ব্রহ্মপুত্রের পানি বৃদ্ধি, ১৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী

চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৫৩

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে বেড়েছে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি। ৬ ইউনিয়নের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছেন। এসব ইউনিয়নের ৪৫০ হেক্টর আমন ধান ও ৪৫ হেক্টর সবজির খেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) সূত্রে জানা গেছে, চিলমারী পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র নদে পানি বিপৎসীমার ৩৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। 

উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের তথ্য মতে, চলতি আমন মৌসুমে এ উপজেলায় ৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।

এদিকে চিলমারী ইউনিয়নের বৈলমনদিয়ারখাতা, করাইবরিশাল, মানুষমারা, আমতলা, নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া, বজরা দিয়ারখাতা, ফৈসকা, গয়নালপোটল, থানাহাট ইউনিয়নের পেদিখাওয়াসহ কয়েকটি গ্রামের প্রায় ১৪ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পরেছে।

থানাহাট ইউনিয়নের পুটিমারি এলাকার বাসিন্দা আবু বাদশা মিয়া বলেন, ‘চড়া মূল্যে রোপা আমনের চারা কিনে রোপণ করেছি। পানিতে আমন খেত তলিয়ে গেছে। এই পানি কয়েক দিন থাকলে আমনের ক্ষতি হবে। চিলমারী ইউনিয়নের শাখাহাতি, করাইবরিশালসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙনে গত এক মাসে প্রায় ২ শতাধিক ঘর-বাড়ি বিলীন হয়েছে।’ 

শাখাহাতি এলাকার মাহমুদুল, নুর মোহাম্মদ, মোছা. জাহানার বেগমসহ কয়েকজন জানান, মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়ে গেছে। সরকার নদী ভাঙন বন্ধে কাজ করলে তাঁদের ভালো হতো। 

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রাফিউল আলম বলেন, এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে মিটিং চলছে; বরাদ্দ করা চাল বণ্টনের জন্য। দ্রুত পানিবন্দীদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, ১০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কুমার প্রনয় বিষাণ দাস বলেন, বন্যা পরবর্তী সময়ে কৃষকদের খোঁজ নিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে ওঠাতে সহযোগিতা করা হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত