চোরাচালান মামলার আসামি আ.লীগ নেতার ছেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট
প্রকাশ : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ০৪
আপডেট : ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১: ৪৬

সিলেটের জৈন্তাপুরে চোরাচালানের সময় ১৯৪টি ভারতীয় মোবাইল ফোন উদ্ধারের ঘটনায় হওয়া মামলায় জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলীর ছেলে মো. জয় আলীসহ (২৫) দুজনকে আসামি করা হয়েছে। বিজিবির জৈন্তাপুরের শ্রীপুর ক্যাম্পের নায়েব সুবেদার মকবুল হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার বিশেষ ক্ষমতা আইনে এই মামলা করেন। মামলায় শুল্ক ফাঁকি দিয়ে অবৈধভাবে ভারত থেকে মোবাইল ফোন চোরাচালানের মাধ্যমে দেশে আনার অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে জয় আলী ছাড়াও উপজেলার নয়াবস্তি এলাকার বাসিন্দা মো. আসাদ উদ্দিনকেও (৩০) আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও দুজনকে। জৈন্তাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক দিয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা এলে টহল দল সেটিকে থামার সংকেত দেয়। তবে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাচালকসহ ভেতরে থাকা ব্যক্তিরা সড়কের পাশে সেটিকে রেখে পালিয়ে যান। এ সময় বিজিবির সদস্যরা তাঁদের পেছনে ধাওয়া দিলেও কাউকে আটক করতে পারেননি। একপর্যায়ে স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে পলাতক ব্যক্তিদের মধ্যে দুজনের নাম-পরিচয় জানতে পান। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অটোরিকশার কাপড়ের ব্যাগে রাখা ১৯৪টি ভারতীয় পুরোনো মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা মোবাইল ফোন এবং ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়। জব্দ মালামালগুলোর আনুমানিক বাজারমূল্য ৬০ লাখ ১৫ হাজার।

জৈন্তাপুর থানার ওসি মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিজিবির মামলার আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। আশা করা যাচ্ছে, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাঁদের আইনের আওতায় আনা যাবে।’

উল্লেখ, এর আগে লিয়াকত আলীর ছেলে জয় আলীসহ তিনজনকে গত বছরের ১৫ এপ্রিল সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানা-পুলিশ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসা ১০০টি ভারতীয় মোবাইল ফোনসহ আটক করেছিল। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেছিল।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত