গাইবান্ধা প্রতিনিধি
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার রক্ষা করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সমতলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি ২০১৬ সালে চিনিকল শ্রমিকদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল—শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহতের বিচার দাবি করেন।
আজ সোমবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাগদা ফার্মের কাটামোড়ে সাঁওতালদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, এএলআরডি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, জন-উদ্যোগ ও সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বাগদা ফার্মের জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, ‘নিরীহ সাঁওতালদের জমিতে হাত দেওয়া যাবে না। এই সাঁওতালরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাঙালিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘ক্ষমতা পেতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তারা সেই চেতনার বাইরে গিয়ে সাঁওতাল হত্যাকারীদের সঙ্গে আপসের নীতি অনুসরণ করছে।’
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহত হন। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে থোমাস হেমব্রম বাদী হয়ে চিনিকলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ ১১ আসামির নাম বাদ দিয়ে ৯০ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পরে বাদী থোমাস হেমব্রম অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত অধিকতর তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। সিআইডি ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আদালতে একই ধরনের অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বাদী ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি একই আদালতে আবার নারাজি দেন। সেই থেকে মামলাটি ঝুলে আছে।
সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিক আহম্মেদ সিরাজীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাসক।
সমাবেশ শুরুর আগে মাদারপুর-জয়পুর সাঁওতাল পল্লি থেকে তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার ও বিভিন্ন দাবিসংবলিত ফেস্টুন নিয়ে একটি র্যালি গোবিন্দগঞ্জ-আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে নিহত সাঁওতালদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। পরে সাঁওতালদের প্রতিবাদী সংগীত ও নাচ পরিবেশিত হয়।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, ‘রাষ্ট্রের দায়িত্ব জাতি-বর্ণ নির্বিশেষে সবার মানবাধিকার রক্ষা করা। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সমতলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষায় রাষ্ট্র পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।’ তিনি ২০১৬ সালে চিনিকল শ্রমিকদের সংঘর্ষে পুলিশের গুলিতে তিন সাঁওতাল—শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহতের বিচার দাবি করেন।
আজ সোমবার গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বাগদা ফার্মের কাটামোড়ে সাঁওতালদের এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটি, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ, এএলআরডি, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদ, জন-উদ্যোগ ও সামাজিক সংগ্রাম পরিষদের যৌথ উদ্যোগে এ সমাবেশের আয়োজন করে।
বাগদা ফার্মের জমিতে ইপিজেড নির্মাণ বন্ধের দাবি জানিয়ে সুলতানা কামাল বলেন, ‘নিরীহ সাঁওতালদের জমিতে হাত দেওয়া যাবে না। এই সাঁওতালরা দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় বাঙালিদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।’
সুলতানা কামাল আরও বলেন, ‘ক্ষমতা পেতে এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও তারা সেই চেতনার বাইরে গিয়ে সাঁওতাল হত্যাকারীদের সঙ্গে আপসের নীতি অনুসরণ করছে।’
২০১৬ সালের ৬ নভেম্বর পুলিশ ও চিনিকল শ্রমিক-কর্মচারীদের সঙ্গে সাঁওতালদের সংঘর্ষ হয়। পুলিশের গুলিতে শ্যামল হেমব্রম, মঙ্গল মার্ডি ও রমেশ টুডু নিহত হন। এ ঘটনায় সাঁওতালদের পক্ষে থোমাস হেমব্রম বাদী হয়ে চিনিকলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক, উপজেলার সাপমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাকিল আহম্মেদসহ ৩৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা দেখিয়ে মামলা করেন।
হাইকোর্টের নির্দেশে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করে। ২০১৯ সালের ২৩ জুলাই তদন্তকারী কর্মকর্তা মামলার চূড়ান্ত অভিযোগপত্র জমা দেন। এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ ১১ আসামির নাম বাদ দিয়ে ৯০ জনের নামে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
পরে বাদী থোমাস হেমব্রম অভিযোগপত্রের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। আদালত অধিকতর তদন্ত করতে সিআইডিকে নির্দেশ দেন। সিআইডি ২০২০ সালের ২ নভেম্বর আদালতে একই ধরনের অভিযোগপত্র দাখিল করে। পরে বাদী ২০২১ সালের ৪ জানুয়ারি একই আদালতে আবার নারাজি দেন। সেই থেকে মামলাটি ঝুলে আছে।
সমাবেশে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপদেষ্টা কাজল দেবনাথ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, আদিবাসী-বাঙালি সংহতি পরিষদের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বাবু, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রফিক আহম্মেদ সিরাজীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। সভাপতিত্ব করেন সাহেবগঞ্জ-বাগদা ফার্ম ভূমি উদ্ধার সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ডা. ফিলিমন বাসক।
সমাবেশ শুরুর আগে মাদারপুর-জয়পুর সাঁওতাল পল্লি থেকে তীর-ধনুক, বাদ্যযন্ত্র, ব্যানার ও বিভিন্ন দাবিসংবলিত ফেস্টুন নিয়ে একটি র্যালি গোবিন্দগঞ্জ-আঞ্চলিক মহাসড়ক প্রদক্ষিণ করে। সমাবেশে নিহত সাঁওতালদের প্রতি সম্মান জানিয়ে নীরবতা পালন করা হয়। পরে সাঁওতালদের প্রতিবাদী সংগীত ও নাচ পরিবেশিত হয়।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
৩৮ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
১ ঘণ্টা আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
১ ঘণ্টা আগে