নির্বাচনী টাইমলাইন
রোকন উদ্দীন, ঢাকা
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণায় দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের একটি বড় প্রশ্নের উত্তর মিলেছে—এই সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকবে। তাঁর দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো এই সময়সীমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে, তা ভিন্ন বিষয়; তবে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে স্থিতিশীলতার একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা এসেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ঘোষিত সময়সীমা একটি নির্ভরযোগ্য কাঠামো তৈরি করবে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে সহায়তা করবে। এই ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে, যা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে এবং সামনের দিনগুলোতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নতুন উদ্যম জোগাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সদ্য সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং জ্বালানিসংকটের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় ধরনের শিল্পসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যেগুলোর ইতিবাচক ফল অর্জন করতে হলে একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন। একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা এবং সময়সীমা দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিন একধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল—এই সরকার কত দিন কার্যক্রম চালাতে পারবে, সেই প্রশ্ন অনেকের মনে ছিল। এই দ্বিধা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি উৎসাহের অভাব তৈরি করেছিল। সেই সংশয় কেটে গেছে। এখন পরিষ্কার সময়সীমার ঘোষণার মাধ্যমে এক নতুন দিশা মিলেছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা তৈরি করবে। এই আত্মবিশ্বাসে নতুন বিনিয়োগের সুযোগের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আরও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটি কোনো রোডম্যাপ নয়, বরং নির্দিষ্ট টাইমলাইন; যা দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবে এবং অনিশ্চয়তা কমাবে। অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পর্যন্ত তাদের সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, যা দেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বাজারে এর স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাবে।
বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ক্রেতারা প্রায়ই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্পর্কে তথ্য জানতে চায়। এই ঘোষণা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, যা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে সহায়ক হবে।’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোষিত সংস্কার এবং নির্বাচনের টাইমলাইন বিনিয়োগকারীদের পরিকল্পনায় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের, বিশেষত পশ্চিমাদের অধিকাংশের জন্য স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। একটি অনির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বাধীন দেশ তাদের মোটেও আকৃষ্ট করছে না। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে।’
এদিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করায় ব্যাংক খাতেও কিছু প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায় ও রি-শিডিউল লোনের ফিগারে একটা অগ্রগতি আমরা দেখতে পারি। অনেককে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ঋণ সমন্বয় করা লাগতে পারে। ফলে কিছু খেলাপি ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।’
এখন দরকার জাতীয় পরিকল্পনা
ব্যবসায়ী মহলের প্রত্যাশা, যে রাজনৈতিক সরকারই আসুক, যারা একটি সুস্থ এবং স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তবে তারা এ-ও মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করছে। এর প্রয়োজনীয়তা আছে। যার ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক সরকারকেও বজায় রাখা জরুরি। এর জন্য রাজনৈতিক সরকার আসার আগেই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। দেশের জন্য একটি স্থায়ী জাতীয় নীতি প্রয়োজন, যা অনুসরণ করে দেশের অর্থনীতিকে উন্নতির উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। নির্বাচনে যে দলই জয়ী হোক, সেই নীতি এবং লক্ষ্য যেন পরিবর্তিত না হয়। নতুন সরকার এলেও পূর্ববর্তী নীতিগুলো বজায় রেখে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে সবাই যেন একসঙ্গে কাজ করে।
সংস্কারের ধারাবাহিকতাও দরকার
অনেক ব্যবসায়ীর কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তগুলো বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, অনেক জায়গায় এরই মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে, যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো। এই সংস্কারগুলো চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে বাণিজ্য আরও চাঙা হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক পরিচালক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন দেশে স্বাধীনভাবে তাঁদের ব্যবসা করার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার, এলসি খোলার সমস্যা কমতে শুরু করেছে। এই সরকার আরও বেশি সময় থাকলে আরও বেশি সংস্কার করতে পারত। তবে যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে, তাই এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যে সরকারই দায়িত্ব নিক, সংস্কারপ্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। ব্যবসা ও রাজনীতি যেন একে অপরের মধ্যে মিশে না গিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক গতিতে উন্নয়ন চলতে থাকে।
বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘোষণায় দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের একটি বড় প্রশ্নের উত্তর মিলেছে—এই সরকার কত দিন ক্ষমতায় থাকবে। তাঁর দেওয়া সময়সীমা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি একটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং এর মধ্য দিয়ে নতুন রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। যদিও রাজনৈতিক দলগুলো এই সময়সীমাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবে, তা ভিন্ন বিষয়; তবে এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে স্থিতিশীলতার একটি স্পষ্ট দিকনির্দেশনা এসেছে। ফলে দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায় নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা মনে করছেন, ঘোষিত সময়সীমা একটি নির্ভরযোগ্য কাঠামো তৈরি করবে, যা দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নকে সহায়তা করবে। এই ঘোষণার ফলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবেশে স্বচ্ছতা ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠিত হবে, যা বিনিয়োগকারীদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে এবং সামনের দিনগুলোতে ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে নতুন উদ্যম জোগাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সদ্য সাবেক সভাপতি আশরাফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে জানান, বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ এবং জ্বালানিসংকটের মধ্যে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা কঠিন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমাদের বড় ধরনের শিল্পসম্পর্কিত চ্যালেঞ্জও রয়েছে, যেগুলোর ইতিবাচক ফল অর্জন করতে হলে একটি স্থিতিশীল ও নিরাপদ পরিবেশ প্রয়োজন। একটি সুস্পষ্ট রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা এবং সময়সীমা দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করতে সাহায্য করবে।’
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এত দিন একধরনের অনিশ্চয়তা বিরাজ করছিল—এই সরকার কত দিন কার্যক্রম চালাতে পারবে, সেই প্রশ্ন অনেকের মনে ছিল। এই দ্বিধা বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি উৎসাহের অভাব তৈরি করেছিল। সেই সংশয় কেটে গেছে। এখন পরিষ্কার সময়সীমার ঘোষণার মাধ্যমে এক নতুন দিশা মিলেছে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থার জায়গা তৈরি করবে। এই আত্মবিশ্বাসে নতুন বিনিয়োগের সুযোগের পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে আরও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে আসবে।
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ও জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘এটি কোনো রোডম্যাপ নয়, বরং নির্দিষ্ট টাইমলাইন; যা দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবে এবং অনিশ্চয়তা কমাবে। অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পর্যন্ত তাদের সংস্কার কার্যক্রম চালিয়ে যাবে, যা দেশের জনগণের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং বাজারে এর স্পষ্ট প্রতিফলন দেখা যাবে।
বিজিএমইএর সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ হিল রাকিব বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক বাজারে ব্যবসা করা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ক্রেতারা প্রায়ই রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা সম্পর্কে তথ্য জানতে চায়। এই ঘোষণা একটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে, যা আন্তর্জাতিক অংশীদারদের মধ্যে আস্থা তৈরিতে সহায়ক হবে।’
ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ঘোষিত সংস্কার এবং নির্বাচনের টাইমলাইন বিনিয়োগকারীদের পরিকল্পনায় এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে সহায়তা করবে। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের, বিশেষত পশ্চিমাদের অধিকাংশের জন্য স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করার জন্য একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রয়োজন। একটি অনির্বাচিত সরকারের নেতৃত্বাধীন দেশ তাদের মোটেও আকৃষ্ট করছে না। এখন পরিস্থিতি পরিবর্তন হবে।’
এদিকে নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সীমা ঘোষণা করায় ব্যাংক খাতেও কিছু প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। তিনি বলেন, খেলাপি ঋণ আদায় ও রি-শিডিউল লোনের ফিগারে একটা অগ্রগতি আমরা দেখতে পারি। অনেককে নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য ঋণ সমন্বয় করা লাগতে পারে। ফলে কিছু খেলাপি ঋণ আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে।’
এখন দরকার জাতীয় পরিকল্পনা
ব্যবসায়ী মহলের প্রত্যাশা, যে রাজনৈতিক সরকারই আসুক, যারা একটি সুস্থ এবং স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করবে। তবে তারা এ-ও মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার একটি ভালো উদ্যোগ নিয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিবেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কার বাস্তবায়ন করছে। এর প্রয়োজনীয়তা আছে। যার ধারাবাহিকতা রাজনৈতিক সরকারকেও বজায় রাখা জরুরি। এর জন্য রাজনৈতিক সরকার আসার আগেই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতি সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট জাতীয় লক্ষ্য নির্ধারণ করা উচিত। দেশের জন্য একটি স্থায়ী জাতীয় নীতি প্রয়োজন, যা অনুসরণ করে দেশের অর্থনীতিকে উন্নতির উচ্চ স্তরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। নির্বাচনে যে দলই জয়ী হোক, সেই নীতি এবং লক্ষ্য যেন পরিবর্তিত না হয়। নতুন সরকার এলেও পূর্ববর্তী নীতিগুলো বজায় রেখে দেশের অর্থনীতির উন্নয়নে সবাই যেন একসঙ্গে কাজ করে।
সংস্কারের ধারাবাহিকতাও দরকার
অনেক ব্যবসায়ীর কাছে অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য নেওয়া নতুন সিদ্ধান্তগুলো বেশ ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, অনেক জায়গায় এরই মধ্যে পরিবর্তন শুরু হয়েছে, যা ব্যবসার জন্য খুবই ভালো। এই সংস্কারগুলো চালিয়ে গেলে ভবিষ্যতে বাণিজ্য আরও চাঙা হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সাবেক পরিচালক হাজি এনায়েতুল্লাহ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন দেশে স্বাধীনভাবে তাঁদের ব্যবসা করার একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার, এলসি খোলার সমস্যা কমতে শুরু করেছে। এই সরকার আরও বেশি সময় থাকলে আরও বেশি সংস্কার করতে পারত। তবে যেহেতু রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের পক্ষে, তাই এই ঘোষণার পর রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে যে সরকারই দায়িত্ব নিক, সংস্কারপ্রক্রিয়া যেন অব্যাহত থাকে, তা নিশ্চিত করা জরুরি। ব্যবসা ও রাজনীতি যেন একে অপরের মধ্যে মিশে না গিয়ে প্রতিটি ক্ষেত্রে স্বাভাবিক গতিতে উন্নয়ন চলতে থাকে।
বর্তমান বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন এবং টেকসই উন্নয়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় টেকসই অর্থায়নের গুরুত্ব অপরিসীম। টেকসই এবং সবুজ অর্থায়নে বিনিয়োগের মাধ্যমে ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, খরা, নদীভাঙন, জলাবদ্ধতা ও মাটির লবণাক্ততা ক্ষতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগু
৪ ঘণ্টা আগেবার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসে কোনো অগ্রগতি দেখাতে পারেনি পররাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আরও ৫৩টি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে ১০টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এডিপি বাস্তবায়নে মাত্র ৫ শতাংশ অগ্রগতিও দেখাতে পারেনি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভা
৪ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সামিট পাওয়ার লিমিটেডের আরও দুটি বিদ্যুৎকেন্দ্র—জাঙ্গালিয়া (গ্যাসভিত্তিক, ৩৩ মেগাওয়াট) এবং মদনগঞ্জ (এইচএফও-ভিত্তিক, ১০২ মেগাওয়াট)—উৎপাদন বন্ধ হয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটির মোট পাঁচটি বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
৪ ঘণ্টা আগেশ্বেতপত্রে উঠে এসেছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রকৃত চিত্র। দুর্নীতি, মূল্যস্ফীতি ও বিনিয়োগ সংকটের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জন্য জরুরি পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যতে সংস্কারের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশদ আলোচনা...
৭ ঘণ্টা আগে