নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সংসদ সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বাতিল করে ৪০ শতাংশ শুল্ককর আরোপের ভাবনা থাকলেও বাজেট প্রস্তাবে সেই ঘোষণা নেই। এমপিদের গাড়িতে শুল্ক বসানোর ভার তাঁদের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ককর অব্যাহতির সুবিধা সংক্রান্ত বিধানটি পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘এমপিদের গাড়িতে সকল প্রকার শুল্ককর অব্যাহতি রয়েছে। সকল স্তরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতির অবসানের লক্ষ্যে রাজস্ব প্রদানে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে মাননীয় সংসদ সদস্যরা সকল প্রকার শুল্ককর পরিশোধ ব্যতিরেকে গাড়ি আমদানির প্রাধিকার কিছুটা পরিবর্তন করে একটি মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। এই উদ্দেশ্যে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ককর অব্যাহতির সুবিধা সংক্রান্ত বিধানটি পরিবর্তন করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োজনীয় সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খসড়া বাজেট প্রস্তাবনায় এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বাতিল করে ৪০–শতাংশ শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে গেলে, সেখানে আইনের মারপ্যাঁচে তা আটকে দেওয়া হয়। বলা হয়, একটি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে এমপিদের গাড়িতে শুল্ক বসানো যাবে না। এই এখতিয়ার এনবিআরের নেই। ফলে পিছিয়ে যায় এনবিআর। তাই চূড়ান্ত বাজেট ঘোষণায় শেষ পর্যন্ত এমপিদের গাড়িতে শুল্ক বসানোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।
প্রেসিডেন্টস অর্ডার এর ‘দ্য মেম্বারস অব পার্লামেন্ট (রেমুনারেশন অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স) অর্ডার, ১৯৭৩’ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা যে গাড়িই আনেন না কেন, ১৯৮৮ সালের পর থেকে কোনো ধরনের শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক বা ভ্যাট দিতে হয় না। এজন্য বিদ্যমান আইনটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ প্রথম দেন সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৮৮ সালে বিরোধী দলের বর্জনের মুখে চতুর্থ সংসদ নির্বাচন শেষে আইনটিতে এমন বিধান সংযোজন করা হয়। এর ফলে কোনো কর অথবা সম্পূরক শুল্ক ছাড়াই গাড়ি আনার সুবিধা পেয়ে আসছেন সংসদ সদস্যরা।
কার্যকালের পুরো মেয়াদে শুল্ক, সম্পূরক, মূল্য সংযোজন কর, উন্নয়ন সারচার্জ বা আমদানি পারমিট ফি-মুক্ত একটি গাড়ি (কার, জিপ, অথবা মাইক্রোবাস) আমদানি করার সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সংসদ সদস্যরা। এই সুবিধায় শেষ আমদানির তারিখ থেকে পাঁচ বছর পর আরেকটি নতুন কার, জিপ বা মাইক্রোবাস আনার সুযোগ ছিল।
সমালোচনার পরও এরশাদের পতনের পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারগুলোও এই সুবিধা পাল্টায়নি। বরং নানা সময় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে উচ্চমূল্যের গাড়ি বিনা এনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে, যদিও নির্ধারিত সময়ের আগে মালিকানা হস্তান্তরের সুযোগ ছিল না।
সাধারণত গাড়ি আমদানিতে ধরন অনুযায়ী মোট মূল্যের উপর ১০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক আমদানি শুল্ক দিতে হয়। এর বাইরে গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে দিতে হয় নানাবিধ সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট। গাড়ির দাম ও আমদানি শুল্কের যোগফলের ওপর পরে সম্পূরক শুল্ক বসে।
সংসদ সদস্যদের (এমপি) শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বাতিল করে ৪০ শতাংশ শুল্ককর আরোপের ভাবনা থাকলেও বাজেট প্রস্তাবে সেই ঘোষণা নেই। এমপিদের গাড়িতে শুল্ক বসানোর ভার তাঁদের বিবেকের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে বাজেট বক্তৃতায় সংসদ সদস্যদের গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ককর অব্যাহতির সুবিধা সংক্রান্ত বিধানটি পরিবর্তনের জন্য সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধনের প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
বাজেট বক্তৃতায় তিনি বলেন, ‘এমপিদের গাড়িতে সকল প্রকার শুল্ককর অব্যাহতি রয়েছে। সকল স্তরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতির অবসানের লক্ষ্যে রাজস্ব প্রদানে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপনের লক্ষ্যে মাননীয় সংসদ সদস্যরা সকল প্রকার শুল্ককর পরিশোধ ব্যতিরেকে গাড়ি আমদানির প্রাধিকার কিছুটা পরিবর্তন করে একটি মহৎ দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারেন। এই উদ্দেশ্যে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে শুল্ককর অব্যাহতির সুবিধা সংক্রান্ত বিধানটি পরিবর্তন করা যেতে পারে। এই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োজনীয় সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করছি।’
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খসড়া বাজেট প্রস্তাবনায় এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ বাতিল করে ৪০–শতাংশ শুল্ক ও ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। পরে তা ভেটিংয়ের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ে গেলে, সেখানে আইনের মারপ্যাঁচে তা আটকে দেওয়া হয়। বলা হয়, একটি আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত নতুন করে এমপিদের গাড়িতে শুল্ক বসানো যাবে না। এই এখতিয়ার এনবিআরের নেই। ফলে পিছিয়ে যায় এনবিআর। তাই চূড়ান্ত বাজেট ঘোষণায় শেষ পর্যন্ত এমপিদের গাড়িতে শুল্ক বসানোর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করতে পারেননি অর্থমন্ত্রী।
প্রেসিডেন্টস অর্ডার এর ‘দ্য মেম্বারস অব পার্লামেন্ট (রেমুনারেশন অ্যান্ড অ্যালাওয়েন্স) অর্ডার, ১৯৭৩’ অনুযায়ী, সংসদ সদস্যরা যে গাড়িই আনেন না কেন, ১৯৮৮ সালের পর থেকে কোনো ধরনের শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক বা ভ্যাট দিতে হয় না। এজন্য বিদ্যমান আইনটিতে প্রয়োজনীয় সংশোধনী অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে এমপিদের শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুযোগ প্রথম দেন সেনাশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। ১৯৮৮ সালে বিরোধী দলের বর্জনের মুখে চতুর্থ সংসদ নির্বাচন শেষে আইনটিতে এমন বিধান সংযোজন করা হয়। এর ফলে কোনো কর অথবা সম্পূরক শুল্ক ছাড়াই গাড়ি আনার সুবিধা পেয়ে আসছেন সংসদ সদস্যরা।
কার্যকালের পুরো মেয়াদে শুল্ক, সম্পূরক, মূল্য সংযোজন কর, উন্নয়ন সারচার্জ বা আমদানি পারমিট ফি-মুক্ত একটি গাড়ি (কার, জিপ, অথবা মাইক্রোবাস) আমদানি করার সুবিধা পেয়ে আসছিলেন সংসদ সদস্যরা। এই সুবিধায় শেষ আমদানির তারিখ থেকে পাঁচ বছর পর আরেকটি নতুন কার, জিপ বা মাইক্রোবাস আনার সুযোগ ছিল।
সমালোচনার পরও এরশাদের পতনের পর বিএনপি ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারগুলোও এই সুবিধা পাল্টায়নি। বরং নানা সময় সংসদ সদস্যদের বিরুদ্ধে উচ্চমূল্যের গাড়ি বিনা এনে বিক্রি করে দেওয়ার অভিযোগ উঠে, যদিও নির্ধারিত সময়ের আগে মালিকানা হস্তান্তরের সুযোগ ছিল না।
সাধারণত গাড়ি আমদানিতে ধরন অনুযায়ী মোট মূল্যের উপর ১০০ থেকে ৫০০ শতাংশ পর্যন্ত সম্পূরক আমদানি শুল্ক দিতে হয়। এর বাইরে গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতার ওপর নির্ভর করে দিতে হয় নানাবিধ সম্পূরক শুল্ক এবং ভ্যাট। গাড়ির দাম ও আমদানি শুল্কের যোগফলের ওপর পরে সম্পূরক শুল্ক বসে।
আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র চুক্তির আওতায় ভারত থেকে আমদানি করা ১০ হাজার টন সেদ্ধ চালবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছে। এই চাল আমদানির কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে প্যাকেজ-৮ এর আওতায়, যা ২০২৫ সালের ২ মার্চ সম্পাদিত হয়েছিল।
৫ মিনিট আগেচীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান এবং দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ, স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে। এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।
১ ঘণ্টা আগেদেশের বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল। বোতলজাত তেলের দাম প্রতি লিটারে ১৪ টাকা এবং খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম ১২ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে ভোজ্যতেলের আমদানি ও সরবরাহসহ সার্বিক বিষয়ে আয়োজিত পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রানার অটোমোবাইলের এক উদ্যোক্তা পরিচালক নিজের নামে থাকা প্রতিষ্ঠানটির ৩৪ লাখ ৬ হাজার ২০০টি শেয়ার এক ছেলে ও এক মেয়েকে উপহার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মাধ্যমে তিনি এ ঘোষণা দেন।
৩ ঘণ্টা আগে