সিলেটের ছাত্রলীগকর্মী আরিফ আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্থানীয় কাউন্সিলর হিরণ মাহমুদ নিপুকে তিন সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। 

আজ মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলীর সমন্বয়ে গঠিত ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ সময় উত্থাপিত হয়নি মর্মে জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আদালত।

গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিলেট নগরের বালুচরের টিভি গেট এলাকায় ছাত্রলীগ কর্মী আরিফকে (১৯) কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। পরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। 

• ২০ বার কোপ দিয়ে ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যা, ৪ ঘণ্টা আগেই অভিযোগ করেন মা

নিহত ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ নগরের টিভি গেট এলাকার আঁখি বেগম ও ফটিক মিয়া দম্পতির ছেলে। তিনি সিলেট স্টেট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। আরিফ সিলেট জেলা ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি নাজমুল ইসলাম গ্রুপের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। 

• সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মী আরিফ হত্যা: কাউন্সিলর নিপুসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

এ ঘটনায় গত বুধবার সন্ধ্যায় আরিফের মা আঁখি বেগম বাদী হয়ে এসএমপি বিমানবন্দর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৩৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাবেক জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিরণ মাহমুদ নিপু। নিপু ছাড়াও ১০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪–৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে। তাঁরা হলেন-বালুচর সোনারবাংলা এলাকার আনহাজ আহমদ রনি (২৩) ও আল মামুন মজুমদার (৩২)। দুজনই হিরণ মাহমুদ নিপু গ্রুপের লোকজন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।