Ajker Patrika

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ে দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

কয়েক মাস রেয়াতের পর আবার বহাল হওয়া ভোজ্যতেলের ভ্যাট ও আমদানি শুল্ক আজ রোববার পর্যন্ত মওকুফ করেনি সরকার। পণ্যটির দাম নির্ধারণ ছাড়াই আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডাকা বৈঠক শেষ হয়েছে। সরকার নতুন করে ভ্যাট ও কর মওকুফ না করায় দুদিনের ব্যবধানে পাইকারি বাজারে ভোজ্যতেলের দাম মণপ্রতি ১৭০-২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) অনুমোদন না পাওয়ায় রোববার পর্যন্ত ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আজ বৈঠক অমীমাংসিত অবস্থায় শেষ হয়েছে। তবে আগামী দুদিনের মধ্যে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

পুরান ঢাকার মৌলভীবাজারের কয়েকজন পাইকারি ভোজ্যতেল ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ভ্যাট মওকুফের নতুন কোনো আদেশ না আসায় গত দুদিনে দাম অনেকটাই বেড়েছে। এত দিন প্রতিমণ (৩৭ কেজি ৩২০ গ্রাম) সয়াবিন তেলের দাম ছিল ৬১৫০ টাকা বা লিটারপ্রতি ১৫১ টাকা ৯৪ পয়সা।

আজ রোববার তা বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার ৩২০ টাকা বা লিটারপ্রতি ১৫৬ টাকা ১৪ পয়সা। প্রতিমণ পাম তেল বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার ৮০০ টাকা বা লিটারপ্রতি ১৪৩ টাকা ২৯ পয়সা। যা দুদিন আগেই ছিল ১৩৮ টাকা ৩৫ পয়সা।

ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও পরিশোধনকারীরা বলছেন, সরকার আবার কর মওকুফ না করলে দাম বাড়ানো ছাড়া তাদের কোনো উপায় নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টিকে গ্রুপের পরিচালক সফিকুল আতহার আজকের পত্রিকাকে জানান, তাঁরা ১৫ শতাংশ ভ্যাট দিয়েই চালান কাটছেন। ব্যবসায়ীদের পক্ষে লোকসান দিয়ে পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। ভ্যাট যোগ করতে হলে লিটারপ্রতি ১৮-২০ টাকা দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় নেই।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সরকার এখন ভ্যাট-কর থেকে আয় কমাতে রাজি নয়। নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা দিয়ে বাজার চালাতে চাচ্ছে না সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারে দর ওঠানামার ভিত্তিতেই চলতে চায়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রাজ্জাক গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আগামী দুদিনের মধ্যে দাম নির্ধারণ করা হবে। দাম কমবে নাকি বাড়বে, তা সেই সিদ্ধান্তের আগে বলা সম্ভব নয়।’

রোজার আগে ভোক্তাদের কাছে দাম সহনীয় রাখতে গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরে কয়েক দফায় ভোজ্যতেল আমদানি, উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট ছাড় দিয়েছিল সরকার। সর্বশেষ এই সুবিধার মেয়াদ ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দাম সহনীয় রাখতে আমদানি পর্যায়ের শুল্ক-কর রেয়াত ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়ানোর দাবি করেছিল ট্যারিফ কমিশন।

ঈদুল ফিতরের আগে ভোজ্যতেল আমদানিকারক ও মিল মালিকেরা ট্যারিফ কমিশনে চিঠি দিয়ে লিটারপ্রতি বোতলজাত সয়াবিনের দাম ১৮ টাকা এবং খোলা তেলের দাম ১৩ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। প্রস্তাবে ১ এপ্রিল থেকে নতুন দাম কার্যকর করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের দাম হওয়ার কথা ১৯৩ টাকা, যা বর্তমানে ১৭৫ টাকা। আর খোলা সয়াবিন ও পাম তেলের দাম লিটারপ্রতি হবে ১৭০ টাকা, যা বর্তমানে ১৫৭ টাকা। বোতলজাত সয়াবিনের দাম সর্বশেষ গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ানো হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গলাধাক্কার পর ছোট্ট মেয়েটিকে লাঠি দিয়ে পেটালেন কফিশপের কর্মচারী

বিশ্বব্যাংকে সিরিয়ার ঋণ পরিশোধ করে দিচ্ছে সৌদি আরব

মাত্র তিনজনের জন্য লাখ লাখ মানুষ মরছে, কাদের কথা বললেন ট্রাম্প

জুয়ার বিজ্ঞাপনের প্রচার: আলোচিত টিকটকার জান্নাতের স্বামী তোহা কারাগারে

‘চরিত্র হননের চেষ্টা’: গ্রেপ্তারি পরোয়ানার পর দুদককে পাল্টা আক্রমণ টিউলিপের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত