লঘুদণ্ডে দায়মুক্তি: সমাজসেবার সেই কর্মকর্তার সম্পদের খোঁজে দুদক

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ২২ মার্চ ২০২৪, ১২: ৪৫
Thumbnail image

লঘুদণ্ডে দায়মুক্তি পাওয়া সমাজসেবা অধিদপ্তরের রাজশাহী আঞ্চলিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজের কোনো অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

দুদক জানিয়েছে, ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ আগে রাজশাহী জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ছিলেন। ওই সময় তিনি নানা অনিয়ম-দুর্নীতি করেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছে দুদক। অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে গত বছরের ১১ ডিসেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজের দুর্নীতি অনুসন্ধানের ছাড়পত্র দেওয়া হয়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক খায়রুল বাশারকে অনুসন্ধান কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।

এর আগে অধিদপ্তরের অভ্যন্তরীণ তদন্তেও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজের নানা অনিয়ম ধরা পড়ে। এ নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হয়। ২০২০ সালের ৪ অক্টোবর এই কর্মকর্তাকে দুই বছরের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি স্থগিতের লঘুদণ্ড দিয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করা হয়। ২০২৩ সালের ১২ জানুয়ারি প্রকাশিত গেজেটে সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন-৫ (প্রশাসন ও শৃঙ্খলা) শাখার এই প্রজ্ঞাপনটি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

ফিরোজের স্ত্রী জেসমিন আরা পারভিন, ছেলে জাহিদ বিন আব্দুল্লাহ, রাফিদ বিন আব্দুল্লাহ, মেয়ে ফাতেমা বিনতে আব্দুল্লাহ ও ফাতেহা বিনতে আব্দুল্লাহর নামে কোনো সম্পদ রয়েছে কি না, তারও অনুসন্ধান করছে দুদক। ইতিমধ্যে দুদক এই কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছে।

দুদকের অনুসন্ধানের বিষয়ে ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজ বলেন, ‘যে কারও বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলতেই পারে। অনুসন্ধানাধীন বিষয় নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করার কিছু নেই।’ তিনি বলেন, ‘যখনই আমার পদোন্নতির বিষয়টা সামনে আসে, তখনই ষড়যন্ত্র করা হয়। কারণ, আমি পদোন্নতি পেলে অনেকের ডিডিগিরি থাকবে না। সে জন্য এসব ষড়যন্ত্র। কোনো অভিযোগই সত্য নয়।’

মন্ত্রণালয় থেকে লঘুদণ্ড দেওয়ার বিষয়ে ফিরোজ বলেন, ‘ওই বিষয়টাও সত্য নয়। লঘুদণ্ড দেওয়ার ওই আদেশের বিরুদ্ধে আমি প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। আগামী এপ্রিল মাসে এই মামলার চূড়ান্ত শুনানি আছে। আমার সৎসাহস আছে বলেই তো মামলা করেছি।’

দুদকের রাজশাহী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দুদকের একজন সহকারী পরিচালকের দায়িত্বে ড. আব্দুল্লা আল ফিরোজের দুর্নীতির অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। অনুসন্ধান পর্ব শেষ হলে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত