দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষকে পীড়া দেয়: ডিসিসিআই সভাপতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯: ৫১

দেশের উচ্চ মূল্যস্ফীতি মানুষকে পীড়া দেয়। যদিও মূল্যস্ফীতি ৬ থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে। এটা শুধু দেশীয় সমস্যা নয়, সারা বিশ্বে মূল্যস্ফীতির ধাক্কা লেগেছে। এটা মূলত ডলারের দাম বাড়ার একটা পরোক্ষ ফল। এটা রাতারাতি সম্ভব নয়। আবার রিজার্ভে ডলারের সংকট, যা বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করেছে। পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলার জন্য ডলারের সংকট রয়েছে। তবে আস্তে আস্তে সহনীয়তার দিকে যাচ্ছে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘দেশের সমসাময়িক অর্থনীতির সার্বিক পরিস্থিতি এবং ২০২৪ সালে ডিসিসিআইর বর্ষব্যাপী কর্মপরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সংগঠনের সভাপতি আশরাফ আহমেদ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি দেশের একটা বড় সমস্যা। সীমিত আয়ের মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিরসনে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ডলারের সরবরাহ বাড়ায় আমদানি বাড়বে, যা উৎপাদন ও কর্মসংস্থানে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

রিজার্ভের ইস্যু টেনে তিনি বলেন, ‘আমাদের আড়াই মাসের মজুত রিজার্ভ প্রয়োজন। সেখানে সাড়ে তিন মাসের মজুত রয়েছে। আর গত আড়াই বছরে জ্বালানি ও নিত্যপণ্যে আমদানির জন্য প্রায় ২৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয়েছে। এসবের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা।’

আশরাফ আহমেদ বলেন, ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতে উদ্যোক্তাদের ঋণ পেত নানা সমস্যা হয়। তাঁদের ঋণের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। বিশেষ ব্যবস্থায় ঋণ দিলে তাঁরা উপকৃত হবেন। ঋণ পেতে কোনো ধরনের ভোগান্তি রাখা যাবে না। এ ছাড়া এসব খাতে দক্ষ মানুষের অভাব। শিক্ষাব্যবস্থার পরিবর্তন এনে তা পূরণ করতে হবে। তা না হলে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা কঠিন হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত