যমুনার ভাঙনে বিলীন দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা

প্রতিনিধি, সাঘাটা, (গাইবান্ধা)
প্রকাশ : ০৪ জুলাই ২০২১, ১৫: ০৪

গাইবান্ধা সাঘাটা উপজেলার যমুনা নদীর ভাঙনে দুই শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর, বসতভিটা, শতাধিক বিঘা আবাদি জমি, গাছপালা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এই ভাঙন ঝুঁকিতে পড়েছে স্কুল, বাজার, শত শত একর আবাদি জমি, জনজীবনসহ বিস্তীর্ণ এলাকা। জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন কবলিত এলাকা রক্ষা করার চেষ্টা করছে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ড। 

আজ রোববার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কয়েক দিন ধরে টানা বর্ষণ ও উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নেমে আসায় উপজেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নদীতে পানি বৃদ্ধির পাশাপাশি তীব্র স্রোত সাঘাটা ইউনিয়নের মুন্সির হাট, গোবিন্দি ও ভরতখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ উল্যা মাঝি পাড়া পয়েন্টে নদী ভাঙন শুরু হয়েছে। 

গত ১৫ দিনের অব্যাহত ভাঙনে মুন্সির হাট এলাকার দুই শতাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ি, বসতভিটা, আবাদি জমি বেশ কিছু গাছ পালা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। 

গৃহহারা পরিবার গুলির মধ্যে কেহ পার্শ্ববর্তী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। অনেকেই আবার অন্যের জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। 

সাঘাটা ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সুইট জানান, তার ইউনিয়নের মুন্সির হাট, গোবিন্দি, হাটবাড়ী গ্রামে নদী ভাঙনে ২ শতাধিক পরিবারের বাড়ি-ঘর বিলীন হয়েছে। এ ছাড়া মুন্সির হাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়, মুন্সির হাট বাজার, ৫ শতাধিক ঘর-বাড়ি, আবাদি জমিও গাছ-পালা সহ বিস্তীর্ণ এলাকা ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। 

গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী রেজাই করিম রেজা জানান, ভাঙন রোধে ঠিকাদারের মাধ্যমে ভাঙন কবলিত এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত