা থেকে পড়ে মারা গেছেন। কিন্তু কেন তিনি বারান্দার রেলিং থেকে পড়ে গেলেন সে প্রশ্নের উত্তর মিলছে না। পুলিশ বলছে, শাহরিয়ারের ছাদ থেকে পড়ার কারণ খোঁজা হচ্ছে।
গত বুধবার রাত আটটার দিকে হবিবুর রহমান হলের তৃতীয় ব্লকের বারান্দা থেকে পড়ে গুরুতর আহত হন মার্কেটিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার। এ সময় তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত শাহরিয়ারের গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরের বিরল উপজেলার বেতুড়া গ্রামে।
শাহরিয়ারকে উদ্ধার করা ব্যক্তিদের একজন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ওপর থেকে কিছু পড়ার শব্দ শুনে রুম থেকে বের হয়ে দেখি, টিউবওয়েলের শানের ওপর শাহরিয়ার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তাঁর জ্ঞান ছিল না। সেখানে তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছিল। পরে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।’
শাহরিয়ারের বন্ধু মেহেদী হাসানের দাবি, এটি আত্মহত্যা বা দুর্ঘটনা নয়। এটি ষড়যন্ত্র। তিনি বলেন, ‘একজন মেধাবী শিক্ষার্থী হঠাৎই আশ্চর্যজনকভাবে হলের বারান্দা থেকে পড়ে যাওয়াটা স্বাভাবিক মৃত্যুর কাতারে পড়ে না। সুষ্ঠু তদন্ত করার জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, ‘শাহরিয়ার বারান্দা থেকে পড়ে মারা গেছেন, এটা সত্য। কিন্তু কীভাবে পড়েছেন সেটা প্রশ্ন। নিজে লাফ দিয়েছেন, অসতর্কতায় পড়েছেন নাকি অন্য কেউ ফেলে দিয়েছে তা তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের অংশ হিসেবে গোপনে ঘটনা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।’
রামেক হাসপাতালে শাহরিয়ারকে মৃত ঘোষণা করার পর তাঁর চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ তোলেন রাবির শিক্ষার্থীরা। সে রাতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। তাদের অভিযোগ, চিকিৎসায় অবহেলার প্রতিবাদ করায় ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা তাদের মারধর করেছেন। চিকিৎসায় অবহেলা ও মারধরের প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পরে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে পর রাত ২টায় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ফেরেন। তবে এর আগে রাত সাড়ে ১১টা থেকে হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা কর্মবিরতি শুরু করেন। তাদের দাবি, বিক্ষুব্ধ রাবি শিক্ষার্থীরা তাদের মারধর করেছেন। তারা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে।
এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা ৩০০ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছে। পরে সন্ধ্যা থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি শিথিল করা হয়।
শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সবাই কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে ইন্টার্ন চিকিৎসকেরা আল্টিমেটাম দিয়ে রেখেছেন যে,২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারী রাবি শিক্ষার্থীরা গ্রেপ্তার না হলে তারা কঠোর কর্মসূচি দেবেন।
রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসক সমুদ্র দাস বলেন, রাবি শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছেন। তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তাই হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে তারা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে কাজে ফেরেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় আল্টিমেটামের সময় শেষ হচ্ছে। শনিবার তারা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবেন। সেখান থেকে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
তবে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত এ ব্যাপারে কোনো মামলা রেকর্ড হয়নি। রাজপাড়া থানার ওসি সিদ্দিকুর রহমান জানান, অভিযোগটির প্রাথমিক তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দেওয়ায় রাবি কর্তৃপক্ষও আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। ওই রাতে হাসপাতালের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে কয়েকজন রাবি শিক্ষার্থী আহত হওয়ার কারণে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার পুলিশ তাদের জেলা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে বিচারক মো. ওসমান গনি জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
৩৫ মিনিট আগেবাসার সামনে খাটিয়া। তাতে রাখা নিজ সন্তানের লাশ। নির্বাক তাকিয়ে মা নাইমুন নাহার। হয়তো তখনো কল্পনা করতে পারেনি তার ছেলে নিথর। পুরো বাড়িতে কান্নার রোল। প্রিয় সন্তানকে হারিয়ে পাগল প্রায় বাবা-মাসহ স্বজনেরা।
১ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগ সমর্থক উজ্জলকে নির্যাতনের ঘটনায় রিজভী আহমেদ দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। প্রশাসন বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে
১ ঘণ্টা আগেতাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী গ্রামীণ হাট থেকে জেলা বা বিভাগীয় শহরের প্রতিটি বাজারে বাজারদর বোর্ডে তুলে ধরতে হবে। যা নির্ধারণ করা হবে উৎপাদক বা কৃষক পর্যায়ের দামের ওপর। কোনো বিক্রেতা অতিরিক্ত দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবে না। এটি বাস্তবায়ন করা গেলে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্রব্যমূল্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আসবে বলে আশা
২ ঘণ্টা আগে