স্ত্রীকে হত্যা করে পানিতে চুবিয়ে রেখেছিলেন তিনি, ২১ বছর পর ফাঁসির রায়

জয়পুরহাট প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৩, ১৮: ২১

জয়পুরহাটে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে তাঁকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির জইমুদ্দিন (৫৮)। আক্কেলপুর উপজেলার ভিকনী গ্রামের বাসিন্দা। এ রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। এখনো পলাতক রয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা ও দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল। 

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে জানা যায়, জইমুদ্দিন ও স্ত্রী আনোয়ারা বেগমের সংসার জীবনে মাঝেমধ্যে কলহ হতো। এরই ধারাবাহিকতায় ২০০২ সালের ১৯ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাঁদের মধ্যে আবারও ঝগড়া হয়। এরই একপর্যায়ে জইমুদ্দিন তাঁর স্ত্রী আনোয়ারাকে গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেন। এরপর তিনি বাড়ির পাশের একটি পুকুরে আনোয়ারার লাশ ডুবিয়ে রাখেন। এ ঘটনার পরের দিন সকালে জইমুদ্দিন যথারীতি কাজ করতে বাইরে যান। 

ওই দিন সকালে স্বজন ও প্রতিবেশীরা জইমুদ্দিনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে ঘরের ভেতরে সবজি (আলু-পটল) ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকতে দেখেন। আনোয়ারা বাড়ির আশপাশেই আছেন ভেবে প্রতিবেশী ও স্বজনেরা তাঁকে খোঁজাখুঁজি করেন। কিন্তু আনোয়ারার সাড়া পাননি। একপর্যায়ে তাঁরা বাড়ির পাশের একটি পুকুরের পানিতে আনোয়ারার একটি পা ভেসে থাকতে দেখেন। এরপর তাঁরা লাশটি পুকুর থেকে তুলে আনেন এবং পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠান। 

এ ঘটনায় নিহত আনোয়ারার ভাই আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ওই বছর ২০ আগস্ট আক্কেলপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০০২ সালের ২১ নভেম্বর আদালতে জইমুদ্দিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর দীর্ঘ শুনানি ও যাবতীয় আইনগত প্রক্রিয়া শেষে সোমবার দুপুরে আদালত মামলার এ রায় ঘোষণা করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত