এক বছরের মাথায় ফের ভাঙল সেতুর পাটাতন

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি 
Thumbnail image
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুতে ট্রাক আটকে যানচলাচল বন্ধ। আজ বিকেলে ইছগাঁও এলাকায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

সুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে আবারও যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুরে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক পার হওয়ার সময় স্টিলের পাটাতন খুলে গেলে গাড়িটি আটকে যায়।

সেতুতে ট্রাক আটকে যাওয়ায় ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সরাসরি যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

এর আগেও একাধিকবার সেতুটির পাটাতন খুলে পড়াসহ সেতু ভেঙে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক জগন্নাথপুরে আসার পথে কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুতে উঠলে সেতুর চারটি পাটাতন খুলে নদীতে পড়ে যায়। এতে ট্রাকটির পেছনের অংশ দেবে যাওয়ায় সেতু দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই সড়কে চলাচলকারী যাত্রীসাধারণ।

এদিকে সেতুতে চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নদী পারাপারে জনপ্রতি ১০ টাকা দিয়ে নৌকায় নদী পার হচ্ছেন যাত্রীসাধারণ।

পাটাতন ভেঙে লোহার সেতুতে আটকে যাওয়া ট্রাক। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাটাতন ভেঙে লোহার সেতুতে আটকে যাওয়া ট্রাক। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় নতুন বর-কনে নিয়েও নৌকায় নদী পার হতে দেখা যায়। কথা হয় আব্দুল বাছিদ নামের এক বরযাত্রীর সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্যালকের নতুন বউ নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। এই সড়ক ছাড়া আমাদের আর কোনো বিকল্প সড়ক নেই। যার কারণে নতুন বর-কনেকে নিয়ে নৌকায় পার হতে হচ্ছে। জিনিসপত্রসহ নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।’

লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে ট্রাক আটকে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে ট্রাক আটকে আছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

রানীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ছদরুল ইসলাম বলেন, সেতুটি জোড়াতালি দিয়ে চালু রাখার কারণে প্রায়ই যানচলাচলে সমস্যা হতো। এখন তো ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।

সুনামগঞ্জ সড়ক ও জনপদ (সওজ) অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মোহাম্মদ আহাদ উল্লাহ মোবাইল ফোনে বলেন, ‘খবর পেয়ে সড়ক ও সেতু বিভাগের লোকজনকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত সংস্কার করতে আমরা কাজ করব।’

উল্লেখ্য, গত বছরের ২২ আগস্ট সিমেন্টবোঝাই একটি ট্রাক কাটাগাঙ্গের এ লোহার সেতু ভেঙে নদীতে ডুবে যায়। ওই ঘটনায় ট্রাকচালক ওমর ফারুক ও চালকের সহকারী জাকির হোসেন কলিন্স নিহত হয়েছিলেন। এরপর সপ্তাহখানেক সরাসরি যানচলাচল বন্ধ থাকার পর ক্ষতিগ্রস্ত সেতুটি আবারও জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত