নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দুই মাস ধরে কমছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না। এমন সংকটের মধ্যেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির জন্য টাকার মান কমা ভালো। ডলারের সরবরাহ বাড়াতে টাকার মান কমাতে হবে। আমরা চাচ্ছি দেশে আরও ডলার সরবরাহ হোক।
‘পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে টাকার মান ও এক্সচেঞ্জ রেট (বিনিময় হার) সমন্বয় করতে হবে।’
গত কয়েক মাসের গড় হিসাব দেখিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলছেন, ‘অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক আগের চেয়ে বরং ভালো হচ্ছে। রপ্তানি ও রেমিটেন্স কমছে- এটা সত্য নয়। আমাদের আমদানি কমেছে, কারেন্ট একাউন্ট আমরা সামাল দিতে পেরেছি, আগের বছরের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগও বেড়েছে।
“কাজেই আমরা সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি। অনেক বিপর্যয়ের মধ্যে আছি- এটা কিন্তু ঠিক না। অর্থনীতি স্বাভাবিক আছে, আমরা ভালোভাবে এগোচ্ছি।’
শামসুল আলম বলেন, গত চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৭ হাজার ১৯৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৭ দশমিক ০৫৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স কমছে কথাটা সত্য না।’
‘রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারের, যেটা গত বছরের একই সময়ে ছিল একহাজার ৫৭৪ কোটি ডলার- এটাও বেড়েছে।’
অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশ্নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের যে পদ্ধতিতে হিসাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) করে, তার সঙ্গে দ্বিমত তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ একমত না হলে কিছু আসে যায় না। সরকার প্রথাগতভাবে রিজার্ভ রক্ষা করছে, কোথাও কিছু লুকায়নি। ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ আছে। এটা দিয়ে এখনো চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।’
দেশের রিজার্ভ কমে ৩ হাজার ৪০০ কোটি বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নভুক্ত (আকু) দেশগুলোর ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করা হয়। এর পরই রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসে। যদিও আইএমএফের হিসাব মানলে প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৬ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার।
ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত এমন বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়নকেই রিজার্ভ হিসেবে গণনা করে আইএমএফ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন যে রিজার্ভ ধরছে, তাতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) অর্থ; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, পায়রা বন্দর প্রকল্প ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণসহায়তাকেও যুক্ত করা হচ্ছে। এগুলো সব মিলে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দিতে বলছে আইএমএফ।
তবে বাংলাদেশে চলমান আইএমএফ মিশনের সঙ্গে এর মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনায় সম্মতি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে চলমান সংকটকালে শর্ত বাস্তবায়নে সুবিধাজনক সুযোগ চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দুই মাস ধরে কমছে রপ্তানি আয় ও প্রবাসী আয়। ডলার সংকটে ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছেন না। এমন সংকটের মধ্যেও অর্থনৈতিক পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক হিসেবে দেখছেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম।
মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘রপ্তানি ও প্রবাসী আয় বৃদ্ধির জন্য টাকার মান কমা ভালো। ডলারের সরবরাহ বাড়াতে টাকার মান কমাতে হবে। আমরা চাচ্ছি দেশে আরও ডলার সরবরাহ হোক।
‘পরিস্থিতি সামাল দিতে হলে টাকার মান ও এক্সচেঞ্জ রেট (বিনিময় হার) সমন্বয় করতে হবে।’
গত কয়েক মাসের গড় হিসাব দেখিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলছেন, ‘অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক আগের চেয়ে বরং ভালো হচ্ছে। রপ্তানি ও রেমিটেন্স কমছে- এটা সত্য নয়। আমাদের আমদানি কমেছে, কারেন্ট একাউন্ট আমরা সামাল দিতে পেরেছি, আগের বছরের চেয়ে বিদেশি বিনিয়োগও বেড়েছে।
“কাজেই আমরা সংকটের মধ্যে পড়ে গেছি। অনেক বিপর্যয়ের মধ্যে আছি- এটা কিন্তু ঠিক না। অর্থনীতি স্বাভাবিক আছে, আমরা ভালোভাবে এগোচ্ছি।’
শামসুল আলম বলেন, গত চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) ৭ হাজার ১৯৮ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স (প্রবাসী আয়) এসেছে, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৭ দশমিক ০৫৫ বিলিয়ন ডলার। রেমিট্যান্স কমছে কথাটা সত্য না।’
‘রপ্তানি আয় এসেছে এক হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারের, যেটা গত বছরের একই সময়ে ছিল একহাজার ৫৭৪ কোটি ডলার- এটাও বেড়েছে।’
অর্থনীতির স্থিতিশীলতার প্রশ্নে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের যে পদ্ধতিতে হিসাব আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) করে, তার সঙ্গে দ্বিমত তুলে ধরেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আইএমএফ একমত না হলে কিছু আসে যায় না। সরকার প্রথাগতভাবে রিজার্ভ রক্ষা করছে, কোথাও কিছু লুকায়নি। ৩৫ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি রিজার্ভ আছে। এটা দিয়ে এখনো চার মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে।’
দেশের রিজার্ভ কমে ৩ হাজার ৪০০ কোটি বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নভুক্ত (আকু) দেশগুলোর ১ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার বিল পরিশোধ করা হয়। এর পরই রিজার্ভ ৩৪ বিলিয়নের ঘরে নেমে আসে। যদিও আইএমএফের হিসাব মানলে প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৬ দশমিক শূন্য ৭ বিলিয়ন ডলার।
ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত এমন বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়নকেই রিজার্ভ হিসেবে গণনা করে আইএমএফ। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক এখন যে রিজার্ভ ধরছে, তাতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) অর্থ; বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, পায়রা বন্দর প্রকল্প ও শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণসহায়তাকেও যুক্ত করা হচ্ছে। এগুলো সব মিলে ৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভের হিসাব থেকে বাদ দিতে বলছে আইএমএফ।
তবে বাংলাদেশে চলমান আইএমএফ মিশনের সঙ্গে এর মধ্যে যে আলোচনা হয়েছে, তাতে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী রিজার্ভ গণনায় সম্মতি জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে চলমান সংকটকালে শর্ত বাস্তবায়নে সুবিধাজনক সুযোগ চেয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতিবিদ ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, এস আলম গ্রুপের কর্ণধার মোহাম্মদ সাইফুল আলমের আন্তর্জাতিক সালিসে যাওয়ার হুমকিতে ভয় পাওয়ার কারণ নেই। দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে শ্বেতপত্র প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগেবেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
১৪ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
১৫ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
১৬ ঘণ্টা আগে