সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে গুলিবিদ্ধ সৈয়দ জামালের মৃত্যুর ঘটনার মূল হোতা সৈয়দ হুসবান আহমদকে (৩৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁকে সুনামগঞ্জ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

এর আগে শনিবার ফেনী জেলা শহর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, জগন্নাথপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার। 

গ্রেপ্তারকৃত হুসবান উপজেলার সৈয়দপুর (ঈশানকোন) গ্রামের মৃত সৈয়দ এলাইছ মিয়ার ছেলে। 

• জগন্নাথপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ,  গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ১ 

এসআই জিন্নাতুল ইসলাম তালুকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হুসবান এ ঘটনার মূল হোতা। গ্রেপ্তারের পর তাঁর তথ্যমতে ঘটনায় ব্যবহৃত একটি একনলা বন্দুক ও চারটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে।’ 

উল্লেখ্য, সৈয়দ আলমগীর মিয়ার সঙ্গে সৈয়দ হোসাইন আহমেদের বিরোধ ছিল। এরই জেরে গত ২৮ এপ্রিল রাতে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সৈয়দ আলমগীর হোসেনের লোকজনের ছোড়া গুলিতে সৈয়দ জামাল (৪৫), সৈয়দ গফর আহমেদ শিপু (২৮), সৈয়দ সেলু মিয়া (৫৫), সৈয়দ হোসাইন মিয়া (৩০), সৈয়দ আনহার মিয়া (৬০), সৈয়দ আমিন মিয়া (৬৫) গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ সৈয়দ জামালের মৃত্যু হয়। 

• জগন্নাথপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার

পরে ১ মে জামালের ভাই সৈয়দ হোসাইন আহমদ বাদী হয়ে সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসানসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে ৬ মে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে জুম্মান আহমদ (২৭) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

• জগন্নাথপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা