চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি
বিশাল হলরুমের দুই পাশে সারি সারি বইয়ের তাক। সেগুলোয় থরে থরে সাজানো বই। বসার জন্য আছে আরামদায়ক চেয়ার, সোফা ও টেবিল। পড়ার জন্য আছে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসসহ সুন্দর পরিবেশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সরকারি এই গ্রন্থাগারটিতে ৩৪ হাজারের বেশি বই থাকলেও দিনে গড়ে পাঠক নেই ৩৪ জনও।
২০১১ সালে চালু হওয়া জেলার এই গণগ্রন্থাগারে একসঙ্গে বসতে পারেন প্রায় ৭০ জন পাঠক। রাখা হয় ১২টি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্র। তবে এত বড় একটি পাঠাগারে জনবল ৮ জনের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র তিনজন। গ্রন্থাগারিকের মতো প্রধান পদও অনেক দিন শূন্য থাকার পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে যোগদান করেছেন একজন। তিনিও রাজশাহী শাখা গ্রন্থাগারে স্বপদে বহাল থাকায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া আসেন না।
সরকারি এই গ্রন্থাগারের রেজিস্ট্রি খাতায় গড়ে প্রতিদিন ১৬ থেকে ২৮ জন পাঠকের স্বাক্ষর দেখা যায়। ঘুরেফিরে তাঁরাই মূলত নিয়মিত পাঠক। তাঁরা চাকরিপ্রত্যাশী বা শুধু সংবাদপত্র পড়তে আসেন। পাঠাগারে নারী ও শিশুদের পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও চলতি মাসে নারী পাঠক এসেছেন হাতে গোনা কয়েকজন।
সেরাজুল ইসলাম নামের একজন চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, এখানে চাকরির প্রস্তুতিমূলক বইয়ের সংকট রয়েছে। চাকরির বইগুলো বাড়ানোর কথা বললেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ছাড়া পাঠাগারটিতে ইন্টারনেট কর্নার থাকলেও একজনের বেশি ব্যবহার করতে পারা যায় না।
সিফাতুল্লাহ নামের একজন বলেন, এই পাঠাগারে জব প্রিপারেশনের জন্য পাঠক আসে। বিশ্ব জানার জন্য যে বইগুলো আছে, সেগুলো পড়ার জন্য পাঠক আসে না।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘এই লাইব্রেরিতে তিনি পত্রিকা পড়তে আসেন। অনেক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় লাইব্রেরিতে, এ জন্য পত্রিকা পড়তে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যেতে হয়। আইপিএস আগে ছিল, এখন নেই। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে পড়তে পারি না। আলোর স্বল্পতাও রয়েছে।’
হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. তাওসিফ হোসেন বলে, ‘ক্লাস শেষ করে বিজ্ঞানবিষয়ক বই পড়তে আসি। এখানে ক্লাসের বই ও ম্যাগাজিন থাকলে ভালো হতো।’
সৌরভ দাস নামের এক যুবক বলেন, সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই সপ্তাহ থেকে এই লাইব্রেরিতে আসেন। ভালো পরিবেশের জন্য বাড়ি থেকে বই এনে পড়েন এখানে তিনি।
তানিয়া মোস্তারি নামে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভালো পরিবেশের জন্য বাড়ি থেকে বই এনে এই লাইব্রেরিতে বসে পড়েন। এখানে পাঠ্যবই থাকলে ভালো হতো।’
রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাদ মুনতাসির হাসান বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন বই নেই। ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আত্মজীবনী নিয়ে তেমন কোনো বই নেই বললে চলে। আট-নয় বছর এখানে আসেন তিনি। নতুন বই আসছে না বলে জানান তিনি।
সহকারী গ্রন্থাগারিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘৩৪ হাজার বই থাকলেও এখানে পাঠকের সংখ্যা একেবারেই কম। আমরাও লোকবল সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারি না। নতুন পাঠকের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক সাজিয়া আফরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে না। আশা করছি, ভিন্ন কিছু আয়োজন করে পাঠকদের আবারও গ্রন্থাগারে ফিরিয়ে আনা যাবে।’ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এখনকার মানুষ মোবাইল ফোনের প্রতি বেশি আগ্রহী বলে পাঠাগারে কেউ বই পড়তে আসেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিশাল হলরুমের দুই পাশে সারি সারি বইয়ের তাক। সেগুলোয় থরে থরে সাজানো বই। বসার জন্য আছে আরামদায়ক চেয়ার, সোফা ও টেবিল। পড়ার জন্য আছে পর্যাপ্ত আলো-বাতাসসহ সুন্দর পরিবেশ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সরকারি এই গ্রন্থাগারটিতে ৩৪ হাজারের বেশি বই থাকলেও দিনে গড়ে পাঠক নেই ৩৪ জনও।
২০১১ সালে চালু হওয়া জেলার এই গণগ্রন্থাগারে একসঙ্গে বসতে পারেন প্রায় ৭০ জন পাঠক। রাখা হয় ১২টি বাংলা ও একটি ইংরেজি সংবাদপত্র। তবে এত বড় একটি পাঠাগারে জনবল ৮ জনের বিপরীতে রয়েছেন মাত্র তিনজন। গ্রন্থাগারিকের মতো প্রধান পদও অনেক দিন শূন্য থাকার পর ভারপ্রাপ্ত হিসেবে যোগদান করেছেন একজন। তিনিও রাজশাহী শাখা গ্রন্থাগারে স্বপদে বহাল থাকায় গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছাড়া আসেন না।
সরকারি এই গ্রন্থাগারের রেজিস্ট্রি খাতায় গড়ে প্রতিদিন ১৬ থেকে ২৮ জন পাঠকের স্বাক্ষর দেখা যায়। ঘুরেফিরে তাঁরাই মূলত নিয়মিত পাঠক। তাঁরা চাকরিপ্রত্যাশী বা শুধু সংবাদপত্র পড়তে আসেন। পাঠাগারে নারী ও শিশুদের পড়ার ব্যবস্থা থাকলেও চলতি মাসে নারী পাঠক এসেছেন হাতে গোনা কয়েকজন।
সেরাজুল ইসলাম নামের একজন চাকরিপ্রত্যাশী বলেন, এখানে চাকরির প্রস্তুতিমূলক বইয়ের সংকট রয়েছে। চাকরির বইগুলো বাড়ানোর কথা বললেও কর্তৃপক্ষ কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এ ছাড়া পাঠাগারটিতে ইন্টারনেট কর্নার থাকলেও একজনের বেশি ব্যবহার করতে পারা যায় না।
সিফাতুল্লাহ নামের একজন বলেন, এই পাঠাগারে জব প্রিপারেশনের জন্য পাঠক আসে। বিশ্ব জানার জন্য যে বইগুলো আছে, সেগুলো পড়ার জন্য পাঠক আসে না।
শিক্ষানবিশ আইনজীবী কুতুব উদ্দিন বলেন, ‘এই লাইব্রেরিতে তিনি পত্রিকা পড়তে আসেন। অনেক সময় বিভিন্ন অনুষ্ঠান হয় লাইব্রেরিতে, এ জন্য পত্রিকা পড়তে এসে বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে চলে যেতে হয়। আইপিএস আগে ছিল, এখন নেই। ফলে বিদ্যুৎ না থাকলে পড়তে পারি না। আলোর স্বল্পতাও রয়েছে।’
হরিমোহন সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র মো. তাওসিফ হোসেন বলে, ‘ক্লাস শেষ করে বিজ্ঞানবিষয়ক বই পড়তে আসি। এখানে ক্লাসের বই ও ম্যাগাজিন থাকলে ভালো হতো।’
সৌরভ দাস নামের এক যুবক বলেন, সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই সপ্তাহ থেকে এই লাইব্রেরিতে আসেন। ভালো পরিবেশের জন্য বাড়ি থেকে বই এনে পড়েন এখানে তিনি।
তানিয়া মোস্তারি নামে নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ভালো পরিবেশের জন্য বাড়ি থেকে বই এনে এই লাইব্রেরিতে বসে পড়েন। এখানে পাঠ্যবই থাকলে ভালো হতো।’
রাজশাহী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র সাদ মুনতাসির হাসান বলেন, চাকরিপ্রার্থীদের জন্য নতুন বই নেই। ইতিহাস ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আত্মজীবনী নিয়ে তেমন কোনো বই নেই বললে চলে। আট-নয় বছর এখানে আসেন তিনি। নতুন বই আসছে না বলে জানান তিনি।
সহকারী গ্রন্থাগারিক গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘৩৪ হাজার বই থাকলেও এখানে পাঠকের সংখ্যা একেবারেই কম। আমরাও লোকবল সংকটের কারণে পরিপূর্ণ সেবা দিতে পারি না। নতুন পাঠকের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গ্রন্থাগারের ভারপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারিক সাজিয়া আফরিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নতুন পাঠক সৃষ্টি হচ্ছে না। আশা করছি, ভিন্ন কিছু আয়োজন করে পাঠকদের আবারও গ্রন্থাগারে ফিরিয়ে আনা যাবে।’ তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এখনকার মানুষ মোবাইল ফোনের প্রতি বেশি আগ্রহী বলে পাঠাগারে কেউ বই পড়তে আসেন না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তথাকথিত উন্নয়নের নামে বরাদ্দ দেওয়া জমি বন বিভাগকে ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘কক্সবাজারে আনুমানিক ১২ হাজার একর বনভূমি উদ্ধার করে বন বিভাগকে দিয়ে দেওয়ার জন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যা তথা
১৩ মিনিট আগেশিবপুরে গোপনে ধারণ করা প্রবাসীর স্ত্রীর ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে আল মামুন (৩০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার উপজেলার বাঘাব ইউনিয়নের হামুরদিয়া গ্রাম থেকে তাঁকে আটক করা হয়।
২১ মিনিট আগেবঙ্গোপসাগরে সন্দ্বীপ চ্যানেলে পাথরবোঝাই একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে। এতে বাঁশ ধরে সমুদ্রে ঘণ্টাখানেক ভেসে থাকা সাত নাবিক ও স্টাফকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও নৌ পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈরী আবহাওয়ায় উত্তাল ঢেউয়ের কারণে বাল্কহেডটি ডুবে যায়
৩০ মিনিট আগেদেশের একমাত্র শৈলদ্বীপ কক্সবাজারের মহেশখালী। এই দ্বীপ উপজেলার আরেক বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সোনাদিয়া। ১০ হাজার একর আয়তনের দ্বীপটিতে একসঙ্গে সুন্দরবন ও সাগরের নয়নাবিরাম দৃশ্য দেখতে পারেন ভ্রমণপিপাসুরা।
৪৩ মিনিট আগে