শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি কমে এক অঙ্কে, জনগণের মাঝে স্বস্তি

অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ আগস্ট ২০২৩, ১৮: ৩৫
আপডেট : ০২ আগস্ট ২০২৩, ১৯: ০৩

অর্থনৈতিক সংকটের ধাক্কা একটু একটু করে কাটিয়ে উঠছে শ্রীলঙ্কা। এতে স্বস্তি ফিরছে দেশটির জনগণের মাঝে। মাত্র এক মাসের ব্যবধানে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে মূল্যস্ফীতির হার ১২ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ভারতের এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। 

গত বছরের সেপ্টেম্বরে শ্রীলঙ্কার মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছিল রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে। কিন্তু পরের ১০ মাসে সেই মূল্যস্ফীতি কমে এখন মাত্র ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। 

গত সোমবার (৩১ জুলাই) এক বিবৃতিতে শ্রীলঙ্কার আদমশুমারি ও পরিসংখ্যান দপ্তর জানিয়েছে, চলতি বছরের জুলাই মাসে কলম্বো ভোক্তামূল্য সূচকে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতির হার ৬ দশমিক ৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর এক মাস আগে জুনে দেশটিতে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১২ শতাংশ। 

অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় অর্ধেক। বিগত দুই বছরের মধ্যে দেশটিতে এই প্রথমবার মূল্যস্ফীতির হার এক অংকে নামলো। 

দক্ষিণ এশীয় দেশটিতে সবশেষ এক অংকের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড করা হয়েছিল ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে—৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এরপর থেকেই শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট ও মূল্যস্ফীতি ক্রমাগত বাড়তে থাকে। একপর্যায়ে গত বছরের সেপ্টেম্বরে তা রেকর্ড ৬৯ দশমিক ৮ শতাংশে পৌঁছায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শ্রীলঙ্কায় মূল্যস্ফীতি কমাতে ভূমিকা রেখেছে ‍মূলত খাদ্যপণ্যের দাম কমানো। গত ১২ মাসে দেশটিতে খাদ্যমূল্য কমেছে অন্তত ১ দশমিক ৪ শতাংশ। 

 ২০২২ সালের এপ্রিলে নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা। সে সময় নজিরবিহীন বৈদেশিক মুদ্রা সংকটের কারণে আমদানি কমানোর সিদ্ধান্ত নেয় লঙ্কান সরকার, যার ফলে বিভিন্ন ধরনের জরুরি পণ্যের ঘাটতি দেখা দেয় এবং দাম বেড়ে যায়। 

কিন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৯০ কোটি ডলার ঋণ পাওয়ার পর আমদানির বিধিনিষেধ ফের শিথিল করে লঙ্কান সরকার। এ ছাড়া বিদ্যুতের ঘাটতি দূর করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে পরিস্থিতির অভাবনীয় উন্নতি হয়। 

তার পরিপ্রেক্ষিতে লঙ্কান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর নন্দলাল ওয়েরাসিংহে আগেই জানিয়েছিলেন, এ বছরের তৃতীয় প্রান্তিকেই দেশটিতে এক অংকে নামতে পারে মূল্যস্ফীতি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত