নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের ডলার-সংকটের উন্নতি হলেও ২১ ব্যাংক এখনো সংকটে। পাশাপাশি ৩৫ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় ডলার রয়েছে। তাদের কোনো সংকট নেই। আমদানি বিল কমায় ডলারের উন্নতি হয়েছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগের কারণে ডলার এসেছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।
মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের বুধবারের ডলারের রেট ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এতে করে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়বে। যেটা এত দিন ছিল উল্টোমুখী। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ডলারের চাহিদা কমে এসেছে এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ অতি নগণ্যতে নেমে আসবে।
মেজবাউল হক বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার আছে। পক্ষান্তরে সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংকের গ্রাহক চাইলেও চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছে। এ কারণেই কখনো কখনো অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলারের বাজারে।’
যেহেতু আস্তে আস্তে ডলার বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে, এখন বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। প্রয়োজন হলে দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই।
মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার খরচের মূল খাত হলো দুটি। আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং অন্যটি সেবামূল্য পরিশোধ। দুই জায়গাতেই আমরা চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। কারণ, আমরা বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছি। পাশাপাশি এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্র খোলার হার কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডলার-সংকটের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এমন এক সময়ে ডলারের দর কমানো হলো, যখন ১২১ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা। মূলত ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে— এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রেখেছেন। প্রবাসীরা যেমন ডলার আনছে না তেমনি অনেকে আবার খোলাবাজার থেকে নগদ ডলার কিনে রাখছেন।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ৪ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তবে আগের মাসে যা ছিল ৪ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। আগস্টে ছিল ৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে ডলার পরিশোধের পরিমাণ কমছে। ফলে ব্যাংকের ডলার-সংকট ক্রমেই কমে আসছে।
দেশের ডলার-সংকটের উন্নতি হলেও ২১ ব্যাংক এখনো সংকটে। পাশাপাশি ৩৫ ব্যাংকের প্রয়োজনীয় ডলার রয়েছে। তাদের কোনো সংকট নেই। আমদানি বিল কমায় ডলারের উন্নতি হয়েছে। এ ছাড়া রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, বিদেশি ঋণ ও বিনিয়োগের কারণে ডলার এসেছে। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক।
মেজবাউল হক বলেন, বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশনের বুধবারের ডলারের রেট ৫০ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। এতে করে ডলারের বিপরীতে টাকার মান বাড়বে। যেটা এত দিন ছিল উল্টোমুখী। আমদানি কমে যাওয়ার কারণে ডলারের চাহিদা কমে এসেছে এবং আগামী বছরের সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে বিল পরিশোধের চাপ অতি নগণ্যতে নেমে আসবে।
মেজবাউল হক বলেন, ‘আমাদের বেশির ভাগ ব্যাংকের কাছেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ডলার আছে। পক্ষান্তরে সংকটেও রয়েছে কিছু ব্যাংক। এসব ব্যাংকের গ্রাহক চাইলেও চাহিদা অনুযায়ী ঋণপত্র খুলতে পারছে না। তাই তাঁরা বাধ্য হয়ে অন্য ব্যাংকের শরণাপন্ন হচ্ছে। এ কারণেই কখনো কখনো অস্থিরতা দেখা দিচ্ছে ডলারের বাজারে।’
যেহেতু আস্তে আস্তে ডলার বাজার স্বাভাবিক হচ্ছে, এখন বাংলাদেশ ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে মুখপাত্র জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরকার তার প্রয়োজনে ডলার নেয়। প্রয়োজন হলে দেশের স্বার্থে সেটা দিতেই হবে। বন্ধ করার কোনো সুযোগ নেই।
মেজবাউল হক বলেন, ‘ডলার খরচের মূল খাত হলো দুটি। আমদানি মূল্য পরিশোধ করা এবং অন্যটি সেবামূল্য পরিশোধ। দুই জায়গাতেই আমরা চাহিদা কমাতে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে আমাদের ডলার পরিশোধের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে এসেছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে মাসিক ডলার পরিশোধ নেমে ৪৯ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে। কারণ, আমরা বেশ কিছু পণ্য আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছি। পাশাপাশি এখন দীর্ঘমেয়াদি ঋণপত্র খোলার হার কমে গেছে। ব্যবসায়ীরা এখন যেসব ঋণপত্র খুলছেন তার বেশির ভাগই অ্যাট সাইট এলসি বা তাৎক্ষণিক। তাই খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ডলার-সংকটের পাশাপাশি দেশের মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।’
প্রসঙ্গত, গত বুধবার প্রতি ডলারে ৫০ পয়সা করে কমিয়ে আমদানিতে ১১০ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি ও রেমিট্যান্সে ১১০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যস্থতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকের সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
এমন এক সময়ে ডলারের দর কমানো হলো, যখন ১২১ থেকে ১২২ টাকা পর্যন্ত দরে রেমিট্যান্স কিনছে ব্যাংকগুলো। আর খোলাবাজারে নগদ ডলার বিক্রি হচ্ছে ১২৩ থেকে ১২৪ টাকা। মূলত ধারাবাহিকভাবে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বাড়ানোর ফলে আরও বাড়বে— এমন আশায় অনেকেই ডলার ধরে রেখেছেন। প্রবাসীরা যেমন ডলার আনছে না তেমনি অনেকে আবার খোলাবাজার থেকে নগদ ডলার কিনে রাখছেন।
চলতি বছরের অক্টোবর মাসে ৪ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়। তবে আগের মাসে যা ছিল ৪ দশমিক ৩৭ বিলিয়ন ডলার। আগস্টে ছিল ৬ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। ধারাবাহিকভাবে ডলার পরিশোধের পরিমাণ কমছে। ফলে ব্যাংকের ডলার-সংকট ক্রমেই কমে আসছে।
বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে খেলাপি ঋণের প্রকৃত চিত্র। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, দেশের ব্যাংকগুলোয় চলতি বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের
৬ মিনিট আগেআসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। একই সঙ্গে পণ্যের দামও যৌক্তিক পর্যায়ে রাখতে উদ্যোগী হয়েছে।
২৯ মিনিট আগেদুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ করহারসহ ১৭ ধরনের বাধায় বিপর্যস্ত দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য। রয়েছে সামাজিক সমস্যাও।
৪৪ মিনিট আগেঅনুমতি ছাড়াই চার বছর কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় চাকরি হারালেন আসমা উল হুসনা নামের এক সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা অনুযায়ী পলায়নের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে অপসারণ করা হয়েছে। তিনি কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট, ঢাকার (দক্ষিণ) কর্মকর্তা ছিলেন।
১১ ঘণ্টা আগে