Ajker Patrika

বন্যার অজুহাতে আরেক দফা বাড়ল চালের দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০১: ০৭
বন্যার অজুহাতে আরেক দফা বাড়ল চালের দাম

দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বন্যার কারণে বাজারে শাকসবজি থেকে শুরু করে সব ধরনের কাঁচা পণ্যের দাম বাড়তি এখন। এবার বন্যার অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মানভেদে চালের দাম বেড়েছে কেজিপ্রতি ২ থেকে ৫ টাকা।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে একটি চালের দোকান থেকে ৭৫ টাকা কেজি দরে নাজিরশাইল চাল কিনেছেন স্থানীয় এক ক্রেতা। তিনি জানান, একই চাল দুই সপ্তাহ আগে ৭০ টাকা দরে কিনেছেন তিনি। শুধু নাজিরশাইল নয়, মিনিকেট থেকে শুরু করে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ওই দোকানের ম্যানেজার।

রাজধানীর মালিবাগ ডিআইটি রোডের পাইকারি চাল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান মেসার্স ভূঁইয়া রাইস এজেন্সির বিক্রয় প্রতিনিধি মাসুম আলী জানান, আগে ৫০ কেজির মিনিকেট চালের বস্তা ৩ হাজার ৩০০ থেকে ৩ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হতো। বর্তমানে তা ৩ হাজার ৩৫০ থেকে ৩ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পুরান ঢাকার বাবুবাজারের মেসার্স মা-বাবার দোয়া রাইস এজেন্সির মালিক মনির হোসেন জমাদার বলেন, মিনিকেট চাল আগে ছিল ৬৩-৭০ টাকা। বর্তমানে তা ৬৪-৭১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৬৬ থেকে ৭৮ টাকা কেজি।

রাজধানীর বাদামতলী এলাকার মেসার্স নিউ মুক্তা রাইস এজেন্সির মালিক দ্বীন মোহাম্মদ স্বপন বলেন, শেরপুর-ময়মনসিংহে বন্যায় আমনের ক্ষতি হয়েছে—এই অজুহাতে মিল থেকে চালের সরবরাহ কিছুটা কমিয়ে দেওয়ায় তাঁদের বাজারে বস্তাপ্রতি ৫০ টাকা দাম বেড়েছে।

বন্যার অজুহাতে চালের দাম বাড়িয়ে দেওয়াটাকে ব্যবসায়ীদের অসততা বলছেন বাজার বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, রাজধানীতে চাল বেশি সরবরাহ হয় মূলত উত্তরবঙ্গের বগুড়া, নওগাঁ, কুষ্টিয়া, দিনাজপুর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে। কিন্তু বন্যা হয়েছে শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলায়। তাই বন্যার অজুহাতে চালের মূল্যবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিকতা নেই।

এ বিষয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, বন্যা কোনো বিষয় না, দাম বাড়াতে হলে একটি অজুহাত দরকার হয়। ব্যবসায়ীরা সেই অজুহাত পেয়ে গেছেন, তাই চালের দাম বাড়ানো হচ্ছে। এ অবস্থায় বাজারে সরকারের নজরদারি বাড়ানো দরকার।

এদিকে মিলমালিকেরা বলছেন, তাঁরা গত এক মাসে চালের দাম বাড়াননি। তাঁদের অভিযোগ, খুচরা ব্যবসায়ীরা অতিমুনাফা করার লোভে নিজেরা দাম বাড়িয়ে মিলারদের নাম দিচ্ছেন।

জয়পুরহাট জেলার মেসার্স বারি রাইস মিলের মালিক আমিনুল বারি বলেন, এক মাস আগে তাঁরা ৫০ কেজির মিনিকেট চালের বস্তা ৩ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করেছেন। বর্তমানেও একই দামে বিক্রি করছেন। তবে বিআর-২৯ চালের দাম সামান্য বেড়েছে। চালের দাম বাড়ার বিষয়ে খুচরা বিক্রেতাদের অতিমুনাফাকে দায়ী করছেন তিনি। 

 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত