আব্দুর রহিম পায়েল (রংপুর) গঙ্গাচড়া

‘হামাগের মোকত (মুখে) মনে হয় আর গোশত (মাংস) চইরবার নায়। গরু–খাসির গোশত কত দিন থাকি যে মোকত চরে না তা নিজেও জানি না। কোনো রকমে মাঝে মাঝে বয়লার মুরগির গোশত কিনি খাচনো। একন তো আর সেটাও কিনি খাওয়া হবার নায়। হামার সরকার এমন উন্নয়ন করিল যে দেশোত সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়ার মতো হয়া গেল।’
আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
এ সময় কথা হয় মুদি দোকানে চাল কিনতে আসা রোজিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী রংপুরের একটি পোশাকের দোকানে চাকরি করেন। মাসে বেতন পান ১২ হাজার টাকা। গত মাসের বেতন এখনো পাননি। ফলে মাসের বাজার ও ছেলে মেয়ের স্কুলের বেতন দিতে পারেননি। আজ বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর কাছে ২০০ টাকা ধার নিয়ে বাজারে এসেছেন চাল কিনতে। কয়েক দিনের তুলনায় আজকে মোটা চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি। তাই দুই কেজি চাল আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু সবজি কিনে বাড়ি ফিরছেন।
এ সময় রোজিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনই যদি জিনিসপত্রের এ রকম দাম বাড়ে, কিছুদিন পর রমজান মাস আসতেছে তাহলে রমজানে কী অবস্থা হবে ভাবা যায়! আমাদের দেশে তো ধর্মীয় উৎসব লাগলেই জিনিসপত্রের দাম হুটহাট করে বাড়ায় দেয় সরকার। সরকার যদি আমাদের মতো গরিব মানুষের কথা এখন থেকে চিন্তা না করে। সবকিছুর দাম যদি এভাবে বাড়ায় তাহলে আমাদের তো মনে হয় বাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে মরা লাগবে।’
আমিনুর রহমান ও রোজিনা বেগমের মতো বাজারে আসা ১৫ থেকে ২০ জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের সবার একটাই ক্ষোভ—জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি। তাঁরা বলছেন, যেভাবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে—সে তুলনায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের আয় বাড়েনি। বাজারে গেলেই হিসাব মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর সামনে রমজান।
আজ উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা, খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৯০০ টাকা, গরু প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৫৫ টাকা, করলা ৭০ টাকা, শিম ৫৫ টাকা, শসা ৩০, গাজর ৩৫, টমেটো ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, ঢ্যাঁড়স ৭০, কচুর লতি ৬০, চিচিঙ্গা ৫৫ এবং মরিচ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় গঙ্গাচড়া বাজারের ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী মোরসালিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজার চড়া। আগে আমরা মুরগি কিনতাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে, সেই মুরগি এখন কিনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকায়। দাম বাড়ায় ক্রেতা কমেছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫ কেজি ব্রয়লার বিক্রি করবার পাই নাই, কাস্টমার নাই, তাই বসি বসি মোবাইলে গেম খেলাইচোল।’
আর এক ব্যবসায়ীকে দেখা যায় ক্রেতা না থাকায় দোকানের চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে বাজার চড়া থাকলে বিক্রি না থাকলে, দোকান গুটিয়ে বাড়ি যাওয়া লাগবে।

‘হামাগের মোকত (মুখে) মনে হয় আর গোশত (মাংস) চইরবার নায়। গরু–খাসির গোশত কত দিন থাকি যে মোকত চরে না তা নিজেও জানি না। কোনো রকমে মাঝে মাঝে বয়লার মুরগির গোশত কিনি খাচনো। একন তো আর সেটাও কিনি খাওয়া হবার নায়। হামার সরকার এমন উন্নয়ন করিল যে দেশোত সবকিছুর দাম আকাশ ছোঁয়ার মতো হয়া গেল।’
আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
এ সময় কথা হয় মুদি দোকানে চাল কিনতে আসা রোজিনা বেগমের সঙ্গে। তিনি জানান, তাঁর স্বামী রংপুরের একটি পোশাকের দোকানে চাকরি করেন। মাসে বেতন পান ১২ হাজার টাকা। গত মাসের বেতন এখনো পাননি। ফলে মাসের বাজার ও ছেলে মেয়ের স্কুলের বেতন দিতে পারেননি। আজ বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর কাছে ২০০ টাকা ধার নিয়ে বাজারে এসেছেন চাল কিনতে। কয়েক দিনের তুলনায় আজকে মোটা চালের দাম কেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা বেশি। তাই দুই কেজি চাল আর বাকি টাকা দিয়ে কিছু সবজি কিনে বাড়ি ফিরছেন।
এ সময় রোজিনা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখনই যদি জিনিসপত্রের এ রকম দাম বাড়ে, কিছুদিন পর রমজান মাস আসতেছে তাহলে রমজানে কী অবস্থা হবে ভাবা যায়! আমাদের দেশে তো ধর্মীয় উৎসব লাগলেই জিনিসপত্রের দাম হুটহাট করে বাড়ায় দেয় সরকার। সরকার যদি আমাদের মতো গরিব মানুষের কথা এখন থেকে চিন্তা না করে। সবকিছুর দাম যদি এভাবে বাড়ায় তাহলে আমাদের তো মনে হয় বাচ্চাদের নিয়ে না খেয়ে মরা লাগবে।’
আমিনুর রহমান ও রোজিনা বেগমের মতো বাজারে আসা ১৫ থেকে ২০ জনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের সবার একটাই ক্ষোভ—জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি। তাঁরা বলছেন, যেভাবে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে—সে তুলনায় মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের আয় বাড়েনি। বাজারে গেলেই হিসাব মিলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তার ওপর সামনে রমজান।
আজ উপজেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ২৫০ টাকা, সোনালি মুরগি ৩৪০ টাকা, খাসির মাংস কেজিপ্রতি ৯০০ টাকা, গরু প্রতিকেজি ৭৫০ টাকা, পাঙাশ ২১০ টাকা, কই ২৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০ টাকা, রুই মাছ ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
স্বস্তি নেই সবজির বাজারেও। আলু প্রতিকেজি ২০ থেকে ২৫ টাকা, বেগুন ৫৫ টাকা, করলা ৭০ টাকা, শিম ৫৫ টাকা, শসা ৩০, গাজর ৩৫, টমেটো ৩৫, মিষ্টি কুমড়া ৩৫, ঢ্যাঁড়স ৭০, কচুর লতি ৬০, চিচিঙ্গা ৫৫ এবং মরিচ ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
কথা হয় গঙ্গাচড়া বাজারের ব্রয়লার মুরগি ব্যবসায়ী মোরসালিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বাজার চড়া। আগে আমরা মুরগি কিনতাম ১২০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি দরে, সেই মুরগি এখন কিনতে হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকায়। দাম বাড়ায় ক্রেতা কমেছে। সকাল থেকে এখন পর্যন্ত ৫ কেজি ব্রয়লার বিক্রি করবার পাই নাই, কাস্টমার নাই, তাই বসি বসি মোবাইলে গেম খেলাইচোল।’
আর এক ব্যবসায়ীকে দেখা যায় ক্রেতা না থাকায় দোকানের চেয়ারে বসে ঘুমাচ্ছেন। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এভাবে বাজার চড়া থাকলে বিক্রি না থাকলে, দোকান গুটিয়ে বাড়ি যাওয়া লাগবে।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
০৪ মার্চ ২০২৩
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেরাঙামাটি প্রতিনিধি

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মৃত পর্যটক হলেন মো. ইফরাত উদ্দীন (২৬)। তিনি পুরান ঢাকার নাজিরা বাজারের মো. ওয়াসিমের ছেলে।
রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস ইন্সপেক্টর মুরসিদুল ইসলাম জানান, ইফরাতসহ ছয় বন্ধু মিলে আজ ঢাকা থেকে রাঙামাটিতে পৌঁছান। তাঁরা সেখানে বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্টে যান। সকাল ৯টার দিকে তাঁরা রিসোর্ট এলাকার কাপ্তাই হ্রদের পানিতে কায়াকিং করতে যান। এ সময় ইফরাতের কায়াকটি হঠাৎ উল্টে গেলে তিনি পানিতে তলিয়ে যান। কায়াকিং করার সময় অন্য বন্ধুদের লাইফ জ্যাকেট থাকলেও ইফরাতের ছিল না।
খবর পেয়ে রাঙামাটি ফায়ার স্টেশনের ডুবুরি ইউনিটের লিডার গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ডুবরিরা ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় আধা ঘণ্টা অভিযান চালিয়ে বেলা পৌনে ১১টার দিকে ইফরাতের লাশ উদ্ধার করে। লাশ রাঙামাটি কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দিন জানান, মরদেহ রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত ছাড়া মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তরের চেষ্টা চলছে।

আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
০৪ মার্চ ২০২৩
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
শাহ আলম উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের দক্ষিণ পাথরডুবি গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের ছেলে। তিনি ব্যবসার পাশাপাশি একটি বেসরকারি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় কে বা কারা শাহ আলমের বাসার বেলকনিতে একটি হত্যার হুমকি দেওয়া চিরকুট রেখে যায়। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে শাহ আলম ও তাঁর পরিবার।
শাহ আলম বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যায় আমার স্ত্রী বাসার বেলকনিতে একটি চিরকুট দেখতে পায়। সেই চিরকুটে ইংরেজিতে লাল রং দিয়ে “আই কিল ইউ” লেখা ছিল। আমি তখন বন্ধুদের সঙ্গে কুড়িগ্রামে ইজতেমায় যাচ্ছিলাম। নাগেশ্বরীতে পৌঁছলে আমার স্ত্রী চিরকুটটির বিষয়ে জানায়। তখন ইজতেমায় না গিয়ে বাসায় ফিরে আসি। পরে রাতেই থানায় একটি জিডি করি। এ ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি।’
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চিরকুটের বিষয়ে তদন্ত চলছে।

আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
০৪ মার্চ ২০২৩
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
১ ঘণ্টা আগেঝালকাঠি প্রতিনিধি

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় তাঁর নিজ জেলা ঝালকাঠিতে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ঝালকাঠি জেলা শহরের কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে এই গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন মসজিদ থেকে আগত পাঁচ-ছয় শতাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করেন।
গায়েবানা জানাজায় ইমামতি করেন ঈদগাহ মসজিদের মুয়াজ্জিন হাফেজ আবদুল করিম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ঝালকাঠি জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মাইনুল ইসলাম মান্না, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝালকাঠির জেলা আহ্বায়ক আল তৌফিক লিখন, ঝালকাঠি-২ আসনে গণঅধিকার পরিষদের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম সাগর, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির ঝালকাঠি জেলা সেক্রেটারি সিদ্দিকুর রহমানসহ স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলেন, শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু শুধু তাঁর পরিবার কিংবা সহকর্মীদের জন্য নয়, বরং পুরো সমাজের জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। তাঁরা হাদি হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, দোষী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
গায়েবানা জানাজায় সর্বস্তরের মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে পুরো ঈদগাহ ময়দান শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।

আজ শনিবার সকালে কোলকোন্দ ইউনিয়ন থেকে গঙ্গাচড়া ভেতর বাজারে বয়লার মুরগির মাংস কিনতে এসে দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে এসব কথা বলছিলেন আমিনুর রহমান (৪৫)। তিনি পেশায় রিকশাচালক। স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে চার সদস্যের সংসার। সারা দিন রিকশা চালিয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে এখন সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে তাঁর।
০৪ মার্চ ২০২৩
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১৩ মিনিট আগে
রাঙামাটিতে কাপ্তাই হ্রদে কায়াক (একধরনের ছোট নৌকা) উল্টে পানিতে পড়ে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে কাপ্তাই হ্রদের বালুখালী ইউনিয়নের স্বপ্নদ্বীপ আইল্যান্ড রিসোর্ট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
৪৩ মিনিট আগে
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে হত্যার হুমকির চিরকুট পাওয়ার দাবি করেছেন শাহ আলম (৩৮) নামের বেসরকারি মাদ্রাসার এক পরিচালক। এ ঘটনায় তিনি অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
১ ঘণ্টা আগে