বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। এবার ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। বাজেট বক্তৃতায় করছাড় বাবদ অন্তত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে করছাড় কমানোর পরিকল্পনা জানাবেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় রাজস্ব খাত নিয়ে বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন অর্থমন্ত্রী। এগুলোর মধ্যে আয়কর খাতে নতুন করস্তর ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। সব রিটার্ন স্বনির্ধারণী ব্যবস্থায় দাখিলের ঘোষণার পাশাপাশি এনবিআরকে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধির ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে নতুন বাজেটে।
নতুন বাজেট ঘিরে শুল্ক খাত নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে দেশীয় শিল্প ও দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যকে সুরক্ষা প্রদানের চেষ্টা আছে। শুল্ক হার হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে অনেক পণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে। এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াটার পিউরিফায়ার (পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র), মোটরসাইকেল, এটিএম, সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, এলইডি লাইটের শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে বাজেটে। অন্যদিকে ল্যাপটপ, কিডনি ডায়ালাইসিস ফিল্টার, আমদানি করা প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ, কৃত্রিম আঁশের কার্পেট, চকলেট, চিলারসহ বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।
যেসব খাতে করহার বাড়তে-কমতে পারে
* বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন, এমন স্বাভাবিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানেরর কর ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ হতে পারে। তবে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত থাকছে।
* পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির জন্য সুখবর থাকতে পারে। শর্তসাপেক্ষে এদের করপোরেট কর সাড়ে ২২ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে।
* যেকোনো সমিতি, ট্রাস্ট, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সুদের ওপর কর ৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুদের আয়ে করহার ১০ শতাংশ অব্যাহত থাকছে।
* বাজেটে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ডালসহ বিভিন্ন মসলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় উৎসে কর কমানো হতে পারে। এতে আমদানি খরচ কমে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
* অনেক সমালোচনার পরেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দিচ্ছে সরকার। আগে এই সুযোগ শুধু ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে প্রতিষ্ঠানও কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছে।
* সব কার্যক্রম ক্যাশলেস বা নগদ অর্থের বিনিময় ছাড়া সম্পন্ন করতে পারলে আইসিটির সঙ্গে জড়িত ১৩টি খাতকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য করছাড় দেওয়ার ঘোষণা থাকছে।
* জনস্বার্থের ক্ষতি বিবেচনায় মিষ্টি পানীয়ের টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে।
* এতিমখানা বা আশ্রমের কেনা গাড়ির অগ্রিম কর, উত্তরাধিকার, উইল, অছিয়তের সম্পদ করছাড় সুবিধা পাবে। এনজিও ব্যুরোর অনুমোদিত যেকোনো ব্যক্তির দানও করমুক্ত থাকবে।
যেসব খাতে শুল্কহার বাড়তে-কমতে পারে
* মেড ইন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্লোগান সামনে রেখে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে—এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বা মূসক আরোপ। সে ক্ষেত্রে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক-করের খরচ বাড়ছে।
* দেশে বাদাম উৎপানকে সুরক্ষা দিতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
* ওষুধশিল্পের কাঁচামালে রেয়াতি শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। ডেঙ্গুর কিট আমদানিতে নতুন করে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে। কিডনি ডায়ালাইসিসের ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে নামতে পারে।
* রেফারেল হাসপাতাল নামে পরিচিত দেশের কয়েকটি বিলাসবহুল হাসপাতালের পণ্য আমদানির শুল্ক ১০ গুণ বাড়ছে। এখনকার ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে।
* আড়াই কেজির প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধে বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়া হতে পারে।
* রড উৎপাদনে ব্যবহৃত ফেরো ম্যাঙ্গানিজের শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা থাকতে পারে বাজেটে।
* এয়ারকন্ডিশনার তৈরিতে ব্যবহৃত স্টিল শিটের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
* ওয়াটার পিউরিফায়ার বা পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে।
* দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের কাঁচামালের শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। এটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা থাকবে নতুন বাজেটে।
* এ ছাড়া ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে।
* প্রস্তাবিত বাজেটে এটিএম ও সিসি ক্যামেরার আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
* এ ছাড়া জেনারেটরের সংযোজনী পণ্য, এলইডি ও এনার্জি সেভিং ল্যাম্পে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকতে।
* চকলেটের বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে বাজেটে।
* ল্যাপটপ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তবে এ ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে। ফলে মোট করভার ৩১ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।
* প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটারের শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে।
* ইলেকট্রিক মিটারের যন্ত্রাংশের শুল্ক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হতে পারে।
* সব স্তরে শুল্ক অব্যাহতি অবসানের অংশ হিসেবে শিল্পের কাঁচামালে শূন্য শুল্কের পরিবর্তে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
* প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্ট্রাকচারের আমদানিতে শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
* সিএনজি, এলপিজি স্টেশনের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের শুল্ক ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা আসতে পারে।
* বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাই-টেক পার্কে শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও গাড়ি আমদানিতে শূন্য শুল্ক সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে। নতুন বাজেটে এসব ক্ষেত্রেও ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকবে।
* ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণসহ পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি থাকছে।
* মোবাইল ফোন আমদানি সীমিত করা হচ্ছে। আসছে বছরে কোনো যাত্রী একটির বেশি মোবাইল ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারবেন না। আগে দুটি ফোন আনা যেত।
রাজস্ব খাতে বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট। এবার ৪ দশমিক ৬২ শতাংশ ব্যয় বাড়িয়ে বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকা হতে পারে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৬ জুন) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসদে নতুন বাজেট উপস্থাপন করবেন। বাজেট বক্তৃতায় করছাড় বাবদ অন্তত ১ লাখ ৪৬ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির হিসাব তুলে ধরে করছাড় কমানোর পরিকল্পনা জানাবেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় রাজস্ব খাত নিয়ে বেশ কিছু সাহসী সিদ্ধান্ত জানাতে পারেন অর্থমন্ত্রী। এগুলোর মধ্যে আয়কর খাতে নতুন করস্তর ঘোষণার সম্ভাবনা আছে। সব রিটার্ন স্বনির্ধারণী ব্যবস্থায় দাখিলের ঘোষণার পাশাপাশি এনবিআরকে রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা এক মাস বৃদ্ধির ক্ষমতা দেওয়া হতে পারে নতুন বাজেটে।
নতুন বাজেট ঘিরে শুল্ক খাত নিয়ে যে পরিকল্পনা করা হয়েছে, তাতে দেশীয় শিল্প ও দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যকে সুরক্ষা প্রদানের চেষ্টা আছে। শুল্ক হার হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে অনেক পণ্যের দামে প্রভাব পড়তে পারে। এয়ারকন্ডিশনার, ওয়াটার পিউরিফায়ার (পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র), মোটরসাইকেল, এটিএম, সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, এলইডি লাইটের শুল্কহার বাড়ানোর প্রস্তাব থাকতে পারে বাজেটে। অন্যদিকে ল্যাপটপ, কিডনি ডায়ালাইসিস ফিল্টার, আমদানি করা প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধ, কৃত্রিম আঁশের কার্পেট, চকলেট, চিলারসহ বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক কমানোর প্রস্তাব থাকতে পারে।
যেসব খাতে করহার বাড়তে-কমতে পারে
* বছরে ২০ লাখ টাকার বেশি আয় করেন, এমন স্বাভাবিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানেরর কর ২৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ নির্ধারণ হতে পারে। তবে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকায় অপরিবর্তিত থাকছে।
* পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কিছু কোম্পানির জন্য সুখবর থাকতে পারে। শর্তসাপেক্ষে এদের করপোরেট কর সাড়ে ২২ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকতে পারে।
* যেকোনো সমিতি, ট্রাস্ট, সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের সুদের ওপর কর ৫ শতাংশ বেড়ে ১৫ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশ হতে পারে। তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সুদের আয়ে করহার ১০ শতাংশ অব্যাহত থাকছে।
* বাজেটে ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, ডালসহ বিভিন্ন মসলা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলায় উৎসে কর কমানো হতে পারে। এতে আমদানি খরচ কমে এসব পণ্যের দাম কমতে পারে।
* অনেক সমালোচনার পরেও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রেখে দিচ্ছে সরকার। আগে এই সুযোগ শুধু ব্যক্তিতে সীমাবদ্ধ ছিল। এবার ১৫ শতাংশ হারে কর দিয়ে প্রতিষ্ঠানও কালোটাকা বৈধ করার সুযোগ পাচ্ছে।
* সব কার্যক্রম ক্যাশলেস বা নগদ অর্থের বিনিময় ছাড়া সম্পন্ন করতে পারলে আইসিটির সঙ্গে জড়িত ১৩টি খাতকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য করছাড় দেওয়ার ঘোষণা থাকছে।
* জনস্বার্থের ক্ষতি বিবেচনায় মিষ্টি পানীয়ের টার্নওভার কর শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে।
* এতিমখানা বা আশ্রমের কেনা গাড়ির অগ্রিম কর, উত্তরাধিকার, উইল, অছিয়তের সম্পদ করছাড় সুবিধা পাবে। এনজিও ব্যুরোর অনুমোদিত যেকোনো ব্যক্তির দানও করমুক্ত থাকবে।
যেসব খাতে শুল্কহার বাড়তে-কমতে পারে
* মেড ইন বাংলাদেশ গড়ে তোলার স্লোগান সামনে রেখে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্ত হতে পারে—এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট বা মূসক আরোপ। সে ক্ষেত্রে এমপিদের গাড়ি আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক-করের খরচ বাড়ছে।
* দেশে বাদাম উৎপানকে সুরক্ষা দিতে কাজুবাদাম আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
* ওষুধশিল্পের কাঁচামালে রেয়াতি শুল্ক সুবিধা অব্যাহত রাখা হবে। ডেঙ্গুর কিট আমদানিতে নতুন করে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হবে। কিডনি ডায়ালাইসিসের ফিল্টার ও সার্কিট আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমে ১ শতাংশে নামতে পারে।
* রেফারেল হাসপাতাল নামে পরিচিত দেশের কয়েকটি বিলাসবহুল হাসপাতালের পণ্য আমদানির শুল্ক ১০ গুণ বাড়ছে। এখনকার ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ শুল্ক আরোপ হতে পারে।
* আড়াই কেজির প্যাকেটজাত গুঁড়া দুধে বিদ্যমান ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়া হতে পারে।
* রড উৎপাদনে ব্যবহৃত ফেরো ম্যাঙ্গানিজের শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা থাকতে পারে বাজেটে।
* এয়ারকন্ডিশনার তৈরিতে ব্যবহৃত স্টিল শিটের শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
* ওয়াটার পিউরিফায়ার বা পানি বিশুদ্ধকরণ যন্ত্র আমদানির শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে।
* দেশে উৎপাদিত মোবাইল ফোনের কাঁচামালের শুল্ক রেয়াতের মেয়াদ ২০২৪ সালে শেষ হওয়ার কথা। এটি ২০২৬ সাল পর্যন্ত বাড়ানোর ঘোষণা থাকবে নতুন বাজেটে।
* এ ছাড়া ২৫০ সিসির বেশি ইঞ্জিনের মোটরসাইকেলের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে।
* প্রস্তাবিত বাজেটে এটিএম ও সিসি ক্যামেরার আমদানি শুল্ক ১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করা হতে পারে।
* এ ছাড়া জেনারেটরের সংযোজনী পণ্য, এলইডি ও এনার্জি সেভিং ল্যাম্পে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকতে।
* চকলেটের বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব থাকবে বাজেটে।
* ল্যাপটপ আমদানিতে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে ৫ থেকে ১০ শতাংশ। তবে এ ক্ষেত্রে ভ্যাট প্রত্যাহার করা হবে। ফলে মোট করভার ৩১ শতাংশ থেকে কমে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ হবে।
* প্রিপেইড ইলেকট্রিক মিটারের শুল্ক ১৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হতে পারে।
* ইলেকট্রিক মিটারের যন্ত্রাংশের শুল্ক ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হতে পারে।
* সব স্তরে শুল্ক অব্যাহতি অবসানের অংশ হিসেবে শিল্পের কাঁচামালে শূন্য শুল্কের পরিবর্তে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিতে পারেন অর্থমন্ত্রী।
* প্রি-ফ্যাব্রিকেটেড স্ট্রাকচারের আমদানিতে শুল্ক ৫ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে।
* সিএনজি, এলপিজি স্টেশনের যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশের শুল্ক ৩ থেকে বাড়িয়ে ৫ শতাংশ করার ঘোষণা আসতে পারে।
* বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাই-টেক পার্কে শিল্পের যন্ত্রপাতি, যন্ত্রাংশ ও গাড়ি আমদানিতে শূন্য শুল্ক সুবিধা তুলে নেওয়া হচ্ছে। নতুন বাজেটে এসব ক্ষেত্রেও ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের প্রস্তাব থাকবে।
* ব্যাগেজ রুলসের আওতায় স্বর্ণসহ পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি থাকছে।
* মোবাইল ফোন আমদানি সীমিত করা হচ্ছে। আসছে বছরে কোনো যাত্রী একটির বেশি মোবাইল ফোন বিনা শুল্কে আনতে পারবেন না। আগে দুটি ফোন আনা যেত।
ইউএনডিপির আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার ‘জনবান্ধব নীতি প্রণয়নে সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের সহায়তায় ইউএনডিপির স্ট্রেংদেনিং ইনস্টিটিউশনস, পলিসিজ অ্যান্ড সার্ভিসেস প্রকল্পের
৩৩ মিনিট আগেঅত্যাধুনিক সুবিধা নিয়ে চালু হয়েছে বেনাপোল বন্দরের কার্গো ভেহিকেল টার্মিনাল, যা সেবা ও বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করার পাশাপাশি যানজট ও পণ্যজট নিরসনে কার্যকর ভূমিকা রাখছে। ১৪ নভেম্বর এটি উদ্বোধন করেন নৌপরিবহন ও শ্রম উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। ১৮ নভেম্বর থেকে টার্মিনালের কার্যক্রম শুরু হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্যদের জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ব্র্যাক ব্যাংক এবং বেসিস-এর মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই উদ্যোগ বাংলাদেশের আইসিটি খাতের উন্নয়ন ও উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগেদেশে গত বোরো মৌসুমের পরই বাড়তে থাকে চালের দাম। ক্রেতাদের আশা ছিল, আমন মৌসুম শুরু হলে দাম কমবে। কিন্তু আশা দুরাশাই রয়ে গেছে এখন পর্যন্ত। মোকামে আমন ধান আসতে শুরু করলেও চালের বাজারে খুব একটা প্রভাব নেই। শুধু তা-ই নয়, সরকার চাল আমদানির অনুমতি দিয়েও পণ্যটির দাম কমিয়ে আনতে পারছে না।
৩ ঘণ্টা আগে