সালমানের দখলমুক্ত আইএফআইসি ব্যাংক, পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ০১
আপডেট : ০৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৮: ৪৪

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের দখলমুক্ত হলো আইএফআইসি ব্যাংক। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চারজন স্বতন্ত্রসহ ছয় পরিচালক নিয়োগের মাধ্যমে পরিচালনা পর্ষদের পুনর্গঠন করা হয়েছে। 

আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক আদেশে নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হয়।

আদেশে বলা হয়, আমানতকারী ও ব্যাংকের স্বার্থ সংরক্ষণ ও সুশাসন নিশ্চিতে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদ গঠন করা হয়েছে। 

নতুন পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হয়েছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের (এনবিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মেহমুদ হোসেন, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সাজ্জাদ জহির, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবতাদুল ইসলাম ও চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট কাজী মাহবুব কাশেম।

আর ব্যাংকটিতে ৩২ দশমিক ৭৫ শতাংশ সরকারি শেয়ার থাকায় সরকারের দুজন প্রতিনিধি পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. গোলাম মোস্তফা এবং অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব মুহাম্মাদ মনজুরুল হককে সরকার মনোনীত প্রতিনিধি পরিচালক করা হয়।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের নজিরবিহীন দুঃশাসনের অবসান ঘটে। গত সরকারের আমলে ব্যাংক খাতের লুটপাট ও নৈরাজ্যের হোতা ছিলেন সালমান এফ রহমান। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর সালমান গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

সালমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। এদিকে সালমান এফ রহমানের ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান ঋণখেলাপি হওয়া কারণে ইতিমধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালক পদ হারিয়েছেন। তাঁর পরিচালক পদে পুনর্নিয়োগের আবেদন নাকচ করে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে তিনি ব্যাংকটির পরিচালক পদ থেকে বাদ পড়েছেন।

এর আগে সরকার পতনের পরপরই বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তাঁর ছেলেসহ বেক্সিমকোর সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ করেন ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। একই সঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমডি শাহ এ সরোয়ারের আমলে অন্যায়ভাবে যাঁদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাঁদের পুনর্বহাল দাবি তোলা হয়।

বিক্ষোভকারীরা বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। এর সহযোগী ছিল সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার (বর্তমান ব্যাংকটির উপদেষ্টা)। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত