চরনিকেতন বৈশাখী সাহিত্য উৎসব যেন কবি–সাহিত্যিকদের মিলন মেলা 

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৫ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৩৯

পাবনার ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চল চরগড়গড়ি গ্রামে তিন দিনব্যাপী চরনিকেতন সাহিত্য উৎসব শুরু হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চে দুই বাংলার কবি-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনদের অংশগ্রহণে এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। বৈশাখের প্রথম দিন রোববার অপরাহ্ণে শুরু হওয়া সাহিত্য উৎসবকে কেন্দ্র করে চরগড়গড়ি গ্রামে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।

আজ বিকেল চারটায় উপজেলার সাহাপুর ইউনিয়নের চরগড়গড়ি গ্রামে বেসরকারি সংস্থা ওসাকা চত্বরে চরনিকেতন কাব্যমঞ্চে এর  আয়োজন করা হয়েছে। জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এ সাহিত্য উৎসবের শুভসূচনা হয়। এর আগে কবি-সাহিত্যিকেরা এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।

এই সাহিত্য উৎসবে কবি ও শিশুসাহিত্যিক আসলাম সানী, কবি জাহিদ হায়দার, ফ্রান্স থেকে আগত কবি আমীরুল আরহান, ভারত থেকে আগত কবি শেলি সেন গুপ্তা, অধ্যাপক বরেন্দ্র মন্ডল, ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব সভাপতি মোস্তাক আহমেদ কিরণসহ ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে দুই শতাধিক কবি সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিজনেরা অংশ নিয়েছেন।

উৎসব কমিটির আহ্বায়ক ও নজরুল গবেষক কবি মজিদ মাহমুদ এতে সভাপতিত্ব করেন। উৎসবের সব কবি-সাহিত্যিকদের ফুল, উত্তোরিয় ও বই উপহার দেওয়ার মধ্য দিয়ে দিয়ে উৎসবের প্রথম পর্ব শুরু হয়।

এ সময় মজিদ মাহমুদ বলেন, ‘ঈশ্বরদীর প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের চরগড়গড়ি গ্রাম শিক্ষাদীক্ষা ও শিল্পসাহিত্যের সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে ২৭ বছর ধরে আমি এই এলাকাতে বাংলা সাহিত্যের গুরুত্ব তুলে ধরতে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলা সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি ও দেশের মানুষের জন্য কিছু করতে পারা অনেক গর্বের। যেহেতু এ এলাকাটি পশ্চাৎপদ, তাই এখানে শিল্প-সাহিত্যের আলোয় আলোকিত করার জন্য প্রতিবছর এই আয়োজন চলে আসছে। ধারাবাহিকভাবে এ আয়োজন চলমান থাকবে।’

তিন দিনের উৎসবে অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বিষয়ভিত্তিক সেমিনার, কবিতা পাঠ, আবৃত্তি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন, নির্ধারিত বক্তব্য ও আলোচনাসহ বিভিন্ন আয়োজন। এ ছাড়াও দেশ-বিদেশের কবি-সাহিত্যিক, আলোচক ও শিল্পীরা বিভিন্ন পর্বে অংশগ্রহণ করেন। উৎসবস্থলে এপার বাংলা, ওপার বাংলার কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠের আসর ও ফাঁকে ফাঁকে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পর্ব থাকছে। সাহিত্য উৎসবকে ঘিরে বিভিন্ন বইয়ের স্টল বসে সেখানে। প্রদর্শিত হবে গ্রাম-বাংলার বাহারী খাবার।

দেশ-বিদেশের কবি-সাহিত্যিকদের ওসাকার ব্যবস্থাপনায় তিন দিনের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামীকাল মঙ্গলবার পুরস্কার বিতরণ, সম্মাননা প্রদান, আলোচনা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ উৎসবের সমাপ্তি হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত