অনলাইন ডেস্ক
সোভিয়েত যুগ বিদায় নিয়েছে আরও তিন দশকেরও বেশি সময় আগে। পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক দশকের স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের মধ্য দিয়ে। বিষয়টি এখন ইতিহাস হলেও আবারও সেই স্নায়ুযুদ্ধের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গীতা গোপীনাথ বলেছেন, বিশ্বের বর্তমান অর্থনীতি যে অবস্থানে রয়েছে, তাতে যেকোনো সময় দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনটা হলে প্রথম স্নায়ুযুদ্ধ শেষে বিগত তিন দশকে যা অর্জিত হয়েছে তা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার লড়াইকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন ব্লকে বিভাজিত হয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা বিশ্বকে আরও একটি স্নায়ুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
গত সোমবার কলাম্বিয়ায় দেওয়া এক ভাষণে গীতা গোপীনাথ বলেছেন, ‘আমরা সব জেনেও যদি দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি, তাহলে হয়তো আমরা পরস্পরের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে পারব না কিন্তু আমরা মুক্ত বাণিজ্য থেকে বিশ্বজুড়ে যে লাভ দেখেছি তা নিঃশেষ হয়ে যাবে।’
এ অবস্থায় বিশ্বের সরকারগুলোকে সতর্ক করে আইএমএফের এই কর্মকর্তা বলেছেন, বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে আমরা বর্তমানে একটি ‘টার্নিং পয়েন্টে’ আছি। এই অবস্থায় আমরা যদি খাদের কিনারা থেকে সরে আসার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের প্রতি সহযোগিতার ভিত্তিতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গীতা গোপীনাথের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রভাবে বিশ্বে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘যদিও বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া থেকে ব্যাপকভাবে পশ্চাদপসরণের কোনো লক্ষণ নেই, কিন্তু ভূ-অর্থনৈতিক বিভাজন ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা হিসেবে দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ রেখা তৈরি করছে। যদি এই বিভেদ গভীর হয়, তাহলে আমরা হয়তো শিগগিরই নতুন স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যে নিজেদের দেখতে পাব।’
পশ্চিমা বিশ্ব বনাম চীন-রাশিয়া অক্ষের মধ্যকার অর্থনৈতিক লড়াইয়ে যদি মুক্ত বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে গীতা গোপীনাথ বলেন, এতে বিশ্ব অর্থনীতির জিডিপি অন্তত আড়াই শতাংশ কমবে এবং অর্থের হিসাবে ক্ষতি হতে পারে প্রায় আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের এই অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই সংকট শুরু হলে দেশগুলো কীভাবে তা মোকাবিলা করবে, তার ওপর ভিত্তি করে ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। এমনকি বিশ্ব জিডিপির বর্তমান আকারের ৭ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এ লড়াই চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও ২ শতাংশ বাড়তে পারে।
বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্যে যেভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তা সর্বশেষ হয়েছিল ২০০৮ সালের আর্থিক বিপর্যয়ের সময়। কোভিডের পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সরবরাহ চেইনকে ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো সব রাষ্ট্রের চেয়ে নিজের দেশ বা বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনায় প্রাধান্য দিচ্ছে। এমনকি দেশগুলোও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এক উদ্যোগকে সমর্থন করছে। যার ফলে নিজেদের দেশে কর্মসংস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ার সুবিধা থাকলেও গোপীনাথ সতর্ক করে বলেছেন, এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এর ফলে এমনকি বিগত তিন দশক ধরে শান্তির ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া বড় জোটগুলোর বাইরে নিরপেক্ষ দেশগুলোর জন্য কিছু সুবিধা বয়ে আনতে পারে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলোর মধ্যে সংযোগ সাধনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
সোভিয়েত যুগ বিদায় নিয়েছে আরও তিন দশকেরও বেশি সময় আগে। পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যে দীর্ঘ কয়েক দশকের স্নায়ুযুদ্ধের অবসান হয়েছিল সোভিয়েত রাশিয়ার পতনের মধ্য দিয়ে। বিষয়টি এখন ইতিহাস হলেও আবারও সেই স্নায়ুযুদ্ধের যুগ ফিরে আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ফার্স্ট ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও অর্থনীতিবিদ গীতা গোপীনাথ। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গীতা গোপীনাথ বলেছেন, বিশ্বের বর্তমান অর্থনীতি যে অবস্থানে রয়েছে, তাতে যেকোনো সময় দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে। এমনটা হলে প্রথম স্নায়ুযুদ্ধ শেষে বিগত তিন দশকে যা অর্জিত হয়েছে তা নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে। চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার লড়াইকে কেন্দ্র করে বিশ্ব অর্থনীতির বিভিন্ন ব্লকে বিভাজিত হয়ে যাওয়ার যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তা বিশ্বকে আরও একটি স্নায়ুযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে। এর ফলে বিশ্বজুড়ে কয়েক ট্রিলিয়ন ডলারের উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
গত সোমবার কলাম্বিয়ায় দেওয়া এক ভাষণে গীতা গোপীনাথ বলেছেন, ‘আমরা সব জেনেও যদি দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ি, তাহলে হয়তো আমরা পরস্পরের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে পারব না কিন্তু আমরা মুক্ত বাণিজ্য থেকে বিশ্বজুড়ে যে লাভ দেখেছি তা নিঃশেষ হয়ে যাবে।’
এ অবস্থায় বিশ্বের সরকারগুলোকে সতর্ক করে আইএমএফের এই কর্মকর্তা বলেছেন, বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে আমরা বর্তমানে একটি ‘টার্নিং পয়েন্টে’ আছি। এই অবস্থায় আমরা যদি খাদের কিনারা থেকে সরে আসার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সরকারের প্রতি সহযোগিতার ভিত্তিতে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
গীতা গোপীনাথের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এল, যখন ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে চীন ও রাশিয়ার দ্বন্দ্বের প্রভাবে বিশ্বে মন্দার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তিনি বলেছেন, ‘যদিও বিশ্বায়ন প্রক্রিয়া থেকে ব্যাপকভাবে পশ্চাদপসরণের কোনো লক্ষণ নেই, কিন্তু ভূ-অর্থনৈতিক বিভাজন ক্রমবর্ধমান বাস্তবতা হিসেবে দেশগুলোর মধ্যে বিভেদ রেখা তৈরি করছে। যদি এই বিভেদ গভীর হয়, তাহলে আমরা হয়তো শিগগিরই নতুন স্নায়ুযুদ্ধের মধ্যে নিজেদের দেখতে পাব।’
পশ্চিমা বিশ্ব বনাম চীন-রাশিয়া অক্ষের মধ্যকার অর্থনৈতিক লড়াইয়ে যদি মুক্ত বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে কী পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হতে পারে, সে বিষয়টি তুলে ধরতে গিয়ে গীতা গোপীনাথ বলেন, এতে বিশ্ব অর্থনীতির জিডিপি অন্তত আড়াই শতাংশ কমবে এবং অর্থের হিসাবে ক্ষতি হতে পারে প্রায় আড়াই ট্রিলিয়ন ডলার।
আইএমএফের এই অন্যতম শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, এই সংকট শুরু হলে দেশগুলো কীভাবে তা মোকাবিলা করবে, তার ওপর ভিত্তি করে ক্ষতি আরও বাড়তে পারে। এমনকি বিশ্ব জিডিপির বর্তমান আকারের ৭ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। দীর্ঘ মেয়াদে এ লড়াই চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ আরও ২ শতাংশ বাড়তে পারে।
বর্তমান বিশ্ব বাণিজ্যে যেভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, তা সর্বশেষ হয়েছিল ২০০৮ সালের আর্থিক বিপর্যয়ের সময়। কোভিডের পর ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সরবরাহ চেইনকে ঝুঁকিমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে। এর ফলে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো সব রাষ্ট্রের চেয়ে নিজের দেশ বা বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনায় প্রাধান্য দিচ্ছে। এমনকি দেশগুলোও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের এক উদ্যোগকে সমর্থন করছে। যার ফলে নিজেদের দেশে কর্মসংস্থা সৃষ্টি হচ্ছে।
এই প্রক্রিয়ার সুবিধা থাকলেও গোপীনাথ সতর্ক করে বলেছেন, এই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এর ফলে এমনকি বিগত তিন দশক ধরে শান্তির ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে, তা ব্যর্থ হয়ে যেতে পারে। তবে এই প্রক্রিয়া বড় জোটগুলোর বাইরে নিরপেক্ষ দেশগুলোর জন্য কিছু সুবিধা বয়ে আনতে পারে। তারা প্রতিদ্বন্দ্বী জোটগুলোর মধ্যে সংযোগ সাধনকারী দেশ হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৩ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৪ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৫ ঘণ্টা আগে