নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
এখনো চড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। চাল, ডাল, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত এবং আমদানিনির্ভর সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়তি। ফলে বাজারে গিয়ে ফর্দ মিলিয়ে সওদাপাতি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, শান্তিনগর ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৮৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ জুন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার বদলে উল্টো বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯৫-১০০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। আর গত বছর এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৭৫ টাকা। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা।
রামপুরা বাজারের বিক্রেতা আবদুল আলীম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম আড়ত থেকেই বেশি পড়তেছে। শুনছি গুদাম গেটেই দাম ৭০-৮০। এ বছর পেঁয়াজের দাম আর কমব না।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘মূলত ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। যে কারণে আমদানি করেও দামের লাগাম টানা যাচ্ছে না। তা ছাড়া যেখানে খোদ মন্ত্রী বলেন, রোজার পর থেকে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, কোনো পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য তাঁদের কাছে নেই। সেখানে পণ্যের দাম কমবে কীভাবে?’
আজকের বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৬০ টাকা, হালি ৫৫ টাকা এবং প্রতিটি ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য দুই পণ্য চাল ও ডালেরও দামও সামান্য বেড়েছে। মোটা স্বর্ণা চাল সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৮ টাকায়। আর সরু মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে মসুর ডাল মানভেদে ১০৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে সাপ্তাহিক সওদাপাতি কিনতে আসা শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘এক কেজি চাল, ডাল, আলু আর এক ডজন ডিম কিনতেই ৪০০ টাকা শেষ। এর সঙ্গে যদি পেঁয়াজ, সবজি আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে যাই, তাহলে হাজার টাকার নিচে পারা যাচ্ছে না।’
সবজির বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁপে, বেগুন ও করলার দাম সামান্য কমেছে। শুক্রবার পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ আর করলা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬৫ টাকা, কচুরমুখী, বরবটি ও টমেটো কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাংসের বাজারেও নেই কোনো সুখবর। সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির সামান্য কমলেও সপ্তাহান্তে এসে তা আবার বেড়েছে। আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২১০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরুর মাংসও ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে স্থির রয়েছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা কেজিতে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দাম একবার বেড়ে গেলে সেটা আর কমে না। এখন সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা ভাবা। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।’
এখনো চড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। চাল, ডাল, ডিম, আলু ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যগুলো আগের মতোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া দেশে উৎপাদিত এবং আমদানিনির্ভর সব ধরনের পণ্যের দামই বাড়তি। ফলে বাজারে গিয়ে ফর্দ মিলিয়ে সওদাপাতি কিনতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
আজ শুক্রবার রাজধানীর রামপুরা, শান্তিনগর ও বাড্ডা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ৮৫ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। পণ্যটির দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে ৪ জুন থেকে দেশে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। তবে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমার বদলে উল্টো বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৯৫-১০০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ৮০-৮৫ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত। আর গত বছর এই সময়ে পেঁয়াজের দাম ছিল ৬০-৭৫ টাকা। সে হিসেবে বছরের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২০-২৫ টাকা।
রামপুরা বাজারের বিক্রেতা আবদুল আলীম বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম আড়ত থেকেই বেশি পড়তেছে। শুনছি গুদাম গেটেই দাম ৭০-৮০। এ বছর পেঁয়াজের দাম আর কমব না।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ‘মূলত ঈদকে সামনে রেখে পেঁয়াজের দাম বাড়ানো হচ্ছে। যে কারণে আমদানি করেও দামের লাগাম টানা যাচ্ছে না। তা ছাড়া যেখানে খোদ মন্ত্রী বলেন, রোজার পর থেকে বাজার স্থিতিশীল রয়েছে, কোনো পণ্যের দাম বাড়ার তথ্য তাঁদের কাছে নেই। সেখানে পণ্যের দাম কমবে কীভাবে?’
আজকের বাজারে প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম ১৬০ টাকা, হালি ৫৫ টাকা এবং প্রতিটি ১৪-১৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। আলু বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৬০-৬৫ টাকায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় অন্য দুই পণ্য চাল ও ডালেরও দামও সামান্য বেড়েছে। মোটা স্বর্ণা চাল সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২-৪ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৮ টাকায়। আর সরু মিনিকেট বিক্রি হচ্ছে ৭৫ টাকা কেজিতে। অন্যদিকে মসুর ডাল মানভেদে ১০৫ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
রাজধানীর শান্তিনগর বাজারে সাপ্তাহিক সওদাপাতি কিনতে আসা শাহনাজ আক্তার বলেন, ‘এক কেজি চাল, ডাল, আলু আর এক ডজন ডিম কিনতেই ৪০০ টাকা শেষ। এর সঙ্গে যদি পেঁয়াজ, সবজি আর অন্যান্য প্রয়োজনীয় মসলা কিনতে যাই, তাহলে হাজার টাকার নিচে পারা যাচ্ছে না।’
সবজির বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁপে, বেগুন ও করলার দাম সামান্য কমেছে। শুক্রবার পেঁপে ৫০-৫৫ টাকা, বেগুন ৬০-৮০ আর করলা ৬০-৬৫ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া চিচিঙ্গা, ঝিঙে, ঢ্যাঁড়স ৫৫-৬৫ টাকা, কচুরমুখী, বরবটি ও টমেটো কেজিপ্রতি ৮০-১০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে।
মাংসের বাজারেও নেই কোনো সুখবর। সপ্তাহের মাঝামাঝি ব্রয়লার মুরগির সামান্য কমলেও সপ্তাহান্তে এসে তা আবার বেড়েছে। আজ প্রতি কেজি ব্রয়লার ২০০-২১০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। গরুর মাংসও ৭৫০-৮০০ টাকা কেজিতে স্থির রয়েছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০-১২০০ টাকা কেজিতে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য নাগালের মধ্যে আসার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে মনে করেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘দাম একবার বেড়ে গেলে সেটা আর কমে না। এখন সরকারের উচিত সাধারণ মানুষের আয় কীভাবে বাড়ানো যায়, সেটা ভাবা। তাহলে নিম্ন আয়ের মানুষের কষ্ট কিছুটা হলেও লাঘব হবে।’
আসন্ন পবিত্র রমজানকে সামনে রেখে খেজুর আমদানিতে শুল্ক কমিয়েছে সরকার। পাশাপাশি রোজার ইফতারির অন্যতম অনুষঙ্গ এই পণ্যের ওপর থাকা অগ্রিম করও পুরোপুরি তুলে নেওয়া হয়েছে। সরকারের নির্দেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) আজ বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। তবে খেজুর আমদানির অযৌক্তিক ট্যারিফ ভ্যালু...
৭ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ফের সোনার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ২২ ক্যারেট সোনার ভরির নতুন দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ ও বিস্তারিত জানতে পড়ুন।
৭ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন জুতা প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক তিন কোম্পানির কাছে প্রস্তুতকৃত চামড়া বিক্রি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এপেক্স ট্যানারি লিমিটেড। এ লক্ষ্যে শিগগিরই হবে চুক্তি। চুক্তির আওতায় বছরে ১৬ কোটি টাকার চামড়া বিক্রি করবে এপেক্স ট্যানারি।
৭ ঘণ্টা আগেফলজাত পণ্য রপ্তানির জন্য বিশেষ সুবিধা দিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ও ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে রপ্তানিকারকেরা এখন মোট রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা পাবেন। আজ বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বাংলাদেশ
৭ ঘণ্টা আগে