নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলাদেশে নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাস উত্তোলন করে চাহিদা মেটানোর মতো সম্ভাবনা থাকলেও সরকার গ্যাস আমদানির মতো ঝুঁকিতে গেছে। বছরে যদি পাঁচ-ছয়টি করে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো যেত, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাস-সম্পদ বা গ্যাস জ্বালানির অভাব থাকত না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরূল ইমাম।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘জ্বালানি রূপান্তরে সুবিচার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বদরূল ইমাম।
বদরূল ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশে জ্বালানি সংকটের মূল কারণ হচ্ছে অতি উচ্চ মূল্যে এলএনজি, কয়লা আমদানি। বিশ্বের অনেক দেশে গ্যাসের সম্ভাবনা আমাদের মতো। অনুসন্ধান ও কূপ খননের মাধ্যমে ওই সব দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে গ্যাসকূপ অনুসন্ধানের হার প্রতিবছরে একটা। প্রতিবছর যদি পাঁচ-ছয়টি করে গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হয়, তাহলে আমার মতে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাস-সম্পদ বা গ্যাস জ্বালানির অভাব থাকত না।’
বদরূল ইমাম আরও বলেন, ‘আমাদের (বাংলাদেশ) মতো গ্যাস মাটির নিচে রেখে আমদানির মতো ঝুঁকিতে যায়নি কেউ। সাগরের তলদেশে জ্বালানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা তার যথাযথ ব্যবহার করতে পারছি না। অতীত থেকে বর্তমান—কোনো সরকারই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেনি।’
সাগরের বুকে আমরা এখনো একটা কূপও খনন করিনি। বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশের গ্যাসের সম্ভাবনা আমাদের মতো, তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বদরূল ইমাম।
দেশে জ্বালানি সংকটের যে বিকল্প চলছে, তার বিকল্প নিজস্ব উৎস থেকে আহরণ করার আহ্বান জানিয়ে বদরূল ইমাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটির নিচে প্রচুর ভূসম্পদ রয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও নিশ্চিত করেছে, দেশে কী পরিমাণ গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন জ্বালানি নিয়ে যে সংকট আছে, সেটা নিজস্ব উৎস থেকে আহরণ করে সমাধান করা যায়।’
ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে বাণিজ্যিক করার ভয়াবহ প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই একে সেবা খাত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এই খাতে সংকট হলে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনিয়ম হচ্ছে উল্লেখ করে শামসুল আলম আরও বলেন, ‘গ্যাস-কয়লা রপ্তানি ঠেকাতে আমরা মাইলের পর মাইল লংমার্চ করেছি। নিজের সম্পদ থাকার সুবিধাটা পেলাম না। তিলে তিলে শেষ করা হচ্ছে, আমরা শুধু আফসোস করে যাব। নতুন প্রজন্মের জন্য কেমন দেশ রেখে যাচ্ছি। আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তোমরা এই অন্যায্য মেনে নিয়ো না।’
সৌরবিদ্যুতের ট্যারিফ নতুন করে নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘২০১৭ সালে যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, ২০১৯ সালে উৎপাদনে আসার কথা, এখন হয়তো এসেছে অথবা আসেনি। যত দিন যাচ্ছে, সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে যাচ্ছে। অথচ সেই সময়ের ট্যারিফ (মূল্য) ১৬ দশমিক ৬০ টাকা এখন বহাল রাখা হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়মের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করতে হবে বলে উল্লেখ করেন শামসুল আলম।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে, যাতে যত অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলো চ্যালেঞ্জ করা না যায়। এই আইন বাতিল করতে হবে। বিইআরসিকেই পুনর্বহাল করতে হবে। বিইআরসি সচল থাকলে এলিট দুর্নীতিবাজেরা আটকে যায়, যে কারণে বিইআরসিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
বাংলাদেশে নিজস্ব উৎস থেকে গ্যাস উত্তোলন করে চাহিদা মেটানোর মতো সম্ভাবনা থাকলেও সরকার গ্যাস আমদানির মতো ঝুঁকিতে গেছে। বছরে যদি পাঁচ-ছয়টি করে গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম চালানো যেত, তাহলে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাস-সম্পদ বা গ্যাস জ্বালানির অভাব থাকত না বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরূল ইমাম।
আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত ‘জ্বালানি রূপান্তরে সুবিচার চাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বদরূল ইমাম।
বদরূল ইমাম বলেন, ‘বাংলাদেশে জ্বালানি সংকটের মূল কারণ হচ্ছে অতি উচ্চ মূল্যে এলএনজি, কয়লা আমদানি। বিশ্বের অনেক দেশে গ্যাসের সম্ভাবনা আমাদের মতো। অনুসন্ধান ও কূপ খননের মাধ্যমে ওই সব দেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশে গ্যাসকূপ অনুসন্ধানের হার প্রতিবছরে একটা। প্রতিবছর যদি পাঁচ-ছয়টি করে গ্যাসের অনুসন্ধান চালানো হয়, তাহলে আমার মতে পাঁচ বছরের মধ্যে দেশে গ্যাস-সম্পদ বা গ্যাস জ্বালানির অভাব থাকত না।’
বদরূল ইমাম আরও বলেন, ‘আমাদের (বাংলাদেশ) মতো গ্যাস মাটির নিচে রেখে আমদানির মতো ঝুঁকিতে যায়নি কেউ। সাগরের তলদেশে জ্বালানির সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও আমরা তার যথাযথ ব্যবহার করতে পারছি না। অতীত থেকে বর্তমান—কোনো সরকারই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে গ্রহণ করেনি।’
সাগরের বুকে আমরা এখনো একটা কূপও খনন করিনি। বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশের গ্যাসের সম্ভাবনা আমাদের মতো, তারা অনেক দূর এগিয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেন বদরূল ইমাম।
দেশে জ্বালানি সংকটের যে বিকল্প চলছে, তার বিকল্প নিজস্ব উৎস থেকে আহরণ করার আহ্বান জানিয়ে বদরূল ইমাম আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মাটির নিচে প্রচুর ভূসম্পদ রয়েছে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোও নিশ্চিত করেছে, দেশে কী পরিমাণ গ্যাসের সম্ভাবনা রয়েছে। এখন জ্বালানি নিয়ে যে সংকট আছে, সেটা নিজস্ব উৎস থেকে আহরণ করে সমাধান করা যায়।’
ড. এম শামসুল আলম বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে বাণিজ্যিক করার ভয়াবহ প্রবণতা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই একে সেবা খাত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এই খাতে সংকট হলে খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত কঠিন হয়ে পড়বে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনিয়ম হচ্ছে উল্লেখ করে শামসুল আলম আরও বলেন, ‘গ্যাস-কয়লা রপ্তানি ঠেকাতে আমরা মাইলের পর মাইল লংমার্চ করেছি। নিজের সম্পদ থাকার সুবিধাটা পেলাম না। তিলে তিলে শেষ করা হচ্ছে, আমরা শুধু আফসোস করে যাব। নতুন প্রজন্মের জন্য কেমন দেশ রেখে যাচ্ছি। আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তোমরা এই অন্যায্য মেনে নিয়ো না।’
সৌরবিদ্যুতের ট্যারিফ নতুন করে নির্ধারণ করার আহ্বান জানিয়ে শামসুল আলম বলেন, ‘২০১৭ সালে যে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, ২০১৯ সালে উৎপাদনে আসার কথা, এখন হয়তো এসেছে অথবা আসেনি। যত দিন যাচ্ছে, সৌরবিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে যাচ্ছে। অথচ সেই সময়ের ট্যারিফ (মূল্য) ১৬ দশমিক ৬০ টাকা এখন বহাল রাখা হয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের অনিয়মের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করতে হবে বলে উল্লেখ করেন শামসুল আলম।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে, যাতে যত অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে, সেগুলো চ্যালেঞ্জ করা না যায়। এই আইন বাতিল করতে হবে। বিইআরসিকেই পুনর্বহাল করতে হবে। বিইআরসি সচল থাকলে এলিট দুর্নীতিবাজেরা আটকে যায়, যে কারণে বিইআরসিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
শেখ হাসিনা সরকারের আমলে গত সাড়ে ১৫ বছরে বেসরকারি ও যৌথ অংশীদারত্ব মিলিয়ে ৮৯টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের সঙ্গে করা বেশির ভাগ চুক্তিই নানা কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বড় বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন
২৮ মিনিট আগেইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানি নেতিবাচক ধারাতেই আছে। চলতি বছরের ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেকে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৬ শতাংশ। ইউরোস্টেটের তথ্যমতে, এ সময় ইউরোপের বাজারগুলোতে বাংলাদেশ থেকে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৪ দশমিক ৬০ বিলিয়ন ডলার, যা গত বছর একই সময় ছি
৩০ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থছাড় কমিয়ে দিয়েছে। এর প্রভাবও পড়েছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতেও (এডিপি)। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবরে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে ৭ দশমিক ৯০ শতাংশ।
১ ঘণ্টা আগে১৪৭ কোটি টাকা ব্যয় বৃদ্ধি করে চতুর্থ দফায় ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য এক্সটার্নাল টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক স্থাপন’ প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ছে দুই বছর। প্রকল্পটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ৩১ মার্চ।
১ ঘণ্টা আগে