বগুড়ায় জমজমাট এক দিনের বউমেলা

গনেশ দাস, বগুড়া
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ২০
আপডেট : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৯: ৩১

মেলার ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই নারী। কেবল নারীদের জন্যই এ মেলার আয়োজন। এ কারণে এর নামকরণ করা হয় বউমেলা। বগুড়ার গাবতলী উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা মহিষাবান গ্রামে বছরে এক দিনের জন্য বসে ব্যতিক্রমী এই মেলা। ৩০ বছর ধরে পোড়াদহ মেলার পরের দিন ধারাবাহিকভাবে হয়ে আসছে এই মেলাটি। 

আজ বৃহস্পতিবার পোড়াদহ মেলার স্থলে বসেছিল বউমেলা। মূলত গাবতলী উপজেলার পোড়াদহ মাছের মেলাকে কেন্দ্র করে এলাকার হাজারো মেয়ে বাবার বাড়িতে এসে পরের দিন বউমেলায় যান স্বজন-বন্ধুদের সঙ্গে। অন্য এলাকার যেসব মেয়ের বিয়ে হয়েছে এই গ্রামে, তাঁরাও আসেন শ্বশুরবাড়ির ঐতিহ্যের এই মেলায়। 

মেলা উপলক্ষে মেয়েরা আসেন বাপের বাড়ি। তরুণী, গৃহবধূসহ কয়েক হাজার নারীর সমাগম ঘটে এই মেলায়। সকাল থেকেই এলাকার নানা বয়সী নারীরা কেনাকাটার জন্য আসতে থাকেন মেলায়। এই উৎসবকে ঘিরে জমজমাট হয়ে ওঠে নানা রকম পণ্যের বেচাকেনা। 

বগুড়ার গাবতলীতে বউমেলায় নারীদের ভিড়মেলায় ত্রিপল আর সামিয়ানা টানিয়ে পসরা সাজিয়ে বসেছিলেন দোকানিরা। সকাল থেকেই এলাকার সব বয়সী নারীরা কেনাকাটার জন্য ভিড় জমাতে শুরু করেন। দুপুরের দিকে মেলা পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে ক্রেতাদের পদভারে। নারীদের প্রসাধনী সামগ্রীই মেলার প্রধান উপজীব্য হলেও মেলা চত্বরে স্থান পেয়েছিল গৃহস্থালির প্রয়োজনীয় তৈজসপত্রসহ অন্য সামগ্রী আর বাচ্চাদের খেলনা। রেশমি চুড়ি, আলতা, ফিতে, টিপ, ইমিটেশনের গয়নাসহ নানা ব্যবহার্য পণ্য বিক্রি হয় মেলায়। 

বউমেলার আয়োজক জাহিদুল ইসলাম বলেন, পোড়াদহ মেলায় প্রচণ্ড ভিড়ের কারণে নারীরা যেতে পারেন না। এ কারণে পরের দিন আমন্ত্রিতসহ স্থানীয় নারীদের জন্য আয়োজন করা মেলাটি পরিচিতি লাভ করেছে ‘বউমেলা’ হিসেবে। এখানে নারীদের কেনাকাটা নির্বিঘ্ন আর নিরাপদ করতে স্থানীয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। আর মেলা চত্বরে কোনো পুরুষ ঢুকলে নারীরাই তার কাছে কৈফিয়ত তলব করেন। এ কারণে কোনো পুরুষ মেলার ভেতর প্রবেশ করেন না। 

জাহিদুল ইসলাম আরও জানান, গ্রামের ভেতরে এক দিনের মেলা হলেও সেখানে ভালো কেনাকাটা হয়। মেলায় আগত দোকানিদের কোনো টোল দিতে হয় না বলে প্রতিবছরই মেলায় বিক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত