রোকন উদ্দীন, ঢাকা
দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও দীর্ঘ মেয়াদে মজুত বাড়ানো না গেলে দেশ খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ ধান-চালের সরবরাহ নিয়ে চলছে বিশৃঙ্খলা। একদিকে কৃষক ও মিলারদের অনীহা, অন্যদিকে বাজারে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং আমন মৌসুমে উৎপাদনে ঘাটতি—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকার ১০ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে ৫ লাখ ৮৭ হাজার টন বেসরকারি এবং বাকি অংশ সরকারি পর্যায়ে আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেখানেও চলছে ঢিমেতাল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের খাদ্যভান্ডারে বর্তমানে মোট খাদ্য মজুত রয়েছে ১১ লাখ ৭৮ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ৭ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং বাকি ৪ লাখ ২০ হাজার টন গম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন দিয়েই চালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল, ফলে আমদানির প্রয়োজন হয়নি। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্যার কারণে আমন উৎপাদনে ঘাটতি এবং বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি পাওয়া চালের মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টন আতপ চাল। তবে ডলার-সংকট এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে বেসরকারি খাতে আমদানি সন্তোষজনক হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭২ হাজার ৪৬০ টন চাল আমদানি সম্ভব হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে এত দিন এখনো কোনো চাল আমদানি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি হওয়া ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে এবং ওই চাল খালাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান। সেটি হয়ে গেলে সরকারের মোট আমদানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। আর বেসরকারি আমদানি উদ্যোগ তো চলতেই থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটে এটিই হলো সরকারি আমদানির প্রথম চালান। যদিও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানির লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
যদিও কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, সরকারি গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত পূরণ হয় না। বোরো মৌসুম প্রধান সংগ্রহকাল হলেও আমন মৌসুমেও প্রয়োজনীয় সংগ্রহ হওয়া উচিত। তবে বাজারে ধানের বেশি দামের কারণে কৃষক সরকার-নির্ধারিত দামে ধান দিতে আগ্রহী নন এবং মিলাররা লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে চাল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক।
জানা গেছে, দেশের খাদ্যভান্ডারের চাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা বিভিন্ন খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি এবং স্বল্পমূল্যে বিতরণের জন্য ব্যবহার হয়। চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। এতে ১০ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ও সাড়ে ৫ লাখ টন চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের গতি খুব ধীর। অনেক জেলায় এখনো ১ থেকে ২ শতাংশ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ধান ৪ হাজার ৭১২ টন, সেদ্ধ চাল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ টন এবং আতপ চাল ২১ হাজার ৫২৪ টন সংগ্রহ হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৭৮ লাখ টন নির্ধারণ করেছিল। তবে বন্যার কারণে ১০ লাখ টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণে আমদানি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের এই আমদানির উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশীয় উৎপাদন ও সংগ্রহের ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে সরকারি গুদামে পর্যাপ্ত চালের মজুত থাকা অপরিহার্য। তবে বাস্তবতা হলো, এই মজুত প্রয়োজনের তুলনায় এখন অনেকটাই কম। সরকারি গুদামে যদি সাড়ে ১২ লাখ টন চাল মজুত থাকে, তাহলে দেশীয় চাহিদা অনুযায়ী তা দিয়ে ১৫ দিনের খাদ্য চাহিদা মেটানো সম্ভব। তবে এর মাধ্যমে আপৎকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত হলেও দীর্ঘ মেয়াদে মজুত বাড়ানো না গেলে দেশ খাদ্যনিরাপত্তার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ ধান-চালের সরবরাহ নিয়ে চলছে বিশৃঙ্খলা। একদিকে কৃষক ও মিলারদের অনীহা, অন্যদিকে বাজারে চালের ঊর্ধ্বমুখী দাম এবং আমন মৌসুমে উৎপাদনে ঘাটতি—সব মিলিয়ে পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে। খাদ্যনিরাপত্তা জোরদারের জন্য সরকার ১০ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে, যার মধ্যে ৫ লাখ ৮৭ হাজার টন বেসরকারি এবং বাকি অংশ সরকারি পর্যায়ে আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু সেখানেও চলছে ঢিমেতাল।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দেশের খাদ্যভান্ডারে বর্তমানে মোট খাদ্য মজুত রয়েছে ১১ লাখ ৭৮ হাজার টন। এর মধ্যে চালের মজুত ৭ লাখ ৫৬ হাজার টন এবং বাকি ৪ লাখ ২০ হাজার টন গম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে দেশীয় উৎপাদন দিয়েই চালের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হয়েছিল, ফলে আমদানির প্রয়োজন হয়নি। তবে চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বন্যার কারণে আমন উৎপাদনে ঘাটতি এবং বাজারে চালের মূল্যবৃদ্ধির কারণে আমদানির প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
ইতিমধ্যে বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির অনুমতি পাওয়া চালের মধ্যে ৪ লাখ ২৫ হাজার টন সেদ্ধ চাল এবং ১ লাখ ৬২ হাজার টন আতপ চাল। তবে ডলার-সংকট এবং অন্যান্য জটিলতার কারণে বেসরকারি খাতে আমদানি সন্তোষজনক হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৭২ হাজার ৪৬০ টন চাল আমদানি সম্ভব হয়েছে। সরকারি পর্যায়ে এত দিন এখনো কোনো চাল আমদানি হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খাদ্যসচিব মো. মাসুদুল হাসান আজকের পত্রিকাকে জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার ভারত থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে আমদানি হওয়া ২৪ হাজার ৬৯০ টন সেদ্ধ চাল চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছেছে এবং ওই চাল খালাস শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম ও মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির প্রক্রিয়া চলমান। সেটি হয়ে গেলে সরকারের মোট আমদানি লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে যাবে। আর বেসরকারি আমদানি উদ্যোগ তো চলতেই থাকবে।
এই প্রেক্ষাপটে এটিই হলো সরকারি আমদানির প্রথম চালান। যদিও সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে আমদানির লক্ষ্যমাত্রার ৫০ শতাংশ পূরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
যদিও কৃষি অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মনে করেন, সরকারি গুদামে ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা সাধারণত পূরণ হয় না। বোরো মৌসুম প্রধান সংগ্রহকাল হলেও আমন মৌসুমেও প্রয়োজনীয় সংগ্রহ হওয়া উচিত। তবে বাজারে ধানের বেশি দামের কারণে কৃষক সরকার-নির্ধারিত দামে ধান দিতে আগ্রহী নন এবং মিলাররা লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে চাল সরবরাহে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই সরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি খাদ্যনিরাপত্তার জন্য ইতিবাচক।
জানা গেছে, দেশের খাদ্যভান্ডারের চাল স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ধান থেকে সংগ্রহ করা হয়, যা বিভিন্ন খাদ্যসহায়তা কর্মসূচি এবং স্বল্পমূল্যে বিতরণের জন্য ব্যবহার হয়। চলতি মৌসুমে ধান ও চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে প্রায় এক মাস আগে। এতে ১০ লাখ টন ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। এর মধ্যে সাড়ে ৩ লাখ টন ধান ও সাড়ে ৫ লাখ টন চাল এবং এক লাখ টন আতপ চাল। তবে এই লক্ষ্য অর্জনের গতি খুব ধীর। অনেক জেলায় এখনো ১ থেকে ২ শতাংশ ধান-চাল সংগ্রহ হয়েছে। গত সোমবার পর্যন্ত ধান ৪ হাজার ৭১২ টন, সেদ্ধ চাল ১ লাখ ৪৪ হাজার ৭৫২ টন এবং আতপ চাল ২১ হাজার ৫২৪ টন সংগ্রহ হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) আমনের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ১ কোটি ৭৮ লাখ টন নির্ধারণ করেছিল। তবে বন্যার কারণে ১০ লাখ টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই ঘাটতি পূরণে আমদানি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারের এই আমদানির উদ্যোগ ইতিবাচক। তবে দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশীয় উৎপাদন ও সংগ্রহের ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করা প্রয়োজন। স্থানীয় উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণেও উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি।
কমলা উৎপাদন ও রপ্তানিতে ভুটান সরকার নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে। এর মধ্যে ভুটান–ভারত সীমান্ত গেটের কাছে রপ্তানি ডিপো নির্মাণ, তহবিল সরবরাহ, রাস্তা, বিদ্যুৎ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং বন্যপ্রাণী প্রবেশ রোধে পরিখা খনন ও রাস্তার ধুলি কমাতে পানির ট্যাংকের ব্যবস্থা করা অন্যতম।
৫ ঘণ্টা আগেডলারের বাজারে কারসাজির অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ১৩ ব্যাংকের ট্রেজারি বিভাগের প্রধানদের অপসারণের নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ছাড়া তদন্ত দলের সুপারিশ অনুযায়ী, এসব ব্যাংককে তাদের অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী জরিমানা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে১০, ৫০ ও ১০০ টাকার ব্যাংক হিসাবকে বলা হয় নো-ফ্রিলস অ্যাকাউন্ট (এনএফএ)। এই ব্যাংকিং সুবিধাভোগীর মধ্যে আছেন কৃষক, পোশাকশ্রমিক, অতি দরিদ্র, সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির সুবিধাভোগীসহ অনেকে।
২০ ঘণ্টা আগেনাটোরের টুটুল ২০১৮ সালে শান্তিনিকেতন থেকে গণযোগাযোগে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি বা বড় ব্যবসার পেছনে না ছুটে কৃষি তথ্য সংগ্রহকারী ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেন। বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদন ও মানুষের কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি, বিশেষ করে ভেজাল পণ্য যেমন খেজুরের গুড়, ঘি, মুড়ি ও শুঁটকি নিয়ে কাজ ক
২০ ঘণ্টা আগে