জাহিদ হাসান, যশোর
দেশের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার যশোরের রাজারহাট। ঈদ-পরবর্তী দ্বিতীয় হাট ছিল গতকাল শনিবার। প্রথম দিনের চেয়ে জমজমাট হলেও চামড়ার দাম নিয়ে হতাশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা, পুঁজিও উঠবে না। তবে আড়তদারেরা বলছেন, তাঁরা উপযুক্ত দামই দিচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে সরকার-নির্ধারিত দামের বেশি দিয়েও কিনেছেন।
প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসে রাজারহাট। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ছোট পরিসরে কেনাবেচা হয়েছিল। গতকাল বৃহৎ পরিসরে বসে হাট। মূল বাজার ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কের পাশে চামড়া নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের চামড়ায় কারও আগ্রহ দেখা যায়নি। বাধ্য হয়ে অনেকে ৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। ত্রুটিপূর্ণ চামড়া দেখলেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন আড়তদারেরা।
খুলনার পাইকগাছা থেকে আসা রাজকুমার বলেন, তাঁরা স্থানীয় পাঁচজন মিলে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পুঁজি তৈরি করেন। সেই পুঁজি দিয়ে ঈদের দিন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া কেনেন। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় ছোট, ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় মাঝারি এবং ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বড় গরুর চামড়া কিনেছেন। কিন্তু চামড়া গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হয়েছে।
যশোর সদরের ইছালি গ্রামের বিশ্বজিৎ কুমার ১২২টি গরু ও ২০টি ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছিলেন। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলেও সব চামড়া বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু চামড়ার এ রকম দরপতন তিন-চার বছর ধরে চলছে। সরকার-নির্ধারিত ৫০ টাকা প্রতি বর্গফুট হলেও দাম পাওয়া যাচ্ছে ২৫ টাকা হিসাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করা, লবণ লাগানো এবং পরিবহন খরচ মিলিয়ে যে চামড়ার দাম প্রতিটি ৮০০-৯০০ টাকা পড়েছে; প্রায় একই দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।’
মনিরামপুরের গোপাল দাস ঋষি নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে খাসির চামড়ার স্তূপের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি চামড়া ২০ থেকে ৫০ টাকা করে কিনেছি। লবণ লাগানো, শ্রমিক—এসব নিয়ে আরও খরচ হয়েছে। এখন সেই চামড়া হাটে এনে কেনা দামেও বিক্রি করতে পারছি না। ঋণ নিয়ে চামড়া কিনেছিলাম। এখন এ টাকা শোধ করব কীভাবে?’
তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকার-নির্ধারিত দাম পাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় আড়তদারেরা। তাঁদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি টাকা দিয়ে চামড়া কিনেছেন তাঁরা। তবে কাটা, ফাটা চামড়ার দাম কম। অনেক ক্ষেত্রে নেননি বলেও জানান।
স্থানীয় আড়তদার হাসানুজ্জামান হাসু জানান, একেকটি গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণ ও শ্রমিকের মজুরিসহ গড়ে ৩০০ টাকা খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এবার লবণের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে। এরপরও তাঁরা ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে কাঁচা চামড়া কিনেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দাম দিয়েছেন। এখন এসব চামড়া লবণজাত করতে তাঁদের খরচ বেড়ে গেছে।
আড়তদার ও যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ‘হাটে ৭০ হাজার পিসের মতো চামড়া উঠেছে। ভালো মানের গরুর চামড়া সরকার-নির্ধারিত দামে অথবা কাছাকাছি দামে বিক্রি হয়েছে। খারাপ চামড়ার দাম কমবে—এটাই স্বাভাবিক। খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি থেকে কম দামে কিনে অনেক বেশি দাম চেয়ে থাকেন। তবে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নিলে এই খাত আরও বিকশিত হবে। আবার সরকার খুচরা চামড়া ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণ দিলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেন।’
দেশের অন্যতম বৃহত্তম চামড়ার বাজার যশোরের রাজারহাট। ঈদ-পরবর্তী দ্বিতীয় হাট ছিল গতকাল শনিবার। প্রথম দিনের চেয়ে জমজমাট হলেও চামড়ার দাম নিয়ে হতাশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। তাঁদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত দামের তুলনায় কম দামে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা, পুঁজিও উঠবে না। তবে আড়তদারেরা বলছেন, তাঁরা উপযুক্ত দামই দিচ্ছেন। ক্ষেত্রবিশেষে সরকার-নির্ধারিত দামের বেশি দিয়েও কিনেছেন।
প্রতি শনি ও মঙ্গলবার বসে রাজারহাট। ঈদের পরদিন মঙ্গলবার ছোট পরিসরে কেনাবেচা হয়েছিল। গতকাল বৃহৎ পরিসরে বসে হাট। মূল বাজার ছাড়িয়ে আশপাশের সড়কের পাশে চামড়া নিয়ে বসেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল হাট ঘুরে দেখা গেছে, গরুর চামড়া সর্বোচ্চ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ছাগলের চামড়ায় কারও আগ্রহ দেখা যায়নি। বাধ্য হয়ে অনেকে ৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি করছেন। ত্রুটিপূর্ণ চামড়া দেখলেই ফিরিয়ে দিচ্ছেন আড়তদারেরা।
খুলনার পাইকগাছা থেকে আসা রাজকুমার বলেন, তাঁরা স্থানীয় পাঁচজন মিলে এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পুঁজি তৈরি করেন। সেই পুঁজি দিয়ে ঈদের দিন পাড়া-মহল্লায় ঘুরে ঘুরে চামড়া কেনেন। ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় ছোট, ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায় মাঝারি এবং ৯০০ থেকে ১২০০ টাকায় বড় গরুর চামড়া কিনেছেন। কিন্তু চামড়া গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি করতে হয়েছে।
যশোর সদরের ইছালি গ্রামের বিশ্বজিৎ কুমার ১২২টি গরু ও ২০টি ছাগলের চামড়া নিয়ে এসেছিলেন। কাঙ্ক্ষিত দাম না পেলেও সব চামড়া বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, ‘২০ বছর ধরে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কিন্তু চামড়ার এ রকম দরপতন তিন-চার বছর ধরে চলছে। সরকার-নির্ধারিত ৫০ টাকা প্রতি বর্গফুট হলেও দাম পাওয়া যাচ্ছে ২৫ টাকা হিসাবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে চামড়া সংগ্রহ করা, লবণ লাগানো এবং পরিবহন খরচ মিলিয়ে যে চামড়ার দাম প্রতিটি ৮০০-৯০০ টাকা পড়েছে; প্রায় একই দামে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছি।’
মনিরামপুরের গোপাল দাস ঋষি নামের একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে খাসির চামড়ার স্তূপের সামনে বসে থাকতে দেখা যায়। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি চামড়া ২০ থেকে ৫০ টাকা করে কিনেছি। লবণ লাগানো, শ্রমিক—এসব নিয়ে আরও খরচ হয়েছে। এখন সেই চামড়া হাটে এনে কেনা দামেও বিক্রি করতে পারছি না। ঋণ নিয়ে চামড়া কিনেছিলাম। এখন এ টাকা শোধ করব কীভাবে?’
তবে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সরকার-নির্ধারিত দাম পাচ্ছেন না—এমন অভিযোগ মানতে নারাজ স্থানীয় আড়তদারেরা। তাঁদের দাবি, সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি টাকা দিয়ে চামড়া কিনেছেন তাঁরা। তবে কাটা, ফাটা চামড়ার দাম কম। অনেক ক্ষেত্রে নেননি বলেও জানান।
স্থানীয় আড়তদার হাসানুজ্জামান হাসু জানান, একেকটি গরুর চামড়া প্রক্রিয়াজাত করতে লবণ ও শ্রমিকের মজুরিসহ গড়ে ৩০০ টাকা খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এবার লবণের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় খরচ কিছুটা বেশি পড়ছে। এরপরও তাঁরা ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকা দরে কাঁচা চামড়া কিনেছেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সরকার-নির্ধারিত দামের চেয়েও বেশি দাম দিয়েছেন। এখন এসব চামড়া লবণজাত করতে তাঁদের খরচ বেড়ে গেছে।
আড়তদার ও যশোর জেলা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মুকুল বলেন, ‘হাটে ৭০ হাজার পিসের মতো চামড়া উঠেছে। ভালো মানের গরুর চামড়া সরকার-নির্ধারিত দামে অথবা কাছাকাছি দামে বিক্রি হয়েছে। খারাপ চামড়ার দাম কমবে—এটাই স্বাভাবিক। খুচরা ব্যবসায়ীরা বাড়ি বাড়ি থেকে কম দামে কিনে অনেক বেশি দাম চেয়ে থাকেন। তবে সরকার কাঁচা চামড়া রপ্তানির উদ্যোগ নিলে এই খাত আরও বিকশিত হবে। আবার সরকার খুচরা চামড়া ব্যবসায়ীদের স্বল্প সুদে ঋণ দিলে তাঁরা ঘুরে দাঁড়াবেন।’
বাংলাদেশের জন্য এ বছর পাঁচটি বড় ঝুঁকি চিহ্নিত করেছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ঝুঁকি মূল্যস্ফীতি। বাকি চার ঝুঁকি হলো চরমভাবাপন্ন আবহাওয়া (বন্যা, তাপপ্রবাহ ইত্যাদি), দূষণ (বায়ু, পানি, মাটি), বেকারত্ব বা অর্থনৈতিক সুযোগের ঘাটতি এবং অর্থনৈতিক নিম্নমুখিতা...
২ ঘণ্টা আগেপাঁচ বছর অন্যের বাসায় কাজ করে কিছু টাকা জমিয়েছিলেন গৃহকর্মী রেহানা আক্তার। সেই টাকা পুরোটাই নিয়ে গেছেন তাঁর স্বামী। এখন টাকা চাইতে গেলে উল্টো তাঁর ওপর নেমে আসে শারীরিক নির্যাতন। রেহানা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শীত, গ্রীষ্ম দেহি নাই। পাঁচ বছর মানুষের বাসায় কাম কইরা দুই লাখ টাহা জমাইছিলাম...
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার তেল-বাণিজ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পর বিশ্বজুড়ে ডিজেলের দাম বেড়েছে। বেড়ে গেছে পরিশোধনকারীদের মুনাফার পরিমাণও। নতুন এই নিষেধাজ্ঞার ফলে জ্বালানি তেলের সরবরাহ কমে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগে‘ভ্যাট ফাঁকিতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, প্রকাশিত সংবাদটি ভিত্তিহীন, তথ্যগত ভুল রয়েছে। এনবিআরের নিয়মিত নিরীক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর ২০১৮-২০২২ করবর্ষের জন্য আইপিডিসির ভ্য
২০ ঘণ্টা আগে