পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে অধিক জনসংখ্যা দায়ী: কৃষিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৫ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ৫৮
Thumbnail image

দেশে আবাদি জমির তুলনায় জনসংখ্যার আকার অনেক বেশি বড়। তা ছাড়া যেই হারে প্রতিবছর জনসংখ্যা বাড়ছে সেই হারে আবাদি জমি বাড়ছে না, বরং কমছে। জনসংখ্যার এই আধিক্যের কারণেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকছে না বলে দাবি করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। 

কৃষিমন্ত্রী বলেছেন, বাংলাদেশে প্রতিবছর ২৪ লাখ মানুষ বাড়ছে। কিন্তু সেই হিসেবে বাড়ছে না জমি। বরং নানাভাবে কমছে আবাদি জমি। জনসংখ্যার এই আধিক্যের কারণে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। 

তিনি বলেন, প্রতি বছর পেঁয়াজের বাজার চড়া হয়। এটি জেনেই বাংলাদেশ পেঁয়াজ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ার চেষ্টা করছে। করোনাকালে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বে এখন পেঁয়াজ উৎপাদনে তৃতীয় স্থানে বাংলাদেশ। গতবারের চেয়ে এবারও ৭ লাখ টন বেশি পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে দেশে। ঘাটতি পূরণে সব চেষ্টা করছে কৃষি মন্ত্রণালয়। 

আজ শুক্রবার রাজধানীর খামারবাড়িতে বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর বহু দেশে ২৪ লাখ মানুষও নেই। অথচ প্রতিবছর এই পরিমাণ মানুষ বাড়ছে বাংলাদেশে। কমছে কৃষি জমির পরিমাণ। একই জমিতে শিল্প কল-কারখানাও গড়ে তোলা হচ্ছে। জমি কমে যাওয়ার পরেও আমাদের কিন্তু উৎপাদন বাড়ছে। হাঁস-মুরগি এবং পশু পালন, মৎস্য চাষের ফলে খাদ্যের ব্যবহার এবং চাহিদা বেড়েছে। 

তবে ব্রয়লার মুরগির দাম ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, সিন্ডিকেট করে ব্রয়লার মুরগির দাম বাড়িয়েছে ব্যবসায়ীরা। নানাভাবে দেশে খাদ্যের দাম বাড়ানো হয়। তবে দেশে খাদ্যসংকট নেই। উত্তরাঞ্চলে মঙ্গার কথা ভুলতে বসেছে সবাই। খাদ্য সংকট নেই। তবে দাম বেশি হওয়ায় অনেকের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। খাদ্যের দামের বিষয়টা আন্তর্জাতিক বাজারের ওপর কিছুটা নির্ভরশীল। কেননা খাদ্যের আন্তর্জাতিক বাজার মূল্য স্থানীয় বাজারের ওপর প্রভাব ফেলে। 

এর আগে একাধিক মন্ত্রী বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ’ বলে উল্লেখ করলেও কৃষিমন্ত্রী বলেন, খাদ্যে এখনো বাংলাদেশ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। তবে দেশে খাদ্যের উৎপাদন আগের চেয়ে বেড়েছে। এ জন্য চালের দাম একটু বেশি হলেও, চাল নিয়ে অস্থিরতা নেই। 

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, পণ্যের চাহিদা বেশি হলে এবং সেই তুলনায় সরবরাহ কমে গেলে পণ্যের দাম কিছুটা বাড়বেই। হাজার চেষ্টা করেও তখন দাম কমানো যায় না। মন্ত্রী প্রশ্ন করেন, ‘বর্তমানে আলুর দাম কম, এখন কি সিন্ডিকেট করে দাম বাড়ানো সম্ভব? তারপরেও আমরা সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মনিটরিংয়ের মাধ্যমে চেষ্টা করি বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে। যারা ব্যবসা করেন তাঁরা আরও বেশি মুনাফা করতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। সারা পৃথিবীতেই এমন হয়।’ 

সংবাদ সম্মেলনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব খাদ্য সংস্থার বাংলাদেশে প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন এবং সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেসবাহুল ইসলাম। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত