অনলাইন ডেস্ক
শ্রীলঙ্কার চরম আর্থিক সংকটের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে, তাঁর ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষেসহ ১৩ জন সাবেক নেতাকে দায়ী করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ব্যক্তিদের তাদের ‘কর্ম, বর্জন এবং আচরণ’ আজকের এই সংকটের জন্ম দিয়েছে।
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি হয়ে যায়। ডলার সংকটে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ ফুরিয়ে গেলে ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এই সংকট সারা দেশে ক্ষোভ উসকে দেয়। কয়েক মাস ধরে চলে বিশাল জনবিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় রাজাপক্ষে পরিবার। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরেই ফিরে আসেন গোতাবায়া। তাঁর দল সমর্থিত একটি নতুন সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করলে গোতাবায়ার দেশের ফেরার পথ সুগম হয়।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকেই দেশের এই চরম দুর্দশার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অবশ্য মামলার আবেদনকারীদের ফির টাকা পরিশোধ করা ছাড়া রাজাপক্ষ ও তাঁর সময়ের দায়ী নেতাদের আর কোনো শাস্তি বা জরিমানা করা হয়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় আরও মামলার দরজা খুলে দিতে পারে। দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল শ্রীলঙ্কা এবং অন্য অধিকার কর্মীরা এই মামলা করেছিলেন।
মামলার শুনানি করেছেন পাঁচ বিচারকের একটি বেঞ্চ। ৪–১ বিভক্ত রায় দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি একমত যে, তৎকালীন নেতাদের ভুল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কানদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নরসহ ১১ কর্মকর্তাকে দায়ী করে রায় দিয়েছেন আদালত। রাজাপক্ষে ভাতৃদ্বয়কেও দায়ী করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল শ্রীলঙ্কা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিবাদীরা শুধু এই বলে দায় এড়াতে পারেন না যে, তাঁরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিলেন তা ছিল নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই ধরনের বিপর্যয় ঠেকানো বিবাদীদের সম্পূর্ণ ক্ষমতার মধ্যেই ছিল। কারণ তাঁরা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন। এটা স্পষ্ট যে তাঁরা জনস্বার্থে পরিস্থিতির প্রতিকারের জন্য কাজ করেননি এবং সম্ভব সব ধরনের ব্যবস্থা নেননি।’
অর্থনৈতিক সংকট যখন চরম পর্যায়ে তখন শ্রীলঙ্কায় দৈনিক ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। দেশটির সরকার গত বছর নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। আইএমএফের ঋণের ওপর ভর করে এখনো আর্থিক সংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছে। আইএমএফ থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এই ঋণ চুক্তিতে শ্রীলঙ্কাকে অনেক কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে আইএমএফ।
চলতি নভেম্বর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ ৪৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন (৪ হাজার ৬৯০ কোটি) ডলার। এর মধ্যে ৫২ শতাংশই চীন থেকে নেওয়া। চীনই এখন শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম ঋণদাতা।
শ্রীলঙ্কার চরম আর্থিক সংকটের জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে, তাঁর ভাই মাহিন্দা রাজাপক্ষেসহ ১৩ জন সাবেক নেতাকে দায়ী করেছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে, এই ব্যক্তিদের তাদের ‘কর্ম, বর্জন এবং আচরণ’ আজকের এই সংকটের জন্ম দিয়েছে।
২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খালি হয়ে যায়। ডলার সংকটে আমদানি প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জ্বালানি, খাদ্য ও ওষুধ ফুরিয়ে গেলে ভয়াবহ মূল্যস্ফীতি দেখা দেয়। এই সংকট সারা দেশে ক্ষোভ উসকে দেয়। কয়েক মাস ধরে চলে বিশাল জনবিক্ষোভ। বিক্ষোভের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে।
ক্ষমতাচ্যুতির পর দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায় রাজাপক্ষে পরিবার। কিন্তু ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরেই ফিরে আসেন গোতাবায়া। তাঁর দল সমর্থিত একটি নতুন সরকার অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরু করলে গোতাবায়ার দেশের ফেরার পথ সুগম হয়।
গত মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়াকেই দেশের এই চরম দুর্দশার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। অবশ্য মামলার আবেদনকারীদের ফির টাকা পরিশোধ করা ছাড়া রাজাপক্ষ ও তাঁর সময়ের দায়ী নেতাদের আর কোনো শাস্তি বা জরিমানা করা হয়নি।
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বোচ্চ আদালতের এই রায় আরও মামলার দরজা খুলে দিতে পারে। দুর্নীতি পর্যবেক্ষক সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল শ্রীলঙ্কা এবং অন্য অধিকার কর্মীরা এই মামলা করেছিলেন।
মামলার শুনানি করেছেন পাঁচ বিচারকের একটি বেঞ্চ। ৪–১ বিভক্ত রায় দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ সংখ্যাগরিষ্ঠ বিচারপতি একমত যে, তৎকালীন নেতাদের ভুল অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার কারণে শ্রীলঙ্কানদের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে। সাবেক অর্থমন্ত্রী বাসিল রাজাপক্ষে এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক দুই গভর্নরসহ ১১ কর্মকর্তাকে দায়ী করে রায় দিয়েছেন আদালত। রাজাপক্ষে ভাতৃদ্বয়কেও দায়ী করেছেন সুপ্রিম কোর্ট।
ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল শ্রীলঙ্কা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘বিবাদীরা শুধু এই বলে দায় এড়াতে পারেন না যে, তাঁরা যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিলেন তা ছিল নীতিগত সিদ্ধান্ত। এই ধরনের বিপর্যয় ঠেকানো বিবাদীদের সম্পূর্ণ ক্ষমতার মধ্যেই ছিল। কারণ তাঁরা এ ব্যাপারে ওয়াকিবহাল ছিলেন। এটা স্পষ্ট যে তাঁরা জনস্বার্থে পরিস্থিতির প্রতিকারের জন্য কাজ করেননি এবং সম্ভব সব ধরনের ব্যবস্থা নেননি।’
অর্থনৈতিক সংকট যখন চরম পর্যায়ে তখন শ্রীলঙ্কায় দৈনিক ১৩ ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হয়েছে। দেশটির সরকার গত বছর নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে। আইএমএফের ঋণের ওপর ভর করে এখনো আর্থিক সংকটের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব কাটিয়ে উঠতে লড়াই করছে। আইএমএফ থেকে ৩০০ কোটি ডলার ঋণ নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের এই ঋণ চুক্তিতে শ্রীলঙ্কাকে অনেক কঠিন লক্ষ্য দিয়েছে আইএমএফ।
চলতি নভেম্বর পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার বৈদেশিক ঋণ ৪৬ দশমিক ৯ বিলিয়ন (৪ হাজার ৬৯০ কোটি) ডলার। এর মধ্যে ৫২ শতাংশই চীন থেকে নেওয়া। চীনই এখন শ্রীলঙ্কার বৃহত্তম ঋণদাতা।
আমি জানি আপনারা অনেক কষ্টে আছেন। তবে এটাও বলতে চাই যে-আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে পেঁয়াজ, চিনি এবং তেলের দাম কিছুটা কমে এসেছে...
১ ঘণ্টা আগেভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা গৌতম আদানিকে ২৬৫ মিলিয়ন ডলার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রসিকিউটরেরা। এর পরপরই কেনিয়ায় গ্রুপটির দুটি বড় প্রকল্প বাতিল হয়ে গেছে। যদিও আদানি গ্রুপ তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
২ ঘণ্টা আগেভারতের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের গৌতম আদানি ও তাঁর ব্যবসায়িক গোষ্ঠী আদানি গ্রুপের শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগপত্র দাখিল ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে। এমনটাই ধারণা করছেন ঢাকার জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। যুক্তরাষ্ট্রের আদানির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এমন এক
৪ ঘণ্টা আগেঅর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
১৮ ঘণ্টা আগে