শিপুল ইসলাম, রংপুর
‘বাহে, হামার দুর্দশা কায়ও দ্যাখে না। বাইষ্যা কন আর খড়া রাস্তাটা দিয়্যা হাঁটা যায় না। উপায় না পায়া হাঁটুসমান কাদার ওপর দিয়া চলাচল করুছি। রাস্তা কোনা ঠিক না করায় হামার কষ্ট চিরকাল।’ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার পাকারপুল মোড়ে দাঁড়িয়ে পাকারপুল-সুড়ঙ্গের বাজার কাঁচা রাস্তা দেখিয়ে কথাগুলো বলেন উপজেলার দক্ষিণ হাজীপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন।
পাকারপুল থেকে সুড়ঙ্গের বাজার সড়কের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে সুড়ঙ্গের বাজার, বিড়াবাড়ি, দোহাজারী, কাফিড়িয়ারপাড়া, মন্ডলপাড়া, ফকিরপাড়া, ছুট হাজীপুর, পোদ্দারপাড়াসহ ১১টি গ্রামের মানুষ রংপুর ও তারাগঞ্জ শহরে সহজে যাতায়াত করে। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটির তিন কিলোমিটার অংশ পাঁচ বছর আগেও পাকা হলেও পাকারপুল থেকে পোদ্দারপাড়ার মোড় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় এবং কাঁচা রাস্তার ওই অংশে ভারী যানবাহন চলাচল করায় এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তবু কেউ কেউ দ্রুত যোগযোগের জন্য কাদাপানি মাড়িয়ে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছেন।
আজ শনিবার সরেজমিন জানা গেছে, সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের কাঁচা আধা কিলোমিটার অংশে কাদাপানিতে একাকার। সেখানে নিরুপায় যাত্রীরা দ্রুত চলাচলের জন্য কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন। ওই সড়কের বাকি তিন কিলোমিটার পাকা অংশেরও দশা বেহাল। সড়কটির কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে, দুই দিকে ভেঙে গিয়ে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
আধা কিলোমিটার রাস্তার জন্য তিন কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়ে জানান ওই সড়কের নিয়মিত ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক বিপ্লব মিয়া। তিনি বলেন, ‘ভাই খড়ার সময়ে ধুলাবালা চোখে-মুখে নাগলেও দ্রুত রাস্তা কোনা দিয়া রংপুর সৈয়দপুর যাওয়ার জন্যে মহাসড়কোত উঠা যায়। কিন্তু বর্ষা আসলে তাক আর হয় না। হাঁটুসমান কাদোত গাড়ি আটকি যায়। কন তো একনা সড়ক পাকা করতে কত টাকা নাগে?’
জুতা হাতে নিয়ে কাদা মাড়িয়ে রাস্তা পার হচ্ছিন বামনদীঘি গ্রামের ইদ্রিস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাস্তাটা চার-পাঁচ বছর আগোত ভালোয় আছলো। বড় বড় গাড়ি চলি ভাঙি গেইছে, গর্ত হইছে। এ্যালা বর্ষা আইলে রাস্তাটা দিয়া পায়ে হাঁটাও যায় না।’
ছুট হাজীপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসুমী বেগম বলেন, ‘ভোটের সমায় জনপ্রতিনিধিরা কতা দেছলো আস্তাটা উঁচা করি পাকা বানে দেবে। এল্যা কায়ো ধরা দেওচে না। ভ্যান রিকশা তো চলে না, পায়ে হাঁটি যাওয়া যায়ছে না। রাস্তা দিয়্যা যদি চলাচলই করির না পাই, সেই রাস্তা থাকি হামার লাভ কী?’
ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য তাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাকারপুল-সুড়ঙ্গের বাজার সড়কটির কাঁচা অংশ পাকা ও পাকা অংশের সংস্কার খুব জরুরি। বর্ষায় রাস্তাটির জন্য আশপাশের এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি আমি প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।’
জানতে চাইলে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই রাস্তাটির দুরবস্থার কথা জানা আছে। রাস্তাটি পাকা করতে বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।’
‘বাহে, হামার দুর্দশা কায়ও দ্যাখে না। বাইষ্যা কন আর খড়া রাস্তাটা দিয়্যা হাঁটা যায় না। উপায় না পায়া হাঁটুসমান কাদার ওপর দিয়া চলাচল করুছি। রাস্তা কোনা ঠিক না করায় হামার কষ্ট চিরকাল।’ রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার পাকারপুল মোড়ে দাঁড়িয়ে পাকারপুল-সুড়ঙ্গের বাজার কাঁচা রাস্তা দেখিয়ে কথাগুলো বলেন উপজেলার দক্ষিণ হাজীপাড়া গ্রামের ফারুক হোসেন।
পাকারপুল থেকে সুড়ঙ্গের বাজার সড়কের দৈর্ঘ্য সাড়ে তিন কিলোমিটার। এ সড়ক দিয়ে সুড়ঙ্গের বাজার, বিড়াবাড়ি, দোহাজারী, কাফিড়িয়ারপাড়া, মন্ডলপাড়া, ফকিরপাড়া, ছুট হাজীপুর, পোদ্দারপাড়াসহ ১১টি গ্রামের মানুষ রংপুর ও তারাগঞ্জ শহরে সহজে যাতায়াত করে। সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কটির তিন কিলোমিটার অংশ পাঁচ বছর আগেও পাকা হলেও পাকারপুল থেকে পোদ্দারপাড়ার মোড় পর্যন্ত আধা কিলোমিটার অংশ দীর্ঘদিনেও পাকা না হওয়ায় এবং কাঁচা রাস্তার ওই অংশে ভারী যানবাহন চলাচল করায় এখন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। তবু কেউ কেউ দ্রুত যোগযোগের জন্য কাদাপানি মাড়িয়ে রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করছেন।
আজ শনিবার সরেজমিন জানা গেছে, সাড়ে তিন কিলোমিটার সড়কের কাঁচা আধা কিলোমিটার অংশে কাদাপানিতে একাকার। সেখানে নিরুপায় যাত্রীরা দ্রুত চলাচলের জন্য কাদাপানি মাড়িয়ে চলাচল করছেন। ওই সড়কের বাকি তিন কিলোমিটার পাকা অংশেরও দশা বেহাল। সড়কটির কার্পেটিং উঠে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়েছে, দুই দিকে ভেঙে গিয়ে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
আধা কিলোমিটার রাস্তার জন্য তিন কিলোমিটার পথ ঘুরতে হয়ে জানান ওই সড়কের নিয়মিত ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক বিপ্লব মিয়া। তিনি বলেন, ‘ভাই খড়ার সময়ে ধুলাবালা চোখে-মুখে নাগলেও দ্রুত রাস্তা কোনা দিয়া রংপুর সৈয়দপুর যাওয়ার জন্যে মহাসড়কোত উঠা যায়। কিন্তু বর্ষা আসলে তাক আর হয় না। হাঁটুসমান কাদোত গাড়ি আটকি যায়। কন তো একনা সড়ক পাকা করতে কত টাকা নাগে?’
জুতা হাতে নিয়ে কাদা মাড়িয়ে রাস্তা পার হচ্ছিন বামনদীঘি গ্রামের ইদ্রিস উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘রাস্তাটা চার-পাঁচ বছর আগোত ভালোয় আছলো। বড় বড় গাড়ি চলি ভাঙি গেইছে, গর্ত হইছে। এ্যালা বর্ষা আইলে রাস্তাটা দিয়া পায়ে হাঁটাও যায় না।’
ছুট হাজীপুর গ্রামের গৃহবধূ মৌসুমী বেগম বলেন, ‘ভোটের সমায় জনপ্রতিনিধিরা কতা দেছলো আস্তাটা উঁচা করি পাকা বানে দেবে। এল্যা কায়ো ধরা দেওচে না। ভ্যান রিকশা তো চলে না, পায়ে হাঁটি যাওয়া যায়ছে না। রাস্তা দিয়্যা যদি চলাচলই করির না পাই, সেই রাস্তা থাকি হামার লাভ কী?’
ইকরচালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য তাজ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পাকারপুল-সুড়ঙ্গের বাজার সড়কটির কাঁচা অংশ পাকা ও পাকা অংশের সংস্কার খুব জরুরি। বর্ষায় রাস্তাটির জন্য আশপাশের এলাকার মানুষ দুর্ভোগে পড়েছে। বিষয়টি আমি প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।’
জানতে চাইলে তারাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ওই রাস্তাটির দুরবস্থার কথা জানা আছে। রাস্তাটি পাকা করতে বরাদ্দের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে পাঠানো হবে।’
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
৩ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
২৭ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৩৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে