রাতে কৃষকের পাকা ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২২, ১৭: ২৩

নীলফামারীর ডিমলায় সুকুমার রায় নামের এক ব্যক্তির খেত থেকে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। রোববার দিবাগত রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী সুকুমার রায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলা সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম ভুট্টু, তহিদুল ইসলাম, মজিদুল ইসলাম, জাহেদুল ইসলাম, শাওন ইসলাম, শিল্পী বেগম, লুৎফর রহমানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জন। 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ তিতপাড়া গ্রামে সুকুমার রায় পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৫০ শতাংশ জমিতে চলতি মৌসুমে ধানের আবাদ করেন। কিন্তু রোববার দিবাগত রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা ওই জমি নিজেদের দাবি করে রাতের আঁধারে পাকা ধান কেটে নেন। এতে বাধা দিতে গেলে তাঁরা লাঠি ও ধান কাটার কাঁচি নিয়ে সুকুমারকে মারার জন্য তেড়ে যান। ভয়ে তিনি সেখান থেকে চলে গিয়ে ডিমলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। 

ভুক্তভোগী সুকুমার রায় বলেন, ‘পৈতৃকসূত্রে আমি ওই জমির মালিক। আমি সেই জমিতে ধান আবাদ করেছি। তাঁরা জাল দলিল করে ওই জমি নিজেদের দাবি করে; জোর করে পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মারতে এসেছিল। তাই আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

সুকুমার আরও বলেন, ‘ওই জমি নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য নীলফামারী আদালতে মামলা বিচারাধীন রয়েছে।’ 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম ভুট্ট বলেন, ‘ওই জমি আমার বাবা নজমদ্দিন; সুকুমারের বাবা-চাচার কাছ থেকে কিনেছে। তখন থেকে আমরাই আবাদ করি। এবারও ধানের চারা রোপণ করি। আর ওই পাকা ধান আমরা কাটি। ওরা যে অভিযোগ করেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।’ 

এ বিষয়ে ডিমলা থানার তদন্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত