বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে শুল্কহার যৌক্তিক করা ও ঋণপত্র খোলায় সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজারের সীমা বাড়ানোসহ ৭ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের দেওয়া ওই চিঠিতে গত ৩০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সূত্র ধরে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারের কোনো পদক্ষেপই জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখতে পারছে না। বিশ্ববাজারে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমে আগের তিন বছরের স্তরে চলে গেলেও দেশের বাজারে এর প্রতিফলন নেই। উল্টো এখানে শুল্ককর কমানো হয়। তাতেও কাজ হয় না।
সর্বশেষ মূল্যস্ফীতি প্রায় দুই অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও কয়েক দফা বৈঠক করেছে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত মাসের শেষের দিকে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বাজার সহনীয় করার বিষয়ে আরেক দফা বৈঠক করে।
সেখানে দেশের শীর্ষ গ্রুপ ও আমদানিকারকেরা নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন। তাঁরা শুল্ককর যৌক্তিক করা, এমনকি নিত্যপণ্যের শুল্ক একেবারে তুলে দেওয়ারও পরামর্শ দেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে টিকে গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ অন্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার সীমা বাড়ানো ও শুল্ককর কমানো ও মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশসহ আরও বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার সহনীয় করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়।
বাণিজ্যসচিবের চিঠিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি বা ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর খাদ্যপণ্যের শুল্ককাঠামো পর্যালোচনা করে কমানোর ক্ষেত্রে এনবিআরকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে সয়াবিন, পাম অয়েলসহ অন্য ভোজ্যতেলের শুল্ককাঠামো যৌক্তিক করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসবের বাইরে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চালের জাতভিত্তিক নামে দাম নির্ধারণ, ভোজ্যতেলের রেয়াতি শুল্কহার বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের বিদ্যমান ফর্মুলার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এবং ভারত থেকে টিসিবির মাধ্যমে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে প্রাথমিকভাবে ঢাকা, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় খোলা বাজারে বিক্রি করা।
বাজার বিশ্লেষকেরা জানান, শুধু শুল্কহার কমিয়ে বা তুলে দিয়ে বাজার সহনীয় রাখা যাবে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে নজরদারি বাড়িয়ে কারা কত আমদানি করছে, কী দামে আমদানি করেছে, খরচসহ প্রতিটি পণ্যের কত দাম হওয়া উচিত, এসব বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করেই বাজারকে সহনীয় রাখার চেষ্টা করতে হবে। না হলে শুধু ব্যবসায়ীদের কথার ওপর বাজার ছেড়ে দিলে জিনিসপত্রের দাম কখনোই সহনীয় হবে না।
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে শুল্কহার যৌক্তিক করা ও ঋণপত্র খোলায় সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজারের সীমা বাড়ানোসহ ৭ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নেওয়া এসব সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের দেওয়া ওই চিঠিতে গত ৩০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সূত্র ধরে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
জানা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিক পর্যায়ে পৌঁছেছে। সরকারের কোনো পদক্ষেপই জিনিসপত্রের দাম সহনীয় রাখতে পারছে না। বিশ্ববাজারে বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম কমে আগের তিন বছরের স্তরে চলে গেলেও দেশের বাজারে এর প্রতিফলন নেই। উল্টো এখানে শুল্ককর কমানো হয়। তাতেও কাজ হয় না।
সর্বশেষ মূল্যস্ফীতি প্রায় দুই অঙ্কের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও কয়েক দফা বৈঠক করেছে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত মাসের শেষের দিকে ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে বাজার সহনীয় করার বিষয়ে আরেক দফা বৈঠক করে।
সেখানে দেশের শীর্ষ গ্রুপ ও আমদানিকারকেরা নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন। তাঁরা শুল্ককর যৌক্তিক করা, এমনকি নিত্যপণ্যের শুল্ক একেবারে তুলে দেওয়ারও পরামর্শ দেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে টিকে গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতিসহ অন্য ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার সীমা বাড়ানো ও শুল্ককর কমানো ও মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশসহ আরও বেশ কিছু পরামর্শ দেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বাজার সহনীয় করতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেয়।
বাণিজ্যসচিবের চিঠিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি বা ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর খাদ্যপণ্যের শুল্ককাঠামো পর্যালোচনা করে কমানোর ক্ষেত্রে এনবিআরকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে সয়াবিন, পাম অয়েলসহ অন্য ভোজ্যতেলের শুল্ককাঠামো যৌক্তিক করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসবের বাইরে আরও কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চালের জাতভিত্তিক নামে দাম নির্ধারণ, ভোজ্যতেলের রেয়াতি শুল্কহার বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের বিদ্যমান ফর্মুলার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এবং ভারত থেকে টিসিবির মাধ্যমে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে প্রাথমিকভাবে ঢাকা, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় খোলা বাজারে বিক্রি করা।
বাজার বিশ্লেষকেরা জানান, শুধু শুল্কহার কমিয়ে বা তুলে দিয়ে বাজার সহনীয় রাখা যাবে না। সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে নজরদারি বাড়িয়ে কারা কত আমদানি করছে, কী দামে আমদানি করেছে, খরচসহ প্রতিটি পণ্যের কত দাম হওয়া উচিত, এসব বিষয়ের তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই করেই বাজারকে সহনীয় রাখার চেষ্টা করতে হবে। না হলে শুধু ব্যবসায়ীদের কথার ওপর বাজার ছেড়ে দিলে জিনিসপত্রের দাম কখনোই সহনীয় হবে না।
বেশ কিছু দিন ধরেই কেনিয়াতে ছাত্র–জনতা আদানির সঙ্গে সরকারের ‘গোপন’ চুক্তির প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে। পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে। অবশেষে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে ২৫০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থমূল্যের দুটি চুক্তি বাতিল করার ঘোষণা দিয়েছে আফ্রিকার দেশ কেনিয়া।
৪ ঘণ্টা আগেঘুষের নোটে সাগর আদানি ঘুষের পরিমাণ, কাকে ঘুষ দেওয়া হয়েছে এবং কত মেগাওয়াট বিদ্যুতের বিনিময়ে এটি হয়েছে—তার বিবরণ উল্লেখ করেছেন। তিনি মেগাওয়াট প্রতি ঘুষের হারও উল্লেখ করেছেন। ২০২০ সালে একটি হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজে সাগর আদানি বলেন, ‘হ্যাঁ...কিন্তু বিষয়টা দৃশ্যমান হওয়ার ঠেকানো বেশ কঠিন।’
৫ ঘণ্টা আগেগৌতম আদানি, ভারতীয় কনগ্লোমারেট আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বহু-বিলিয়ন ডলারের জালিয়াতি এবং ঘুষ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, ভারত সরকারের কর্মকর্তাদের ঘুষ দেওয়ার মাধ্যমে দেশের বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের চুক্তি বাগিয়েছে
৫ ঘণ্টা আগেব্যাংকিং খাতে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দীর্ঘদিনের প্রথা। তবে এবার নতুন নীতিমালায় আরোপিত কঠোর শর্ত—ব্যাংকিং ডিপ্লোমা, মাস্টার্স ডিগ্রি ও গবেষণাপত্র প্রকাশের বাধ্যবাধকতা—সরকারি ব্যাংকের ২৫৮ কর্মকর্তার জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) পদে পদোন্নতি নিয়ে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
৬ ঘণ্টা আগে