বগুড়ার সুলতানগঞ্জ হাটে গোলাপি মহিষ, দাম ৪ লাখ

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ জুলাই ২০২২, ২৩: ৪২

বগুড়ায় শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে কোরবানির পশু কেনাবেচা। পৌরসভার বনানী সুলতানগঞ্জ হাটে ভিড় করছেন ক্রেতারা। এর মধ্যে ‘সুন্দর’ নামে গোলাপি রঙের আলভিনো বাফেলো জাতের একটি মহিষকে ঘিরে সবার মাঝে বেশ আগ্রহ দেখা গেছে। 

আজ শুক্রবার সরেজমিনে পৌরসভার বনানী সুলতানগঞ্জ হাটে গিয়ে দেখা যায়, গোলাপি রঙের ওই মহিষকে ঘিরে রেখেছেন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। মহিষটিকে দেখার জন্য অনেকেই হাটে আসছেন। শখ করে এই মহিষের নাম রাখা হয়েছে ‘সুন্দর’। সুন্দরের মালিকের নাম আরমান বাদশা। তিনি নওগাঁ সদরের মুক্তির মোড় এলাকার বাসিন্দা। সুন্দর নামের এই মহিষটিকে হাটে নিয়ে এসেছেন আরমান বাদশার ভাতিজা নাফি ও শ্যালক খন্দকার রিহাত আহম্মেদ। তারা জানান, বিক্রির জন্য নওগাঁ থেকে সুন্দরকে সুলতানগঞ্জ হাটে নিয়ে আসা হয়েছে। এর দাম হাঁকা হয়েছে চার লাখ টাকা। 

গোলাপি মহিষ দেখতে হাটে আসা আব্দুল খালেক নামের এক যুবক জানান, এর আগে তিনি গোলাপি রঙের মহিষ দেখেননি। গোলাপি রঙের মহিষ দেখে তিনি অনেক খুশি। 

মুঠোফোনে সুন্দরের মালিক আরমান বাদশা জানান, এক বছর আট মাস আগে পাবনা জেলার এক খামারির কাছ থেকে তিনি দুই লাখ টাকা দিয়ে মহিষটিকে কেনেন। ওই সময় মহিষটি বাচ্চা ছিল। শখ করে গোলাপি রঙের এই মহিষটি কেনেন তিনি। পরে নিজ খামারে লালনপালন করেন। এবার কোরবানির হাটে মহিষটিকে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে, নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুন্দর’। মহিষের নামকরণ করেন তার স্ত্রী। 

আরমান বাদশা জানান, সুন্দরকে প্রতিদিন ঘাস, খৈল, ভুসি, খড়, ভাতসহ দেশীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। কোনো ধরনের ক্ষতিকর ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়নি। দিনে দুইবার গোসল করানো হয়েছে। সুন্দরের উচ্চতা ৪ ফুট ও দৈর্ঘ্য প্রায় ছয় ফুট। ওজন হবে প্রায় ১৫ মণ। চার লাখ টাকা দাম পাওয়া গেলে বিক্রি করা হবে। 

আরমান বাদশার স্ত্রী তাসনিম সুলতানা জানান, মহিষটি দেখতে অনেক সুন্দর। এ কারণে এবার কোরবানির বাজারে তোলার সময় ওই মহিষের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সুন্দর’। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত